সসম্মানে বাঁচতে না ভোট দিন

ইউরোপে সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে বাস করতে ‘না’ ভোট দিতে জনগণের আহ্বান জানিয়েছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপরাস। দেশটির ঋণ সংকটে আন্তর্জাতিক দাতাদের দেয়া আর্থিক পুনরুদ্ধার (বেইল আউট) প্রস্তাবের শর্তের বিরোধিতা করতে তিনি এ আহ্বান জানান। শুক্রবার রাতে ২৫ হাজার মানুষের সামনে তিনি বলেন, এটি কোনো বিক্ষোভ নয়। ভয় কাটানোর উৎসব। তিনি গ্রিসবাসীকে ইউরোপে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার চেষ্টা চালাতে আহ্বান জানান। ‘না’ ভোট জয়ী হলে দাতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতে সিপরাসের হাত শক্তিশালী হবে। তবে ‘হ্যাঁ’ ভোটের সমর্থকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী সিপরাস এ রকম কথা বলতে পারেন না। চিকিৎসক নিকোস বলেন, ইউরো ছেড়ে থাকা যাবে না। ইউরো ছাড়া মানে কষ্টের মধ্যে থাকা। অর্থনীতিবিদ ম্যারিনা পিপা রয়টার্সকে বলেন, ‘না’ ভোট জয়ী হলে দেশ আরও দারিদ্র্যপীড়িত হবে।
এ চুক্তির জন্য দাতারা যে প্রস্তাব দিয়েছে, এতে বিভিন্ন খাতে ব্যয়সংকোচন করার কথা বলা আছে। এতে আপত্তি রয়েছে দেশটির বর্তমান বামপন্থী সরকারের। তবে চুক্তি না হলে গ্রিস এসব দাতার কাছ থেকে কাক্সিক্ষত ২৯ বিলিয়ন ইউরো ঋণ পাবে না। এ ঋণ পেলেই কেবল এথেন্স আগামী দু’বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য সব দেনা শোধ দিতে পারবে। এর মধ্যে আইএমএফের কাছ থেকে নেয়া গ্রিসের দেড় বিলিয়ন ইউরো (১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) গত মঙ্গলবারের মধ্যে শোধ করার কথা থাকলেও তা পারেনি গ্রিস। শুক্রবার গ্রিসকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করা। এদিকে, গ্রিসের ঋণ সংকটে দাতাদের দেয়া আর্থিক পুনরুদ্ধার (বেইল আউট) কর্মসূচি প্রস্তাবের ওপর গণভোট প্রশ্নে গভীরভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে দেশটির জনগণ। প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপরাস একপক্ষের কাছে নায়ক ও অন্যপক্ষের কাছে ভিলেন হয়ে উঠেছেন। পাশের একটি স্টেডিয়ামে ২২ হাজার মানুষ একত্রিত হয়ে হ্যাঁ ভোটের পক্ষে বিক্ষোভ করছে। তাদের একজন বলছেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে সিপরাস, তুমি কাপড়বিহীন সম্রাট’। এদিকে, পার্লামেন্টের সামনে না ভোট সমর্থক তরুণ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের নিবৃত্ত করতে পিপার গ্যাস স্প্রে করেছে।

No comments

Powered by Blogger.