সম্মেলন হয়েছে, কমিটি হয়নি -সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সম্মেলন ছিল গতকাল। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার লাগোয়া মঞ্চে সম্মেলন শুরুর আগে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা জুতা পায়ে মূল বেদিতে উঠে পড়েন l ছবি: প্রথম আলো |
সিলেট
মহানগর ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছে গতকাল শনিবার। কিন্তু সম্মেলন শেষে নতুন
কমিটি গঠন করা হয়নি। নগর কমিটির নতুন নেতৃত্বের জন্য পদপ্রত্যাশী ১০৬ জন
নেতার জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, পৃথক দুই অধিবেশনের জন্য যথারীতি সময় নির্ধারণ করা ছিল। বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মেলন ও বেলা দুইটা থেকে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সুলেমান হলে কাউন্সিল অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল। শহীদ মিনারে সম্মেলন করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগসহ নেতারা পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে সিলেট ত্যাগ করেন।
সম্মেলন সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টায় শুরু হয়। বদিউজ্জামান সোহাগ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। নগর ছাত্রলীগের বিদায়ী সভাপতি রাহাত তরফদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমরুল হাসানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাঈম হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন-অর-রশিদসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
প্রথম অধিবেশন সমাপ্তির সময় কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, ‘ছাত্রলীগ হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংগঠন। ছাত্র ছাড়া কেউ নেতৃত্বে আসতে পারবে না।’ সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি এ বিবেচনায় হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নতুন কমিটি হবে। পরবর্তী সময়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা ঘোষণা করা হবে।
২০১১ সালের ৯ জুলাই ১০১ সদস্যবিশিষ্ট সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। তিন বছর মেয়াদি ওই কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার প্রায় এক বছর পর গতকাল সম্মেলন হলো।
শহীদ বেদিতে জুতা পায়ে অবস্থান: সম্মেলন সামনে রেখে সকাল থেকে সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা ছিল সরগরম। সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলন শুরুর কথা থাকলেও দুপুর ১২টায় শুরু হয়। মাঝে প্রায় দুই ঘণ্টা শহীদ মিনারসহ আশপাশের এলাকায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অনেকটা আড্ডার ছলে সময় কাটতে দেখা গেছে। সম্মেলনস্থলের শহীদ মিনার অংশে অবস্থান নেওয়া কর্মীদের শহীদ মিনারের মূল বেদিতে জুতা পায়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
সম্মেলনের সঞ্চালক নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমরুল হাসান বলেন, ‘শুরুর দিকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হলেও পরে বিপুল উপস্থিতির কারণে আর এ বিষয়ে খেয়াল রাখা যায়নি।’ তবে তিনি এ বিষয়টি অসতর্কতা ও অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হয়েছে বলে দাবি করেন।
বেদিতে জুতা নিয়ে অবস্থানের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট মহানগর ইউনিটের কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ। তিনি বলেন, ‘শহীদ মিনার হচ্ছে শ্রদ্ধার প্রতীক। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মানুষ শহীদ বেদিতে জুতা খুলে ওঠে। এ ঘটনার জন্য তাদের (ছাত্রলীগ) দুঃখ প্রকাশ করে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক হওয়া উচিত।’
ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, পৃথক দুই অধিবেশনের জন্য যথারীতি সময় নির্ধারণ করা ছিল। বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মেলন ও বেলা দুইটা থেকে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সুলেমান হলে কাউন্সিল অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল। শহীদ মিনারে সম্মেলন করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগসহ নেতারা পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে সিলেট ত্যাগ করেন।
সম্মেলন সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টায় শুরু হয়। বদিউজ্জামান সোহাগ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। নগর ছাত্রলীগের বিদায়ী সভাপতি রাহাত তরফদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমরুল হাসানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাঈম হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন-অর-রশিদসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
প্রথম অধিবেশন সমাপ্তির সময় কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, ‘ছাত্রলীগ হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংগঠন। ছাত্র ছাড়া কেউ নেতৃত্বে আসতে পারবে না।’ সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি এ বিবেচনায় হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নতুন কমিটি হবে। পরবর্তী সময়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা ঘোষণা করা হবে।
২০১১ সালের ৯ জুলাই ১০১ সদস্যবিশিষ্ট সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। তিন বছর মেয়াদি ওই কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার প্রায় এক বছর পর গতকাল সম্মেলন হলো।
শহীদ বেদিতে জুতা পায়ে অবস্থান: সম্মেলন সামনে রেখে সকাল থেকে সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা ছিল সরগরম। সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলন শুরুর কথা থাকলেও দুপুর ১২টায় শুরু হয়। মাঝে প্রায় দুই ঘণ্টা শহীদ মিনারসহ আশপাশের এলাকায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অনেকটা আড্ডার ছলে সময় কাটতে দেখা গেছে। সম্মেলনস্থলের শহীদ মিনার অংশে অবস্থান নেওয়া কর্মীদের শহীদ মিনারের মূল বেদিতে জুতা পায়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
সম্মেলনের সঞ্চালক নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমরুল হাসান বলেন, ‘শুরুর দিকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হলেও পরে বিপুল উপস্থিতির কারণে আর এ বিষয়ে খেয়াল রাখা যায়নি।’ তবে তিনি এ বিষয়টি অসতর্কতা ও অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হয়েছে বলে দাবি করেন।
বেদিতে জুতা নিয়ে অবস্থানের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট মহানগর ইউনিটের কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ। তিনি বলেন, ‘শহীদ মিনার হচ্ছে শ্রদ্ধার প্রতীক। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মানুষ শহীদ বেদিতে জুতা খুলে ওঠে। এ ঘটনার জন্য তাদের (ছাত্রলীগ) দুঃখ প্রকাশ করে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক হওয়া উচিত।’
No comments