কিরণমালা এখন চিলমারীতে
গতবারের
ন্যায় এবারও চিলমারীর ঈদের বাজার দখলে নিয়েছে ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের
জনপ্রিয় চরিত্রের নামে বাজারে আসা পোশাকগুলো। ইতিমধ্যে এসব পোশাক শহরকে
ছাড়িয়ে জায়গা করে নিয়েছে মফস্বলের হাট-বাজারগুলোতেও। দোকানে দোকানে শোভা
পাচ্ছে এসব পোশাক।
শুধু পোশাক নয় এবারের ঈদ বাজারে সেসব জনপ্রিয় চরিত্রের নামে বাজারে এসেছে অলঙ্কার থেকে শুরু করে স্যান্ডেল পর্যন্ত। তবে সবকিছুই গরিবের নাগালের বাইরে। আকাশচুম্বী দামের কারণে মধ্যবিত্ত ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। ভারতীয় চ্যানেল স্টার জলসার কিরণমালা কতটা আমেজ তৈরি করেছে এবারের ঈদের বাজারে গেলেই আঁচ করা যায়। সেই সঙ্গে ছেলেদের জন্য রংবাজ শার্ট। উপজেলার সকল বাজারের বিপণিবিতানেই ভারতীয় সিরিয়ালের অভিনেত্রীদের নাম ও ছবির ট্যাগ ঝোলানো পোশাকের দৌরাত্ম্য। বাজারে আসা সব শ্রেণীর ক্রেতার নজরও বাংলা সিরিয়ালের অভিনেত্রীর নাম ঝোলানো পোশাকগুলোর দিকেই। সদর থানাহাট বাজারের বেশকটি বিপনণিবিতাণ ঘুরে দেখা গেছে চারদিকে শুধুই ‘কিরণমালা’। এর আগে ‘ঝিলিক’ এবং গত বছর জায়গা দখল করে নিয়েছে পাখি আর এবারে ‘কিরণমালা’র দখলে। বাসা থেকে মার্কেট সবখানেই যেন ‘কিরণমালা’ রব উঠেছে। প্রতিটি দোকানেই ক্রেতাদের প্রথম চাওয়া ‘কিরণমালা’। ‘কিরণমালা’র দাম কতো, বাচ্চাদের কিরণমালা আছে? এছাড়াও পাখি, সারারা, মৎস্যকুমারী, ফ্লোর টাচ, লুঙ্গিজামার চাহিদাও এবছর চোখে পড়ার মতোই। মাফি ফ্যাশনের বিক্রেতা বাবলুর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘কিরণমালা’র চাহিদা আকাশচুম্বী। তার মতে এখানে কিরণমালার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্যাটাগরির পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। যার দাম এক হাজার টাকা থেকে চার হাজার টাকা। আর ছেলেদের রয়েছে রংবাজ শার্টসহ বিভিন্ন ছবি ও নায়কের নামে পোশাক। একই দোকানে বসে কথা হয় নারী ক্রেতা সঙ্গে। তার মতে এবারের ঈদের বাজারে কিরণমালার চাহিদার পাশাপাশি দামও আকাশচুম্বী। প্রতিটি দোকানেই কিরণমালার পোশাকের ব্যাপক চাহিদা। সব পরিবারের মেয়েদের ঈদের চাহিদা কিরণমালা। আর শিশুদের রংবাজ একটি শার্ট কিনেছেন তার দাম ৭০০ টাকা। তবে কিরণমালার চাহিদা পোশাককে ছাড়িয়ে জুতা আর গহনার বাজারেও দাপট সৃষ্টি করেছে। কিরণমালার জুতা বিক্রি করেছে ছড়া দামে। তবে বিভিন্ন দোকানে কিরণমালার জুতা বিক্রি প্রসঙ্গে একাধিক ক্রেতার মতে শুধুমাত্র বিক্রি বাড়াতেই এসব নাম দেয়া হয়েছে। ঈদের বাজারে আসা কিরণমালা পোশাকের বিশেষত্ব জানতে চাইলে একাধিক বিক্রেতা এ প্রতিনিধিকে বলেন, পোশাকের আসলে নাম হয় না। ভারতীয় সিরিয়ালে কিরণমালা ‘কটি’ পরে বলে কটিওয়ালা ফোর পিসের নাম দেয়া হয়েছে কিরণমালা। আর তাতেই বিভিন্ন শপিং মলে এসে ক্রেতাদের চাওয়া ‘কিরণমালা’? তাদের মতে চরিত্রের জনপ্রিয়তাও এসব নাম নির্ধারণের পেছনে একটি বড় কারণ। মমিনুল নামের একজন ক্রেতা বলেন, “গতবার পাখি আর এবার কিরণমালা বলে বাচ্চারা মাথা খারাপ করে ফেলছে। অনেকেই বেশি দামে এসব নামসর্বস্ব পোশাক কিনতে পারলেও অনেকেই অর্থাভাবে বিমুখ হয়ে বাড়ি ফিরছে। তবে সচেতন মহলের অনেকেই চিলমারীসহ দেশজুড়ে অনাকাক্সিক্ষত অপমৃত্যু ঠেকাতে অবিলম্বে এসব ভারতীয় সিরিয়ালের নামে বাজারে আসা পোশাকের বাজারজাত ও বিক্রি বন্ধে সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শুধু পোশাক নয় এবারের ঈদ বাজারে সেসব জনপ্রিয় চরিত্রের নামে বাজারে এসেছে অলঙ্কার থেকে শুরু করে স্যান্ডেল পর্যন্ত। তবে সবকিছুই গরিবের নাগালের বাইরে। আকাশচুম্বী দামের কারণে মধ্যবিত্ত ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। ভারতীয় চ্যানেল স্টার জলসার কিরণমালা কতটা আমেজ তৈরি করেছে এবারের ঈদের বাজারে গেলেই আঁচ করা যায়। সেই সঙ্গে ছেলেদের জন্য রংবাজ শার্ট। উপজেলার সকল বাজারের বিপণিবিতানেই ভারতীয় সিরিয়ালের অভিনেত্রীদের নাম ও ছবির ট্যাগ ঝোলানো পোশাকের দৌরাত্ম্য। বাজারে আসা সব শ্রেণীর ক্রেতার নজরও বাংলা সিরিয়ালের অভিনেত্রীর নাম ঝোলানো পোশাকগুলোর দিকেই। সদর থানাহাট বাজারের বেশকটি বিপনণিবিতাণ ঘুরে দেখা গেছে চারদিকে শুধুই ‘কিরণমালা’। এর আগে ‘ঝিলিক’ এবং গত বছর জায়গা দখল করে নিয়েছে পাখি আর এবারে ‘কিরণমালা’র দখলে। বাসা থেকে মার্কেট সবখানেই যেন ‘কিরণমালা’ রব উঠেছে। প্রতিটি দোকানেই ক্রেতাদের প্রথম চাওয়া ‘কিরণমালা’। ‘কিরণমালা’র দাম কতো, বাচ্চাদের কিরণমালা আছে? এছাড়াও পাখি, সারারা, মৎস্যকুমারী, ফ্লোর টাচ, লুঙ্গিজামার চাহিদাও এবছর চোখে পড়ার মতোই। মাফি ফ্যাশনের বিক্রেতা বাবলুর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘কিরণমালা’র চাহিদা আকাশচুম্বী। তার মতে এখানে কিরণমালার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্যাটাগরির পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। যার দাম এক হাজার টাকা থেকে চার হাজার টাকা। আর ছেলেদের রয়েছে রংবাজ শার্টসহ বিভিন্ন ছবি ও নায়কের নামে পোশাক। একই দোকানে বসে কথা হয় নারী ক্রেতা সঙ্গে। তার মতে এবারের ঈদের বাজারে কিরণমালার চাহিদার পাশাপাশি দামও আকাশচুম্বী। প্রতিটি দোকানেই কিরণমালার পোশাকের ব্যাপক চাহিদা। সব পরিবারের মেয়েদের ঈদের চাহিদা কিরণমালা। আর শিশুদের রংবাজ একটি শার্ট কিনেছেন তার দাম ৭০০ টাকা। তবে কিরণমালার চাহিদা পোশাককে ছাড়িয়ে জুতা আর গহনার বাজারেও দাপট সৃষ্টি করেছে। কিরণমালার জুতা বিক্রি করেছে ছড়া দামে। তবে বিভিন্ন দোকানে কিরণমালার জুতা বিক্রি প্রসঙ্গে একাধিক ক্রেতার মতে শুধুমাত্র বিক্রি বাড়াতেই এসব নাম দেয়া হয়েছে। ঈদের বাজারে আসা কিরণমালা পোশাকের বিশেষত্ব জানতে চাইলে একাধিক বিক্রেতা এ প্রতিনিধিকে বলেন, পোশাকের আসলে নাম হয় না। ভারতীয় সিরিয়ালে কিরণমালা ‘কটি’ পরে বলে কটিওয়ালা ফোর পিসের নাম দেয়া হয়েছে কিরণমালা। আর তাতেই বিভিন্ন শপিং মলে এসে ক্রেতাদের চাওয়া ‘কিরণমালা’? তাদের মতে চরিত্রের জনপ্রিয়তাও এসব নাম নির্ধারণের পেছনে একটি বড় কারণ। মমিনুল নামের একজন ক্রেতা বলেন, “গতবার পাখি আর এবার কিরণমালা বলে বাচ্চারা মাথা খারাপ করে ফেলছে। অনেকেই বেশি দামে এসব নামসর্বস্ব পোশাক কিনতে পারলেও অনেকেই অর্থাভাবে বিমুখ হয়ে বাড়ি ফিরছে। তবে সচেতন মহলের অনেকেই চিলমারীসহ দেশজুড়ে অনাকাক্সিক্ষত অপমৃত্যু ঠেকাতে অবিলম্বে এসব ভারতীয় সিরিয়ালের নামে বাজারে আসা পোশাকের বাজারজাত ও বিক্রি বন্ধে সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
No comments