খেলে দশ দেশ, নাম আবার বিশ্বকাপ!
খুবই
যৌক্তিক প্রশ্ন করেছেন প্রেস্টন মমসেন। মাত্র দশটা দলকে নিয়ে আয়োজিত
একটা টুর্নামেন্টের নাম ‘বিশ্ব’কাপ হয় কী করে? স্কটল্যান্ড অধিনায়কের সাফ
বক্তব্য, এই টুর্নামেন্টটিকে আর যাই হোক ‘বিশ্বকাপ’ বলা যায় না। সহযোগী
দেশগুলো আইসিসির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনাও করছে বলে
জানিয়েছেন মমসেন।
২০০৭ বিশ্বকাপে ছিল ১৬ দল। গত দুই বিশ্বকাপে সেটি কমে নেমে আসে ১৪-তে। আগামী বিশ্বকাপে আরও কমে দলের সংখ্যা হয়ে যাচ্ছে ১০। আইসিসি নিজে ক্রিকেটের বিশ্বায়নের কথা বলে হাঁটছে উল্টো পথে। আইসিসি এ ব্যাপারে কখনো কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে কারও বুঝতে বাকি নেই, ধুরন্ধর ব্যবসায়ী এন শ্রীনিবাসনের দীক্ষায় দীক্ষিত আইসিসির কাছে ব্যবসাটাই মুখ্য। আফগানিস্তান-স্কটল্যান্ডের ম্যাচ যে বিকোয় না!
কিন্তু আসলেই কি সহযোগী দেশগুলো ‘অংশগ্রহণই বড় কথা’ আপ্তবাক্যে বিশ্বাসী হয়ে কেবল দলের সংখ্যা বাড়াতেই আসে বিশ্বকাপে? আয়ারল্যান্ড তো ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে। এবারও কোয়ার্টার ফাইনালে প্রায় চলেই গিয়েছিল। বিনা যুদ্ধে সুচাগ্র মেদেনী না দেওয়ার পণ ছিল বাকিদের মধ্যেও। আরব আমিরাতের শাইমান আনোয়ার তো নামকরা তারকাদের পেছনে ফেলে দীর্ঘ একটা সময় সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়েও থাকলেন।
আফগানিস্তানের পর ওদিকে এশিয়ার আরেক ক্রিকেট পাগল দেশ হিসেবে উঠে আসছে নেপাল। আইসিসির নীতি ক্রিকেটকে সম্প্রসারিত করবে নাকি সংকুচিত? এই প্রশ্ন তাই উঠছেই। সহযোগী দেশগুলোর সর্বশেষ আশা ছিল আইসিসির সর্বশেষ বৈঠক। কদিন আগে বারবাডোজে অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে নতুন করে বিষয়টি নিয়ে ভাবার সুযোগ ছিল আইসিসির। কিন্তু জানা গেছে, আলোচ্য সূচিতেই নাকি বিষয়টি ছিল না। ১০ দলই খেলবে—এ ব্যাপারে আইসিসি অটল।
এরই প্রতিক্রিয়ায় মমসেন ঝাঁজাল ভাষায় বলেছেন, ‘আইসিসির কোনো অধিকার নেই এটিকে বিশ্বকাপ নামে ডাকার। বাকি বৈশ্বিক খেলাগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে এটা উল্টো পথে হাঁটার মতো। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় ২০১৫ সালে এসে এ রকম কিছু একটা ঘটছে। বিশ্বকাপের মতো একটা টুর্নামেন্টে খেলার আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্নই আমাকে স্কটল্যান্ডের হয়ে খেলে যেতে অনুপ্রাণিত করে।’
আয়ারল্যান্ডের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলা নিয়াল ও’ব্রায়েনও আইসিসির সমালোচনায় মুখর, ‘বাকি সব খেলাই যখন বিশ্বকাপে তাদের দল বাড়াচ্ছে, তখন ক্রিকেটে কেন সেটি কমে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না। এটা খুবই হতাশাজনক। ভাবতেই খারাপ লাগছে, আয়ারল্যান্ড হয়তো তার শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছে।’
না, এখনো আশা আছে। বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পাবে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা আটটি দল। বাকি দুটো দলকে বাছাই পর্ব খেলতে হবে সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে। আইসিসির দশ টেস্ট খেলুড়ের সঙ্গে সহযোগী দেশগুলো পেরে উঠবে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
তবে আইসিসির এই নীতির কট্টর সমালোচক খোদ শচীন টেন্ডুলকার। তিনি এমন প্রস্তাবও দিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ কেন ২৫টি দলকে নিয়ে হবে না? এতগুলো দল খেললে তবেই না সার্থক হবে বিশ্বকাপ নামটি।
কিন্তু তাঁর কথা আইসিসি কান দেয়নি। এবং শেষ পর্যন্ত সহযোগী দেশগুলো সম্ভবত আইনি লড়াইয়েই নামতে যাচ্ছে। সবাই মিলে এককাট্টা হয়ে আইসিসির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে মামলা করতে পারে স্কটল্যান্ড-আয়ারল্যান্ডের মতো দেশগুলো।
২০০৭ বিশ্বকাপে ছিল ১৬ দল। গত দুই বিশ্বকাপে সেটি কমে নেমে আসে ১৪-তে। আগামী বিশ্বকাপে আরও কমে দলের সংখ্যা হয়ে যাচ্ছে ১০। আইসিসি নিজে ক্রিকেটের বিশ্বায়নের কথা বলে হাঁটছে উল্টো পথে। আইসিসি এ ব্যাপারে কখনো কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে কারও বুঝতে বাকি নেই, ধুরন্ধর ব্যবসায়ী এন শ্রীনিবাসনের দীক্ষায় দীক্ষিত আইসিসির কাছে ব্যবসাটাই মুখ্য। আফগানিস্তান-স্কটল্যান্ডের ম্যাচ যে বিকোয় না!
কিন্তু আসলেই কি সহযোগী দেশগুলো ‘অংশগ্রহণই বড় কথা’ আপ্তবাক্যে বিশ্বাসী হয়ে কেবল দলের সংখ্যা বাড়াতেই আসে বিশ্বকাপে? আয়ারল্যান্ড তো ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে। এবারও কোয়ার্টার ফাইনালে প্রায় চলেই গিয়েছিল। বিনা যুদ্ধে সুচাগ্র মেদেনী না দেওয়ার পণ ছিল বাকিদের মধ্যেও। আরব আমিরাতের শাইমান আনোয়ার তো নামকরা তারকাদের পেছনে ফেলে দীর্ঘ একটা সময় সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়েও থাকলেন।
আফগানিস্তানের পর ওদিকে এশিয়ার আরেক ক্রিকেট পাগল দেশ হিসেবে উঠে আসছে নেপাল। আইসিসির নীতি ক্রিকেটকে সম্প্রসারিত করবে নাকি সংকুচিত? এই প্রশ্ন তাই উঠছেই। সহযোগী দেশগুলোর সর্বশেষ আশা ছিল আইসিসির সর্বশেষ বৈঠক। কদিন আগে বারবাডোজে অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে নতুন করে বিষয়টি নিয়ে ভাবার সুযোগ ছিল আইসিসির। কিন্তু জানা গেছে, আলোচ্য সূচিতেই নাকি বিষয়টি ছিল না। ১০ দলই খেলবে—এ ব্যাপারে আইসিসি অটল।
এরই প্রতিক্রিয়ায় মমসেন ঝাঁজাল ভাষায় বলেছেন, ‘আইসিসির কোনো অধিকার নেই এটিকে বিশ্বকাপ নামে ডাকার। বাকি বৈশ্বিক খেলাগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে এটা উল্টো পথে হাঁটার মতো। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় ২০১৫ সালে এসে এ রকম কিছু একটা ঘটছে। বিশ্বকাপের মতো একটা টুর্নামেন্টে খেলার আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্নই আমাকে স্কটল্যান্ডের হয়ে খেলে যেতে অনুপ্রাণিত করে।’
আয়ারল্যান্ডের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলা নিয়াল ও’ব্রায়েনও আইসিসির সমালোচনায় মুখর, ‘বাকি সব খেলাই যখন বিশ্বকাপে তাদের দল বাড়াচ্ছে, তখন ক্রিকেটে কেন সেটি কমে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না। এটা খুবই হতাশাজনক। ভাবতেই খারাপ লাগছে, আয়ারল্যান্ড হয়তো তার শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছে।’
না, এখনো আশা আছে। বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পাবে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা আটটি দল। বাকি দুটো দলকে বাছাই পর্ব খেলতে হবে সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে। আইসিসির দশ টেস্ট খেলুড়ের সঙ্গে সহযোগী দেশগুলো পেরে উঠবে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
তবে আইসিসির এই নীতির কট্টর সমালোচক খোদ শচীন টেন্ডুলকার। তিনি এমন প্রস্তাবও দিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ কেন ২৫টি দলকে নিয়ে হবে না? এতগুলো দল খেললে তবেই না সার্থক হবে বিশ্বকাপ নামটি।
কিন্তু তাঁর কথা আইসিসি কান দেয়নি। এবং শেষ পর্যন্ত সহযোগী দেশগুলো সম্ভবত আইনি লড়াইয়েই নামতে যাচ্ছে। সবাই মিলে এককাট্টা হয়ে আইসিসির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে মামলা করতে পারে স্কটল্যান্ড-আয়ারল্যান্ডের মতো দেশগুলো।
No comments