খুলনায় লং কামিজ ও খাজকাটা সালোয়ারের কদর বেশি
লম্বা কামিজ, তার সঙ্গে ঢোলা খাজকাটা সালোয়ার। ডিভাইডার নামেই যা’ বেশি পরিচিত। এই পালাজ্জোতেই এবার মজেছে খুলনার তরুণীরা। ঈদ বাজারে এ বছর নতুন ক্রেজ এই পালাজ্জো। পেন লং কামিজ বা স্টেট কামিজ, শেরওয়ানী কামিজ বা কটিসহ কামিজও চলছে সমানভাবে। কামিজের সঙ্গে ধুতি সালোয়ারেরও চল ভাল। আছে ভারতীয় বাংলা সিরিয়ালের কিরণমালার নামে কামিজ। ঈদ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার শুরু থেকেই বাহারী নামের ও ডিজাইনের পোশাকের পশরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। নামী-দামি বিপণিবিতান, শপিং মল থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তের মার্কেটও এখন নতুন পোশাকে ঠাসা। প্রায় ১৪ রমজানের পর শুক্রবার থেকে বেচা-কেনা মোটামুটি জমে উঠেছে। বিক্রেতারা জানান, যত দিন যাবে বিক্রি আরও বাড়বে। বিপণিবিতানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, গত বছরের ক্রেজ লং ফ্রকের স্থান দখল করেছে লং কামিজ। বিশেষ করে কাশ্মিরি বুটিকস্, পাকিস্তানী পেটেল বাদ্দাম, মালাই মার্কে ও পিওর জর্জেটের কামিজের কদর বেশি। নতুনভাবে শেরওয়ানি কামিজের দিকেও এবার তরুণীরা বেশি ঝুঁকেছেন। দেশী, ভারতীয়, পাকিস্তানী থ্রি-পিসও দখল করে রেখেছে ঈদের বাজার। এবার গলায় ভারী কাজ করা নতুন থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে কিরণমালা নামে। বাংলা সিরিয়ালে কিরণমালা এই পোশাক পরে থাকে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছে। নিউ মার্কেটের অভিজাত বিপণি বিতান খুলনা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক আলমগীর কবির জানান, পালাজ্জোই এবার বেশি বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে লং কামিজের সঙ্গে শেরওয়ানী বা কটিসহ কামিজের বিক্রি ভাল। তিনি জানান, দেশী লং কামিজ এক হাজার ৬০০ থেকে আড়াই হাজার, ভারতীয় ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার এবং ভাল জর্জেটের কামিজ ৫ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পালাজ্জো কামিজসহ বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকায়। শার্ট ও টি-শার্টের সঙ্গে পরতেও অনেকে শুধু সালোয়ার নিচ্ছেন। পালাজ্জো সিঙ্গেল সালোয়ারের দাম ৮৫০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। খুলনা শপিং কমপ্লেক্সে বিসমিল্লাহ ফেব্রিক্সের স্বত্বাধিকারী মো. আবুল হাসান জানান, সুতির কামিজের কদর এবার অন্য যে কোন বছরের তুলনায় বেশি। সেই সঙ্গে লং কামিজ ও কটিসহ কামিজ বেশি বিক্রি হচ্ছে। কিরণমালা কামিজ প্রতিটি ১৮০০ থেকে ৫ হাজার এবং সুতি কামিজ দেড় হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ছেলেদের পোশাকে এবারও গুরুত্ব পেয়েছে ওয়েস্টার্ন ফ্যাশন। শিশুদের পোশাকের মধ্যে মোদি কোটের বিক্রি ভাল। এ ছাড়া ভারতীয় ও থাই শার্ট-প্যান্ট বিক্রিতে এগিয়ে রয়েছে। তবে বরাবরের মতো এবারও পাঞ্জাবির বাজার একচেটিয়া দখল করে রেখেছে দেশীয় ফ্যাশন হাউজ আড়ং।
অপরদিকে ঈদকে সামনে রেখে নগরীর জিয়া হল প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ঈদ আনন্দ মেলা। মেলার আয়োজক আহত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতির মহাসচিব ইদ্রিস আলী জানান, প্রথম দিকে বেচা-কেনা কম থাকলেও এখন মেলা পুরোপুরি জমে উঠেছে। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ব্যবসায়ীরা ছাড়ে পণ্য বিক্রি করছেন।
এদিকে ছেলেদের পোশাকে এবারও গুরুত্ব পেয়েছে ওয়েস্টার্ন ফ্যাশন। শিশুদের পোশাকের মধ্যে মোদি কোটের বিক্রি ভাল। এ ছাড়া ভারতীয় ও থাই শার্ট-প্যান্ট বিক্রিতে এগিয়ে রয়েছে। তবে বরাবরের মতো এবারও পাঞ্জাবির বাজার একচেটিয়া দখল করে রেখেছে দেশীয় ফ্যাশন হাউজ আড়ং।
অপরদিকে ঈদকে সামনে রেখে নগরীর জিয়া হল প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ঈদ আনন্দ মেলা। মেলার আয়োজক আহত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতির মহাসচিব ইদ্রিস আলী জানান, প্রথম দিকে বেচা-কেনা কম থাকলেও এখন মেলা পুরোপুরি জমে উঠেছে। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ব্যবসায়ীরা ছাড়ে পণ্য বিক্রি করছেন।
No comments