যত্রতত্র রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি- ঢাকা উত্তরে: জলাবদ্ধতা, আবর্জনার ভাগাড় by অরূপ দত্ত
মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনের পেছনে সিআরপির পাশে খালের ওপর ভাষানটেক বস্তি। দখলে–দূষণে খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় মিরপুরের অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে l সাবিনা ইয়াসমিন |
ভাঙা
খোঁড়া রাস্তা। মাঝারি বৃষ্টিতে হাঁটুপানি। হঠাৎ লোডশেডিং। রিকশাটি সোজা
গর্তে। ময়লা পানিতে আরোহী মা ও মেয়ে। মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনে গ্লোরি
স্কুল অ্যান্ড কলেজের গলিতে এমন দৃশ্য দেখেও অবাক হননি দুই পাশের দোকানিরা।
কারণ, বর্ষা শুরুর পর প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
মাত্র কয়েক দিন আগে গত ২৭ জুন সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার কষ্টের অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন স্কুলশিক্ষিকা আঞ্জুমান আরা বেগম। গত বুধবার সকালে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘মেয়ের বাঁ হাঁটুর ব্যথাটি এখনো যায়নি। নোংরা পানিতে আমার চশমা পড়ে যাওয়ার পর আর খুঁজে পাইনি।’ দুর্ঘটনার দিন সকাল-সন্ধ্যার ২৭ মিলিমিটারের বৃষ্টিতে এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা হয়েছিল।
বুধবার দেখা গেল, খোঁড়াখুঁড়ি আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গ্লোরি স্কুলের রাস্তাটির এমনই বেহাল অবস্থা যে, মনে হয় দেখার কেউ নেই। পানির সরবরাহ বাড়াতে তিন মাস আগে ঢাকা ওয়াসা সড়কটি খুঁড়েছে। বিশাল বিশাল গর্ত করে চারপাশে পাকা বক্স তৈরি করা হয়েছে। বসানো হয়েছে মোটা পাইপ। সেই গর্ত এখন মরণ ফাঁদ। গর্ত ছাড়াও রাস্তার এখানে-সেখানে ইট বেরিয়ে আছে। এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন, মোকাররম হোসেন, সৈকত তালুকদারসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, রাস্তা তো মেরামত হয়ইনি, উপরন্তু পানির সরবরাহও বাড়েনি।
ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ ডি এম কামরুল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে একটি বিশেষ প্রকল্পের কাজ চলছে। কাজ শেষে পানির সরবরাহ আরও বাড়বে। তিনি বলেন, রাস্তা খোঁড়ার আগেই মেরামতের জন্য ক্ষতিপূরণ সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হয়।
এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। মিরপুর ১৩ ও ১৪ নম্বর সেকশন, কাফরুল ও আশপাশের এলাকা নিয়ে এই ওয়ার্ড। কাফরুল বাইশটেকি, হাজি আলী হোসেন রোড, ব্লক বি ও সির অন্তত ১০টি রাস্তায় দেখা গেছে, আগে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে চলার মতো অবস্থা নেই।
মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হলেই ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। তবে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আগে এসব সমস্যার দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগদলীয় বর্তমান কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা। প্রশ্নের মুখে গতকাল তাঁর সুর একটু ভিন্ন। বললেন, ‘শপথ নেওয়ার পর এত অল্প সময়ে সবকিছু করা সম্ভব নয়। কী কাজ হয়েছে, তা অন্তত এক বছর পর খবর নেবেন। তবে একেবারেই যে কাজ করছি না, তা নয়। রাস্তার বাতি বছরের পর বছর ভালো ছিল না, সারানো হয়েছে। রাস্তা মেরামতের চেষ্টা হচ্ছে। তবে প্রধান সমস্যা ঢাকা ওয়াসা। ওয়াসার কারণে এলাকায় জলাবদ্ধতা। ১৪ নম্বর থেকে ভাষানটেক হয়ে গোড়ান চটবাড়ি পর্যন্ত (ভাষানটেক-রূপনগর খাল) খালটি ভরাট হয়ে গেছে। ওয়াসা ভরাটমুক্ত না করায় পানি যেতে পারে না।’
১৪ নম্বরের পেছনে বাংলাদেশ পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের (সিআরপি) পাশে ভাষানটেক বস্তি এলাকায় খালটি ময়লা পানি ও আবর্জনায় সংকুচিত হয়ে আছে। দুই বছর আগে সেখানে খাল ছিল ৩০ ফুট চওড়া। এখন ৫ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ১৫ ফুট।
হারমেন মেইনার স্কুলের পাশে ১৩ নম্বর প্রধান সড়কের ওপর ময়লা-আবর্জনার দুটি কনটেইনার দেখা যায় গত বুধবার। পুরো এলাকার আবর্জনাবাহী ভ্যান এসে সেখানে জড়ো করে ঢোকানো হচ্ছে কনটেইনারে। কনটেইনার বহনের জন্য রাখা হয়েছে ট্রাক। দুর্গন্ধ ঠেকাতে বন্ধ করে রাখা হয়েছে হারমেন মেইনার স্কুলের রাস্তামুখী জানালাগুলো।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, কনটেইনার রাখার আগের জায়গা নিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ায় আপাতত হারমেন মেইনার স্কুলের কাছে রাখা হয়েছিল। পরে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
মাত্র কয়েক দিন আগে গত ২৭ জুন সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার কষ্টের অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন স্কুলশিক্ষিকা আঞ্জুমান আরা বেগম। গত বুধবার সকালে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘মেয়ের বাঁ হাঁটুর ব্যথাটি এখনো যায়নি। নোংরা পানিতে আমার চশমা পড়ে যাওয়ার পর আর খুঁজে পাইনি।’ দুর্ঘটনার দিন সকাল-সন্ধ্যার ২৭ মিলিমিটারের বৃষ্টিতে এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা হয়েছিল।
বুধবার দেখা গেল, খোঁড়াখুঁড়ি আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গ্লোরি স্কুলের রাস্তাটির এমনই বেহাল অবস্থা যে, মনে হয় দেখার কেউ নেই। পানির সরবরাহ বাড়াতে তিন মাস আগে ঢাকা ওয়াসা সড়কটি খুঁড়েছে। বিশাল বিশাল গর্ত করে চারপাশে পাকা বক্স তৈরি করা হয়েছে। বসানো হয়েছে মোটা পাইপ। সেই গর্ত এখন মরণ ফাঁদ। গর্ত ছাড়াও রাস্তার এখানে-সেখানে ইট বেরিয়ে আছে। এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন, মোকাররম হোসেন, সৈকত তালুকদারসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, রাস্তা তো মেরামত হয়ইনি, উপরন্তু পানির সরবরাহও বাড়েনি।
ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ ডি এম কামরুল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে একটি বিশেষ প্রকল্পের কাজ চলছে। কাজ শেষে পানির সরবরাহ আরও বাড়বে। তিনি বলেন, রাস্তা খোঁড়ার আগেই মেরামতের জন্য ক্ষতিপূরণ সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হয়।
এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। মিরপুর ১৩ ও ১৪ নম্বর সেকশন, কাফরুল ও আশপাশের এলাকা নিয়ে এই ওয়ার্ড। কাফরুল বাইশটেকি, হাজি আলী হোসেন রোড, ব্লক বি ও সির অন্তত ১০টি রাস্তায় দেখা গেছে, আগে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে চলার মতো অবস্থা নেই।
মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হলেই ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। তবে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আগে এসব সমস্যার দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগদলীয় বর্তমান কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা। প্রশ্নের মুখে গতকাল তাঁর সুর একটু ভিন্ন। বললেন, ‘শপথ নেওয়ার পর এত অল্প সময়ে সবকিছু করা সম্ভব নয়। কী কাজ হয়েছে, তা অন্তত এক বছর পর খবর নেবেন। তবে একেবারেই যে কাজ করছি না, তা নয়। রাস্তার বাতি বছরের পর বছর ভালো ছিল না, সারানো হয়েছে। রাস্তা মেরামতের চেষ্টা হচ্ছে। তবে প্রধান সমস্যা ঢাকা ওয়াসা। ওয়াসার কারণে এলাকায় জলাবদ্ধতা। ১৪ নম্বর থেকে ভাষানটেক হয়ে গোড়ান চটবাড়ি পর্যন্ত (ভাষানটেক-রূপনগর খাল) খালটি ভরাট হয়ে গেছে। ওয়াসা ভরাটমুক্ত না করায় পানি যেতে পারে না।’
১৪ নম্বরের পেছনে বাংলাদেশ পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের (সিআরপি) পাশে ভাষানটেক বস্তি এলাকায় খালটি ময়লা পানি ও আবর্জনায় সংকুচিত হয়ে আছে। দুই বছর আগে সেখানে খাল ছিল ৩০ ফুট চওড়া। এখন ৫ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ১৫ ফুট।
হারমেন মেইনার স্কুলের পাশে ১৩ নম্বর প্রধান সড়কের ওপর ময়লা-আবর্জনার দুটি কনটেইনার দেখা যায় গত বুধবার। পুরো এলাকার আবর্জনাবাহী ভ্যান এসে সেখানে জড়ো করে ঢোকানো হচ্ছে কনটেইনারে। কনটেইনার বহনের জন্য রাখা হয়েছে ট্রাক। দুর্গন্ধ ঠেকাতে বন্ধ করে রাখা হয়েছে হারমেন মেইনার স্কুলের রাস্তামুখী জানালাগুলো।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, কনটেইনার রাখার আগের জায়গা নিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ায় আপাতত হারমেন মেইনার স্কুলের কাছে রাখা হয়েছিল। পরে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
No comments