রাস্তা সংস্কারে বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা

অতীতে কোন বরাদ্দ না থাকলেও চলতি অর্থবছরে জেলা সদরের রাস্তা সংস্কারের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ফলে দ্রুত জেলা সদরের রাস্তাগুলো সংস্কার সম্ভব হবে। গতকাল সংসদে এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরপর্বে তিনি এ তথ্য জানান। সরকারদলীয় সদস্য চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, ২০১৮ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ঢাকা-যশোর এবং ঢাকা-কুয়াকাটা পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণ করা হবে। এছাড়া, ভবিষ্যতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি সিক্স লেন এক্সপ্রেসওয়ে হবে। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রাস্তাটি সিক্স লেন এক্সপ্রেসওয়ে হবে। কর্ণফুলী নদীর টানেল চুক্তি করার সময় দুটি চায়না কোম্পানি ছয় লেন করার প্রস্তাব দিয়েছে। মন্ত্রী জানান, ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে প্রথম ধাপের কাজ শুরুর ১২ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের জমি হস্তান্তর করতে না পারলে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার বিলম্ব ফি দিতে হবে। ওবায়দুল কাদের জানান, বিআরটিসি একটি সেবামূলক রাষ্ট্রীয় সংস্থা। বিভিন্ন দুর্যোগকালীন সময়ে বিশেষ করে হরতাল, অবরোধ ও বিরোধী রাজনৈতিক জোটের জ্বালাও পোড়াও, ভাঙচুরজনিত কারণে প্রায়শই বিআরটিসিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি দিতে হয়। এসব ক্ষতি কাটিয়ে বিআরটিসি বর্তমানে অপারেটিং লাভেই পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিআরটিসি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে পর্যায়ক্রমে সকল বিভাগীয় শহরে সিটি বাস সার্ভিস চালু করা হবে। একই প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ৩০০টি দ্বিতলা ও ১০০টি আর্টিকুলেটেড বাস এবং ৫০০টি ট্রাক সংগ্রহ করে বাস ও ট্রাক বহরে যুক্ত করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। বর্তমানে ৪৮ জেলায় বিআরটিসি’র বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। ভবিষ্যতে সকল জেলায় বাস সার্ভিস সমপ্রসারণ করা হবে। বিআরটিসি’র ২৫টি বাসে ওআইফাই সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এছাড়া, বিআরটিসি’র রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে শক্তিশালী ভিজিলেন্স টিম গঠনের মাধ্যমে অপারেশনাল কার্যক্রমে মনিটরিং জোরদারের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
রেলওয়ের অব্যবহৃত ভূমিতে পাঁচ তারকা হোটেল
বর্তমানে রেলওয়ের ১২ হাজার ৯৬০ দশমিক ৪১ একর ভূমি অব্যবহৃত রয়েছে। এসব ভূমিতে কিছু অবৈধ স্থাপনা বা অবৈধ দখলে রয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সেখানে পাঁচতারকা হোটেল-কাম বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করা হবে। রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক গতকাল সংসদে এ তথ্য জানান। তিনি আরো বলেন, যে সব রেলভূমি অব্যবহৃত রয়েছে এবং ভবিষ্যতে রেলওয়ের সমপ্রসারণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রয়োজন হবে না সে সব রেলভূমিতে পিপিপি’র আওতায় পাঁচতারকা হোটেল-কাম বাণিজ্যিক ভবন, মোটেল, মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং বহুতল শপিংমল ইত্যাদি নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামস্থ জাকির হোসেন রোডে পিপিপি’র আওতায় ফাইভ স্টার হোটেল নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে পিপিপি হতে ট্রানজেকশন এডভাইজর নিয়োগ করা হয়েছে। শিগগিরই বিনিয়োগকারী নিয়োগের জন্য আরএফকিউ আহ্বান করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.