চট্টগ্রামের ঈদ বাজারে অস্ত্র by মহিউদ্দীন জুয়েল
ঈদকে
সামনে রেখে চট্টগ্রামে অস্ত্র উদ্ধারে নেমে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। বিশেষ
করে ছোট অস্ত্র। গত একমাসে নগরীতে অপরাধ জগতের বেশ কয়েকটি দলের প্রধানসহ
১০টির বেশি সন্ত্রাসী গ্রুপ ধরা পড়েছে। যাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে
৫০টির বেশি পিস্তল ও ছোরা। নগর পুলিশের ধারণা, ঈদের বাজারে লোকজনকে জিম্মি
করতে বান্দরবান ও মহেশখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অস্ত্র নিয়ে এসে
চট্টগ্রামে বিক্রি করছে একটি চক্র। আর তাদের কাছ থেকে এসব অস্ত্র কিনে
অপরাধ সংঘটিত করছে সন্ত্রাসীরা। নগর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া একাধিক
গ্রুপের সদস্যরা জানিয়েছে এমনই তথ্য। গত ২৯শে জুন নগরীর চকবাজার থানার
বাদশা মিয়া রোড থেকে অস্ত্রসহ চার ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে নগর
গোয়েন্দা পুলিশ। এদের মধ্যে সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর ও রেজাউল ইসলাম প্রকাশ
রাজন জিজ্ঞাসাবাদে জানান, এই মুহূর্তে চট্টগ্রামে ছিনতাইসহ ডাকাতির কাজে
নিয়োজিত রয়েছে অন্তত এক ডজনের বেশি অপরাধী চক্র। যাদের কাছে রয়েছে প্রচুর
ছোট অস্ত্র। এসব অস্ত্র আসছে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে। তাদের কাছ থেকে
উদ্ধার করা দেশে তৈরি দোনলা ছোট এলজি ও ১টি তাজা কার্তুজ, একটি ধারালো
চাপাতি ও দুটি ছুরি ৩০ হাজার টাকায় কেনা হয়েছে। এ ঘটনার পরদিন ৩০শে জুন
নগরীতে সাত ছিনতাইকারীকে অস্ত্রসহ আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তবে পুলিশ
তাদের ‘ডাকাত’ বলে উল্লেখ করে। শহরের সিআরবি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের
আটক করা হয়। কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নেজাম উদ্দিন বলেন, তাদের
সবার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ইয়াছিন প্রকাশ সুমন (২৫)
আমাদের বলেছে ঈদকে সামনে রেখে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এই জন্য প্রচুর
অস্ত্র শহরের বাইরে থেকে মজুত করা হচ্ছিল।
আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্রের মধ্যে সবই ছোট অস্ত্র। যার মধ্যে পিস্তলও রয়েছে। এগুলো হলো একটি দেশে তৈরি এলজি, দুই রাউন্ড কার্তুজ, স্টিলের বাঁটযুক্ত একটি চাপাতি, কাঠের বাঁটযুক্ত দুটি স্টিলের চাপাতি, ৬টি ছিনতাই করা মোবাইল সেট ও একটি সিএনজি অটোরিকশা। ধরা পড়ার আগে তারা সবাই সংঘবদ্ধ হয়ে সিআরবি এলাকায় বসে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাস কয়েক আগে বাকলিয়া থানায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর অস্ত্র ব্যবসায় নিয়োজিত এক দম্পতি জানায়, মহেশখালীর পাহাড়তলী ইউনিয়নের পূর্ব মাঝের ঢেইল এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী চট্টগ্রামে এখন পিস্তল সরবরাহ করছে। যার বেশির ভাগই ছড়িয়ে পড়ছে অপরাধ জগতে। স্থানীয় ইসহাক নামের এক ব্যক্তি এসব অস্ত্র কেনাবেচার কাজের সঙ্গে জড়িত। এই ঘটনায় মাবুদ নামের অপর এক ব্যক্তির নামও বেরিয়ে এসেছে। যাদের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানা পুলিশ আদালতে ইতিমধ্যে দুটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে।
জানতে চাইলে মানবজমিনের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয় নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এসএম তানভির আরাফাতের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত ১৫ দিনে যাদেরকে ধরা হয়েছে তাদের কাছ থেকে ছোট অস্ত্র হিসেবে পিস্তলই বেশি পাওয়া গেছে। হঠাৎ করে এসব অস্ত্র অপরাধীদের হাতে থাকায় কিছুটা উদ্বিগ্ন আমরা। তবে এ ব্যাপারে মানুষের নিরাপত্তা দিতে সব ধরনের টহল জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঈদকে টার্গেট করে মাঠে নেমেছে পুলিশ। সন্ধ্যার পর অভিযান চালানো হচ্ছে। বেশ কয়েকটি চক্র ধরাও পড়ছে। তবে এটা পরিষ্কার অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তালিকা অনুযায়ী এখনও তাদের ধরার জন্য আমরা হন্যে হয়ে খুঁজছি। ওরা ধরা পড়লে অপরাধ অনেক কমে আসবে বলে আমি মনে করি।
আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্রের মধ্যে সবই ছোট অস্ত্র। যার মধ্যে পিস্তলও রয়েছে। এগুলো হলো একটি দেশে তৈরি এলজি, দুই রাউন্ড কার্তুজ, স্টিলের বাঁটযুক্ত একটি চাপাতি, কাঠের বাঁটযুক্ত দুটি স্টিলের চাপাতি, ৬টি ছিনতাই করা মোবাইল সেট ও একটি সিএনজি অটোরিকশা। ধরা পড়ার আগে তারা সবাই সংঘবদ্ধ হয়ে সিআরবি এলাকায় বসে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাস কয়েক আগে বাকলিয়া থানায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর অস্ত্র ব্যবসায় নিয়োজিত এক দম্পতি জানায়, মহেশখালীর পাহাড়তলী ইউনিয়নের পূর্ব মাঝের ঢেইল এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী চট্টগ্রামে এখন পিস্তল সরবরাহ করছে। যার বেশির ভাগই ছড়িয়ে পড়ছে অপরাধ জগতে। স্থানীয় ইসহাক নামের এক ব্যক্তি এসব অস্ত্র কেনাবেচার কাজের সঙ্গে জড়িত। এই ঘটনায় মাবুদ নামের অপর এক ব্যক্তির নামও বেরিয়ে এসেছে। যাদের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানা পুলিশ আদালতে ইতিমধ্যে দুটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে।
জানতে চাইলে মানবজমিনের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয় নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এসএম তানভির আরাফাতের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত ১৫ দিনে যাদেরকে ধরা হয়েছে তাদের কাছ থেকে ছোট অস্ত্র হিসেবে পিস্তলই বেশি পাওয়া গেছে। হঠাৎ করে এসব অস্ত্র অপরাধীদের হাতে থাকায় কিছুটা উদ্বিগ্ন আমরা। তবে এ ব্যাপারে মানুষের নিরাপত্তা দিতে সব ধরনের টহল জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঈদকে টার্গেট করে মাঠে নেমেছে পুলিশ। সন্ধ্যার পর অভিযান চালানো হচ্ছে। বেশ কয়েকটি চক্র ধরাও পড়ছে। তবে এটা পরিষ্কার অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তালিকা অনুযায়ী এখনও তাদের ধরার জন্য আমরা হন্যে হয়ে খুঁজছি। ওরা ধরা পড়লে অপরাধ অনেক কমে আসবে বলে আমি মনে করি।
No comments