উসকে গেল মেসি–ম্যারাডোনা বিতর্ক
আরও একবার মাথা হেঁট করে আকাশি-সাদার বেদনায় নীল মেসি! এএফপি |
কতটা
পথ পেরোলে তবে পথিক বলা যায়...? কবির সুমনের এই গানটি নিশ্চয় কখনো শোনা
হয়নি লিওনেল মেসির। কিন্তু আজকের ফাইনালের পর এর কাছাকাছি কিছু একটা
নিশ্চয় তাঁর মনে বেজে উঠছে। একটা শিরোপার জন্য কত হাহাকার! ক্লাব পর্যায়ে
সব জিতে নেওয়া মেসি তাঁর সব কিছু ছুড়ে ফেলে দিতে পারেন শুধু
আর্জেন্টিনার হয়ে কিছু জেতার জন্য। কিন্তু বারবার শিরোপার হাতছানি পেয়েও
হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে একের পর এক শিরোপা। আর প্রতিবারেই সেই অমোঘ প্রশ্ন,
তবে কি ‘ম্যারাডোনা’ হওয়া হয়ে উঠবে না মেসির?
এক বছরের মাথায় দুই দুইটি ফাইনাল। দুবারই খালি হাতে ফেরা। আর তাতে মেসির নিষ্প্রভ পারফরম্যান্স , নিজের ছায়া হয়ে মাঠে ঘুরে বেড়ানো। ব্যক্তিগতভাবে যেকোনো বিচারে তিনি সর্বকালের সেরাদের কাতারে। কিন্তু দেশের হয়ে কিছু অর্জনের বেলায় মেসি যে বড় বেশি নিঃস্ব! এর এখানেই তাঁর সঙ্গে তুলনা এসে যায় ম্যারাডোনার।
ব্যক্তিগত হিসাব নিকাশে ম্যারাডোনা থাকবেন মেসির থেকে যোজন যোজন পিছিয়ে। দেশের হয়ে মেসির গোলসংখ্যা ১০৩ ম্যাচে ৪৬টি। আর ম্যারাডোনার সংগ্রহ ৩৪টি, ৯১ ম্যাচ থেকে। আর ক্লাব পর্যায়ে তো নিজের পূর্বসুরীকে হার মানিয়েছেন অনেক আগেই। ম্যারাডোনার ৫৮৮ ম্যাচে ৩১২ গোলের রেকর্ডকে সমীহ করতেই হবে কিন্তু যখন জানবেন মেসির সংগ্রহ ৪৮২ ম্যাচে ৪১২ গোল তখন এই জাদুকরকে ‘এলিয়েন’ না ভেবে পারেন না আপনি।
কিন্তু একটা জায়গায় এসে বারবার ধাক্কা খাচ্ছেন ফুটবলের এই বিস্ময়। দেশের হয়ে যে বড় কোনো সাফল্য নেই মেসির। সেরা ফর্মে থেকে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে একটাও গোল করতে পারেননি। আর জার্মানির কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় । ২০১৪ এর বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠলেও ছায়া হয়ে থাকলেন। এবার কোপাতেও।
আর এখানেই আসে ম্যারাডোনা প্রসঙ্গ। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে মাঝারি মানের একটা দল নিয়ে ম্যারাডোনার একার জাদুতে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। অর্জনে, রেকর্ডে ম্যারাডোনাকে হয়তো পেছনে ফেলেছেন। কিন্তু ‘মেসি সেরা না ম্যারাডোনা’ এই বিতর্ক নতুন করে আবার উঠছে—কই, ম্যারাডোনার মতো তো জাতীয় দলের হয়েও জাদু দেখাতে মেসি পারেন না। জাদু দেখানোর দরকার নেই, ফাইনালের মতো মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিজের সাধারণ খেলাটাও যে হারিয়ে ফেলেন!
এমন নয় ফাইনালের চাপ তিনি নিতে জানেন না। এমন নয় বড় ম্যাচ হলেই চাপে ভেঙে পড়েন। বরং বড় ম্যাচে মেসির জ্বলে ওঠার সাক্ষী হয়ে আছে ২০০৯ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। কিংবা হোসে মরিনহোর রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়নস লিগে ছিটকে ফেলা সেই জাদু। আরও সাম্প্রতিক উদাহরণ তো বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে আছেই।
মেসি-ভক্তদের পক্ষে যুক্তির ভাঁড়ার একেবারে খালি নেই হয়তো। গতকাল যে দুয়েকবার জাদু দেখিয়েছেন, তাতেও তো ভাগ্য পাশে দাঁড়াল না। তাঁর দুর্দান্ত ফ্রি কিকে আগুয়েরোর চকিতে হেড কীভাবে আটকে দিলেন ক্লদিও ব্রাভো। ৯২ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে যে খেলাটা বানিয়ে দিলেন, সেখানে ক্রস থেকে ঠিকমতো পা ছোঁয়ালেই তো গোল পেতেন হিগুয়েইন। ম্যাচটাও জিতে যেত আর্জেন্টিনা।
কিন্তু এসব যুক্তির ওজনটা ক্রমেই হালকা হয়ে যাচ্ছে। ম্যারাডোনা হয়ে উঠতে হলে মেসিকে একাই করে দেখাতে হবে এমন কিছু জাদু। সময় কিন্তু ফুরিয়ে যাচ্ছে দ্রুত!
এক বছরের মাথায় দুই দুইটি ফাইনাল। দুবারই খালি হাতে ফেরা। আর তাতে মেসির নিষ্প্রভ পারফরম্যান্স , নিজের ছায়া হয়ে মাঠে ঘুরে বেড়ানো। ব্যক্তিগতভাবে যেকোনো বিচারে তিনি সর্বকালের সেরাদের কাতারে। কিন্তু দেশের হয়ে কিছু অর্জনের বেলায় মেসি যে বড় বেশি নিঃস্ব! এর এখানেই তাঁর সঙ্গে তুলনা এসে যায় ম্যারাডোনার।
ব্যক্তিগত হিসাব নিকাশে ম্যারাডোনা থাকবেন মেসির থেকে যোজন যোজন পিছিয়ে। দেশের হয়ে মেসির গোলসংখ্যা ১০৩ ম্যাচে ৪৬টি। আর ম্যারাডোনার সংগ্রহ ৩৪টি, ৯১ ম্যাচ থেকে। আর ক্লাব পর্যায়ে তো নিজের পূর্বসুরীকে হার মানিয়েছেন অনেক আগেই। ম্যারাডোনার ৫৮৮ ম্যাচে ৩১২ গোলের রেকর্ডকে সমীহ করতেই হবে কিন্তু যখন জানবেন মেসির সংগ্রহ ৪৮২ ম্যাচে ৪১২ গোল তখন এই জাদুকরকে ‘এলিয়েন’ না ভেবে পারেন না আপনি।
কিন্তু একটা জায়গায় এসে বারবার ধাক্কা খাচ্ছেন ফুটবলের এই বিস্ময়। দেশের হয়ে যে বড় কোনো সাফল্য নেই মেসির। সেরা ফর্মে থেকে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে একটাও গোল করতে পারেননি। আর জার্মানির কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় । ২০১৪ এর বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠলেও ছায়া হয়ে থাকলেন। এবার কোপাতেও।
আর এখানেই আসে ম্যারাডোনা প্রসঙ্গ। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে মাঝারি মানের একটা দল নিয়ে ম্যারাডোনার একার জাদুতে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। অর্জনে, রেকর্ডে ম্যারাডোনাকে হয়তো পেছনে ফেলেছেন। কিন্তু ‘মেসি সেরা না ম্যারাডোনা’ এই বিতর্ক নতুন করে আবার উঠছে—কই, ম্যারাডোনার মতো তো জাতীয় দলের হয়েও জাদু দেখাতে মেসি পারেন না। জাদু দেখানোর দরকার নেই, ফাইনালের মতো মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিজের সাধারণ খেলাটাও যে হারিয়ে ফেলেন!
এমন নয় ফাইনালের চাপ তিনি নিতে জানেন না। এমন নয় বড় ম্যাচ হলেই চাপে ভেঙে পড়েন। বরং বড় ম্যাচে মেসির জ্বলে ওঠার সাক্ষী হয়ে আছে ২০০৯ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। কিংবা হোসে মরিনহোর রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়নস লিগে ছিটকে ফেলা সেই জাদু। আরও সাম্প্রতিক উদাহরণ তো বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে আছেই।
মেসি-ভক্তদের পক্ষে যুক্তির ভাঁড়ার একেবারে খালি নেই হয়তো। গতকাল যে দুয়েকবার জাদু দেখিয়েছেন, তাতেও তো ভাগ্য পাশে দাঁড়াল না। তাঁর দুর্দান্ত ফ্রি কিকে আগুয়েরোর চকিতে হেড কীভাবে আটকে দিলেন ক্লদিও ব্রাভো। ৯২ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে যে খেলাটা বানিয়ে দিলেন, সেখানে ক্রস থেকে ঠিকমতো পা ছোঁয়ালেই তো গোল পেতেন হিগুয়েইন। ম্যাচটাও জিতে যেত আর্জেন্টিনা।
কিন্তু এসব যুক্তির ওজনটা ক্রমেই হালকা হয়ে যাচ্ছে। ম্যারাডোনা হয়ে উঠতে হলে মেসিকে একাই করে দেখাতে হবে এমন কিছু জাদু। সময় কিন্তু ফুরিয়ে যাচ্ছে দ্রুত!
No comments