পাঁচ মাসেও সহায়তা পাননি চম্পা বেগম
ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রলবোমা হামলায় নিহত নুরে আলম ও তাঁর স্ত্রী চম্পা। পারবিারিক অ্যালবাম থেকে নেওয়া ছবি l প্রথম আলো |
সরকারের
প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাঁচ মাস পার হলেও ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যাত্রীবাহী
বাসে পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়ে নিহত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পেচাইন
গ্রামের নুরে আলমের স্ত্রী চম্পা বেগম কোনো আর্থিক সহায়তা পাননি। নুরে
আলমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলের টানা অবরোধের
সময় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর গুলিস্তান থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বাসটি যাত্রাবাড়ীর
কাঠেরপুল এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। এ
ঘটনায় বাসের ২৮ জন যাত্রী দগ্ধ হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সোনারগাঁ উপজেলার
পেচাইন গ্রামের নির্মাণকাজের সহঠিকাদার নুরে আলমের শরীরের ৪৮ ভাগ পুড়ে
যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় ১ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।
নুরে আলমের স্ত্রী চম্পা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহিংসতায় দগ্ধ ব্যক্তিদের দেখতে গিয়ে দগ্ধ ৩৬ জনের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে স্থায়ী আমানতের চেক প্রদান করেন। আর বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৬৩ জনের পরিবারের সদস্যদের ১০ লাখ টাকা করে স্থায়ী আমানত প্রদানের ঘোষণা দেন। সোনারগাঁ ইউএনও আবু নাছের ভূঁঞা ১৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চম্পা বেগমের আর্থিক সহায়তার আবেদনপত্রের বিষয়ে একটি চিঠি দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাঁকে ডেকে নিয়ে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
চম্পা বেগম আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা বারবার আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।’ একমাত্র সন্তান, এরপর বাবা ও পরে স্বামী মারা যাওয়ায় চম্পার এখন ভরণপোষণ করার মতো কেউ নেই। ইউএনও বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে আবার যোগাযোগ করে চম্পা বেগমকে সহায়তা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন।
নুরে আলমের স্ত্রী চম্পা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহিংসতায় দগ্ধ ব্যক্তিদের দেখতে গিয়ে দগ্ধ ৩৬ জনের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে স্থায়ী আমানতের চেক প্রদান করেন। আর বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৬৩ জনের পরিবারের সদস্যদের ১০ লাখ টাকা করে স্থায়ী আমানত প্রদানের ঘোষণা দেন। সোনারগাঁ ইউএনও আবু নাছের ভূঁঞা ১৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চম্পা বেগমের আর্থিক সহায়তার আবেদনপত্রের বিষয়ে একটি চিঠি দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাঁকে ডেকে নিয়ে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
চম্পা বেগম আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা বারবার আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।’ একমাত্র সন্তান, এরপর বাবা ও পরে স্বামী মারা যাওয়ায় চম্পার এখন ভরণপোষণ করার মতো কেউ নেই। ইউএনও বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে আবার যোগাযোগ করে চম্পা বেগমকে সহায়তা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন।
No comments