উড়ছে টাকা উড়ছে by শাহনেওয়াজ
সম্প্রতি
ঢাকা শহরে অডিটর পদে লিখিত পরীক্ষা হয়ে গেল। ৭০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে
২২৬টি পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন কয়েক হাজার। ওয়েস্ট অ্যান্ড হাই স্কুলে
পরীক্ষা দেয়া এক প্রার্থী সরকারি এক কর্মকর্তার সাক্ষাৎ পান। সাক্ষাতে কোনো
ধরনের ভনিতা না রেখে সোজা-সাপ্টা বলে ফেলেন, চাকরিটা তার খুব দরকার। কত
টাকা হলে চাকরিটা পাওয়া যাবে? সেই কর্মকর্তা প্রার্থীর কথায় কোনো উত্তর
দিতে পারলেন না। কাছাকাছি সময়ে আরো একটা লিখিত পরীক্ষা হয়ে গেল। ৪৫০টি সহকারী রাজস্ব
কর্মকর্তা পদের জন্য পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ হাজারের বেশি। এখানেও এমসিকিউ
পদ্ধতি। আরমানিটোলা স্কুলে পরীক্ষা দিতে গিয়ে মোহাম্মদপুরের প্রার্থী ফরহাদ
হোসেন জানতে পারেন প্রশ্নপত্র কেউ কেউ আগেই পেয়ে গেছে। তা না হলে পরীক্ষা
হলে প্রবেশ করেই তাড়াতাড়ি উত্তর দেয় কিভাবে?
এ চাকরির জন্য কেউ কেউ প্রার্থীদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চেয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে দুই প্রার্থী অকপটে স্বীকার করে বলেছেন, কোথায় টাকা দেব তা সঠিক বুঝে উঠতে পারছি না।
দীর্ঘদিন ধরে কারওয়ান বাজারে পরিবার পরিকল্পনা অফিসে অফিস সহায়ক পদে মৌখিক পরীক্ষা চলছে। চলবে মাসজুড়ে জানিয়েছেন অধিদফতরের মহাপরিচালক আলম তালুকদার। দীর্ঘদিন চলার নেপথ্য কাহিনী হচ্ছে, প্রথম পর্যায়ে প্রভাবশালী মন্ত্রীর প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় টেকেনি। তাই আবার নতুন করে সার্কুলার দিতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই পরীক্ষা নিয়ে কোনো কোনো প্রার্থী ইতিমধ্যে বেশ কিছু অর্থ জোগান দিয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
দিনাজপুরের এক প্রার্থী একই দিনে পরীক্ষা দিয়েছেন দুটি। একটি সকালে, অন্যটি দুপুরে। তিনি এখন একটি চাকরি করেন। কিন্তু এর পরও তিনি চাইছেন ভালো চাকরি। আর এই চাকরির জন্য পর্যাপ্ত টাকা দিতেও প্রস্তুত। কিন্তু টাকা দেবেন কোথায় সেই বিশ্বস্ত লোক খুঁজছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ হয়ে গেছে। কিন্তু এই নিয়োগ নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দেয়। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগের সঙ্গে সরাসরি জড়িত যুগ্ম সচিব আমিনুল ইসলাম জানান, এখানে পক্ষপাতিত্ব করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, কোটা মেনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে আড়ালে-আবডালে অনেক কিছু শোনা যায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাকরি অনেকের কাছে বেশ লোভনীয়। বিশেষ করে দেশ-বিদেশে চাকরি করার মধ্যে রয়েছে আলাদা স্বাদ। তাই এখানে চাকরি পাওয়ার জন্য অনেকেই হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে নানা পথ। প্রায় তিন মাস হয়ে গেল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাকরির যাবতীয় ইন্টারভিউ। অনেকে টাকা-পয়সা নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করেছেন এমন দু’জন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এখনো কোনো খোঁজখবর পাচ্ছেন না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী জানান, টাকার অঙ্ক এত বেশি যে, তার পক্ষে হয়তো চাকরি পাওয়া এখন দুঃস্বপ্ন।
গাজীপুরের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিয়ে এসেছেন খোদ সচিবালয় চাকরি করে এমন এক কর্মচারী। তিনি জানিয়েছেন, সেখানে চাকরির পদটি একটু উচ্চতর পদে, তাই সেখানে ইন্টারভিউ দিয়েছেন। কিন্তু যার সঙ্গে কন্ট্রাক্ট করেছেন তার চাহিদা বিশাল পরিমাণ। অল্প সময়ের মধ্যে এত টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এই চাকরির জন্য অপর এক প্রার্থী ইতিমধ্যে তার টাকা সংগ্রহ করে ফেলেছেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ইন্সপেক্টর পদে ইন্টারভিউ শেষ হলো এই মাত্র ক’দিন আগে। কিন্তু এখনো খাতা দেখা শেষ হয়নি। শেষ হতে মাস খানেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। এরপরও লিখিত পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেয়ার ব্যাপারে প্রার্থী ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে লেনদেন শুরু হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে ভুঁইফোড় দালালের প্রভাব বাড়ছে। এরা মূলত সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে চাকরি দেয়ার কাজ করছে। এদের পেছনে রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। যারা কাজে-অকাজে নিয়মিত সচিবালয়ে আসে দলবল নিয়ে। এরা অনেকেই কোনো না কোনো মন্ত্রীর প্রিয়ভাজন। কারণ তারাই নাকি মন্ত্রীদের সুখ-দুঃখের সাথী। এদের অনেকে মন্ত্রীদের বাসায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান করে। তাদের এই অবস্থান দেখে প্রার্থীরা অনেক সময় বিশ্বাস করেন। প্রার্থীরাও টাকা দিতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করেন না।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অনেক প্রার্থী সুদে টাকা জোগাড় করছেন। এমনকি তাদের বাড়ি থেকে এনে টাকা দিচ্ছেন। উদ্দেশ্য একটাই, চাকরি পাওয়া।
এ চাকরির জন্য কেউ কেউ প্রার্থীদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চেয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে দুই প্রার্থী অকপটে স্বীকার করে বলেছেন, কোথায় টাকা দেব তা সঠিক বুঝে উঠতে পারছি না।
দীর্ঘদিন ধরে কারওয়ান বাজারে পরিবার পরিকল্পনা অফিসে অফিস সহায়ক পদে মৌখিক পরীক্ষা চলছে। চলবে মাসজুড়ে জানিয়েছেন অধিদফতরের মহাপরিচালক আলম তালুকদার। দীর্ঘদিন চলার নেপথ্য কাহিনী হচ্ছে, প্রথম পর্যায়ে প্রভাবশালী মন্ত্রীর প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় টেকেনি। তাই আবার নতুন করে সার্কুলার দিতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই পরীক্ষা নিয়ে কোনো কোনো প্রার্থী ইতিমধ্যে বেশ কিছু অর্থ জোগান দিয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
দিনাজপুরের এক প্রার্থী একই দিনে পরীক্ষা দিয়েছেন দুটি। একটি সকালে, অন্যটি দুপুরে। তিনি এখন একটি চাকরি করেন। কিন্তু এর পরও তিনি চাইছেন ভালো চাকরি। আর এই চাকরির জন্য পর্যাপ্ত টাকা দিতেও প্রস্তুত। কিন্তু টাকা দেবেন কোথায় সেই বিশ্বস্ত লোক খুঁজছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ হয়ে গেছে। কিন্তু এই নিয়োগ নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দেয়। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগের সঙ্গে সরাসরি জড়িত যুগ্ম সচিব আমিনুল ইসলাম জানান, এখানে পক্ষপাতিত্ব করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, কোটা মেনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে আড়ালে-আবডালে অনেক কিছু শোনা যায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাকরি অনেকের কাছে বেশ লোভনীয়। বিশেষ করে দেশ-বিদেশে চাকরি করার মধ্যে রয়েছে আলাদা স্বাদ। তাই এখানে চাকরি পাওয়ার জন্য অনেকেই হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে নানা পথ। প্রায় তিন মাস হয়ে গেল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাকরির যাবতীয় ইন্টারভিউ। অনেকে টাকা-পয়সা নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করেছেন এমন দু’জন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এখনো কোনো খোঁজখবর পাচ্ছেন না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী জানান, টাকার অঙ্ক এত বেশি যে, তার পক্ষে হয়তো চাকরি পাওয়া এখন দুঃস্বপ্ন।
গাজীপুরের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিয়ে এসেছেন খোদ সচিবালয় চাকরি করে এমন এক কর্মচারী। তিনি জানিয়েছেন, সেখানে চাকরির পদটি একটু উচ্চতর পদে, তাই সেখানে ইন্টারভিউ দিয়েছেন। কিন্তু যার সঙ্গে কন্ট্রাক্ট করেছেন তার চাহিদা বিশাল পরিমাণ। অল্প সময়ের মধ্যে এত টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এই চাকরির জন্য অপর এক প্রার্থী ইতিমধ্যে তার টাকা সংগ্রহ করে ফেলেছেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ইন্সপেক্টর পদে ইন্টারভিউ শেষ হলো এই মাত্র ক’দিন আগে। কিন্তু এখনো খাতা দেখা শেষ হয়নি। শেষ হতে মাস খানেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। এরপরও লিখিত পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেয়ার ব্যাপারে প্রার্থী ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে লেনদেন শুরু হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে ভুঁইফোড় দালালের প্রভাব বাড়ছে। এরা মূলত সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে চাকরি দেয়ার কাজ করছে। এদের পেছনে রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। যারা কাজে-অকাজে নিয়মিত সচিবালয়ে আসে দলবল নিয়ে। এরা অনেকেই কোনো না কোনো মন্ত্রীর প্রিয়ভাজন। কারণ তারাই নাকি মন্ত্রীদের সুখ-দুঃখের সাথী। এদের অনেকে মন্ত্রীদের বাসায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান করে। তাদের এই অবস্থান দেখে প্রার্থীরা অনেক সময় বিশ্বাস করেন। প্রার্থীরাও টাকা দিতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করেন না।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অনেক প্রার্থী সুদে টাকা জোগাড় করছেন। এমনকি তাদের বাড়ি থেকে এনে টাকা দিচ্ছেন। উদ্দেশ্য একটাই, চাকরি পাওয়া।
No comments