সবচেয়ে দূরের যমজ বামন তারা by এনামুল হক
আমাদের এই পৃথিবী থেকে প্রায় ১৬ হাজার
আলোকবর্ষ দূরে দুটো যমজ বামন তারা মাত্র ৫ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে পরস্পর
পরস্পরকে প্রদৰিণ করে চলেছে। যমজ তারাদের এত অল্প সময়ের মধ্যে পরস্পরের
কক্ষ পরিক্রমার ঘটনা এর আগ পর্যন্ত জানা যায়নি।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জানা মতে এটা ক্ষুদ্রতম যমজ তারা। যমজ তারারা আকারে
ছোটই হয়। পৃথিবীর ব্যাসের ৮ গুণের বেশি বড় হয় না তারা। বলাবাহুল্য পৃথিবী
থেকে চাঁদের যে দূরত্ব তার প্রায় এক চতুর্থাংশ হলো পৃথিবীর ব্যাস। যমজ তারা
দুটোর নাম দেয়া হয়েছে এইচএম ক্যানক্রি।
যমজ তারারা দুটো শ্বেত বামন তারা হয়ে থাকে। আমাদের এই সূর্যের মতো তারাদের পুড়ে যাওয়া অঙ্গার দিয়ে এগুলো তৈরি। এতে থাকে অতিমাত্রায় ঘনীভূত আকারের হিলিয়াম, কার্বন ও অক্সিজেন। এইচএম ক্যানক্রি নামের দুই শ্বেত বামন তারা এত কাছাকাছি অবস্থিত যে, এগুলোর পুঞ্জীভূত পদার্থ এক তারা থেকে অন্য তারায় অনবরত প্রবাহিত হচ্ছে। এইচএম ক্যানক্রি ১৯৯৯ সালে প্রথম রঞ্জনরশ্মীর উৎস হিসেবে ধরা পড়ে। তখন এর পর্যাবৃত্ত দেখা গিয়েছিল ৫.৪ মিনিট। তবে এর প্রকৃত কৰ পরিক্রমার সময় কত সেটা এতদিন পর্যন্ত অস্পষ্ট ছিল। সেটা যে এত অল্প সময়ই হবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অকাট্য প্রমাণ ছাড়া সেই সম্ভাবনাটুকু মেনে নিতে রাজি ছিলেন না।
সম্প্রতি ড. গিজস রোয়েলকসের নেতৃত্বে একটি যৌথ মার্কিন-ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদল বিশ্বের সর্ববৃহৎ টেলিস্কোপ হাওয়াইয়ের কেক টেলিস্কোপের সাহায্যে নিবিড় পর্যবেৰণের মাধ্যমে প্রমাণ করতে সৰম হন যে, ওটাই হলো যমজ তারা এইচএম ক্যানক্রির প্রকৃত পরিক্রমণ সময়। এইচএম ক্যানক্রির আলোর বর্ণালীর রেখাগুলোয় দু্যতির তারতম্য নির্ণয় করে তারা এটা বের করেছেন। যমজ তারার বিকীরিত আলো জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে অতি নিষ্প্রভ হয়ে ধরা পড়ে। তার কারণ এটা পৃথিবী থেকে বহু দূরে_প্রায় ১৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে। এক আলোকবর্ষ মানে ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৮শ' কোটি মাইল অর্থাৎ এক বছরে আলো ঐ পথ অতিক্রম করে। সে জন্য খালি চোখে সেসব তারাকে সবচেয়ে নিষ্প্রভ দেখায় সেগুলোর উজ্জ্বলতারও ১০ লাখ ভাগের এক ভাগের বেশি উজ্জ্বল নয় এইচএম ক্যানক্রি। আরও একটি তথ্য জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সেটা হলো যমজ তারা দুটোর একটি থেকে পদার্থপুঞ্জ আরেকটির বিষুবীয় অঞ্চলে গিয়ে আছড়ে পড়ে বিপুল শক্তির উদগীরণ ঘটাচ্ছে।
এই যমজ তারা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে সে সম্পর্কে খুব কমই জানা গেছে। তবে ধারণা করা হয় যে, স্বাভাবিক দু'টি তারা ভর (সধংং) স্থানান্তরের পূর্বেকার দুই পর্যায়ে কোনভাবে পরস্পরের সঙ্গে পেঁচিয়ে যাবার কারণে এদের উদ্ভব হয়েছে।
সূত্র: সাইন্সডেইলি
যমজ তারারা দুটো শ্বেত বামন তারা হয়ে থাকে। আমাদের এই সূর্যের মতো তারাদের পুড়ে যাওয়া অঙ্গার দিয়ে এগুলো তৈরি। এতে থাকে অতিমাত্রায় ঘনীভূত আকারের হিলিয়াম, কার্বন ও অক্সিজেন। এইচএম ক্যানক্রি নামের দুই শ্বেত বামন তারা এত কাছাকাছি অবস্থিত যে, এগুলোর পুঞ্জীভূত পদার্থ এক তারা থেকে অন্য তারায় অনবরত প্রবাহিত হচ্ছে। এইচএম ক্যানক্রি ১৯৯৯ সালে প্রথম রঞ্জনরশ্মীর উৎস হিসেবে ধরা পড়ে। তখন এর পর্যাবৃত্ত দেখা গিয়েছিল ৫.৪ মিনিট। তবে এর প্রকৃত কৰ পরিক্রমার সময় কত সেটা এতদিন পর্যন্ত অস্পষ্ট ছিল। সেটা যে এত অল্প সময়ই হবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অকাট্য প্রমাণ ছাড়া সেই সম্ভাবনাটুকু মেনে নিতে রাজি ছিলেন না।
সম্প্রতি ড. গিজস রোয়েলকসের নেতৃত্বে একটি যৌথ মার্কিন-ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদল বিশ্বের সর্ববৃহৎ টেলিস্কোপ হাওয়াইয়ের কেক টেলিস্কোপের সাহায্যে নিবিড় পর্যবেৰণের মাধ্যমে প্রমাণ করতে সৰম হন যে, ওটাই হলো যমজ তারা এইচএম ক্যানক্রির প্রকৃত পরিক্রমণ সময়। এইচএম ক্যানক্রির আলোর বর্ণালীর রেখাগুলোয় দু্যতির তারতম্য নির্ণয় করে তারা এটা বের করেছেন। যমজ তারার বিকীরিত আলো জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে অতি নিষ্প্রভ হয়ে ধরা পড়ে। তার কারণ এটা পৃথিবী থেকে বহু দূরে_প্রায় ১৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে। এক আলোকবর্ষ মানে ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৮শ' কোটি মাইল অর্থাৎ এক বছরে আলো ঐ পথ অতিক্রম করে। সে জন্য খালি চোখে সেসব তারাকে সবচেয়ে নিষ্প্রভ দেখায় সেগুলোর উজ্জ্বলতারও ১০ লাখ ভাগের এক ভাগের বেশি উজ্জ্বল নয় এইচএম ক্যানক্রি। আরও একটি তথ্য জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সেটা হলো যমজ তারা দুটোর একটি থেকে পদার্থপুঞ্জ আরেকটির বিষুবীয় অঞ্চলে গিয়ে আছড়ে পড়ে বিপুল শক্তির উদগীরণ ঘটাচ্ছে।
এই যমজ তারা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে সে সম্পর্কে খুব কমই জানা গেছে। তবে ধারণা করা হয় যে, স্বাভাবিক দু'টি তারা ভর (সধংং) স্থানান্তরের পূর্বেকার দুই পর্যায়ে কোনভাবে পরস্পরের সঙ্গে পেঁচিয়ে যাবার কারণে এদের উদ্ভব হয়েছে।
সূত্র: সাইন্সডেইলি
No comments