রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া-রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নবযাত্রা শুরু
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধী অপরাধী বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের নবযাত্রা শুরু হলো। এ বিচার চলতে থাকবে- এ প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কোনো শক্তি এ বিচার বন্ধ করতে পারবে না।
যখন যেখানে যুদ্ধাপরাধী পাওয়া যাবে, তাদের ধরে বিচার করা হবে। এ বিচার যাতে কেউ বন্ধ করতে না পারে সে জন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন তিনি।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু রাজাকারের রায়ের মধ্য দিয়ে জনগণের বহুদিনের প্রতীক্ষা পূরণ হয়েছে। জাতির কলঙ্ক মোচন হয়েছে। এ জন্য তিনি ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনায় দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু অর্ডিন্যান্স জারি করে যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ শুরু করেন। কিন্তু পঁচাত্তরের পর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় এসে মার্শাল অর্ডিন্যান্স জারি করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ বন্ধ করে দেয়। জেলখানায় আটকদের ছেড়ে দেওয়া হয়। নাগরিকত্ব ফেরত দেওয়া হয়। রাজনীতিসহ সার্বিকভাবে যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করেন জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, 'ক্ষমতায় এসে নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। একজনের ফাঁসির রায়ের মধ্য দিয়ে ওয়াদা রক্ষা করতে পেরেছি। আওয়ামী লীগের প্রতি দেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।' দেশবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করব ইনশাল্লাহ।
বৈঠকের শুরুতে বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শেখ হাসিনার নির্দেশ
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সব সদস্যকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর জন্য সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াতেও দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
বৈঠকে দুই মাসের মধ্যে সাংগঠনিক জেলার সম্মেলন শেষ করতে সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ব্যর্থ হলে কমিটি বিলুপ্ত করা হবে।
এ ছাড়া বৈঠকে রাশিয়া সফরে অস্ত্র কেনা ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের যে চুক্তি হয়েছে, সে বিষয়ে সৃষ্ট সমালোচনার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার কাজ সব সময় আওয়ামী লীগ করেছে এবং করবে। এ সফর ও চুক্তি নিয়ে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিরোধী দল মিথ্যাচার করছে।
সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় সদস্য সুভাষ বোস ও জুনায়েদ আহমেদ পলক বক্তব্য দেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সরকারের অর্জন জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। সভায় আগামী ৭ মার্চ রাজধানীতে একটি মহাসমাবেশ করার প্রস্তাব দেন তিনি। এ প্রস্তাব সমর্থন করেন অন্য নেতারাও। এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সমাবেশের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়নি।
শেখ সেলিম বলেন, কিছু ওয়ানটাইম এমপির কারণে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে তাঁদের মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু রাজাকারের রায়ের মধ্য দিয়ে জনগণের বহুদিনের প্রতীক্ষা পূরণ হয়েছে। জাতির কলঙ্ক মোচন হয়েছে। এ জন্য তিনি ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনায় দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু অর্ডিন্যান্স জারি করে যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ শুরু করেন। কিন্তু পঁচাত্তরের পর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় এসে মার্শাল অর্ডিন্যান্স জারি করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ বন্ধ করে দেয়। জেলখানায় আটকদের ছেড়ে দেওয়া হয়। নাগরিকত্ব ফেরত দেওয়া হয়। রাজনীতিসহ সার্বিকভাবে যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করেন জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, 'ক্ষমতায় এসে নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। একজনের ফাঁসির রায়ের মধ্য দিয়ে ওয়াদা রক্ষা করতে পেরেছি। আওয়ামী লীগের প্রতি দেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।' দেশবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করব ইনশাল্লাহ।
বৈঠকের শুরুতে বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শেখ হাসিনার নির্দেশ
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সব সদস্যকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর জন্য সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াতেও দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
বৈঠকে দুই মাসের মধ্যে সাংগঠনিক জেলার সম্মেলন শেষ করতে সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ব্যর্থ হলে কমিটি বিলুপ্ত করা হবে।
এ ছাড়া বৈঠকে রাশিয়া সফরে অস্ত্র কেনা ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের যে চুক্তি হয়েছে, সে বিষয়ে সৃষ্ট সমালোচনার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার কাজ সব সময় আওয়ামী লীগ করেছে এবং করবে। এ সফর ও চুক্তি নিয়ে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিরোধী দল মিথ্যাচার করছে।
সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় সদস্য সুভাষ বোস ও জুনায়েদ আহমেদ পলক বক্তব্য দেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সরকারের অর্জন জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। সভায় আগামী ৭ মার্চ রাজধানীতে একটি মহাসমাবেশ করার প্রস্তাব দেন তিনি। এ প্রস্তাব সমর্থন করেন অন্য নেতারাও। এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সমাবেশের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়নি।
শেখ সেলিম বলেন, কিছু ওয়ানটাইম এমপির কারণে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে তাঁদের মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
No comments