ঘুরে-ফিরে সেই সংলাপ-সমঝোতার পথ বের করতেই হবে
সরকারের চার বছর পূর্তির শেষ বছরের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। এই একটি বছর সরকার কিংবা বিরোধী দল- উভয়ের জন্যই ঘর গোছানোর সময়। আগামী নির্বাচনের জন্য এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিতে হবে। এটি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য অত্যন্ত মূল্যবান একটি বছর।
আগামী নির্বাচনে দলের অবস্থান কী হবে, কোন নির্বাচনী এলাকায় কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে হবে- তার হোমওয়ার্ক এখনই করতে হবে। গত নির্বাচনের ফল বিবেচনায় রেখে দল ও প্রার্থীর দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। দলের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এখন থেকেই যেতে হবে মানুষের কাছে। কাজেই এ বছরটির গুরুত্ব খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
যখন বাংলাদেশের রাজনীতি নির্ভর করে দুই প্রধান দলের ওপর, তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি দল দুটির অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে কেন্দ্র করে মহাজোট ও ১৮ দলীয় জোট গঠিত হলেও উভয় জোটের রাজনৈতিক কার্যক্রম মূলত দুই প্রধান দলের ওপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরতা জোটভুক্ত দলগুলোকে কিছুটা হলেও নির্ভার করেছে। আগামী নির্বাচনে আসন বণ্টন থেকে শুরু করে সব সিদ্ধান্তের ব্যাপারে এই দুই দলই মূল ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু প্রধান দুই দলের বিপরীতমুখী অবস্থান দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনকে ঠেলে দিয়েছে এক অনিশ্চিত অবস্থার দিকে।
সংসদে সংশোধনী এনে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে অনড়। নানা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গন দিনের পর দিন সাংঘর্ষিক হয়ে উঠছে। দেখা দিচ্ছে সহিষ্ণুতার অভাব। দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে আগামী দিনগুলোতে যে বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী ও বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে চিন্তিত। কারণ রাজনৈতিক সংকট যত ঘনীভূত হবে, ততই বাধাগ্রস্ত হবে উন্নয়ন। দেশের উন্নয়ন মূলত নির্ভর করে বিনিয়োগের ওপর। বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। রাজনৈতিক সংকট থেকে যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়, তা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখকর নয়। রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টের পাশাপাশি এই রাজনৈতিক অস্থিরতা অনেক সময় জননিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। অতীতেই শুধু নয়, নিকট-অতীতেও আমরা সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক অস্থিরতার অসহায় বলি হতে দেখেছি, যা সমাজের স্বাভাবিক বিকাশের পথ বাধাগ্রস্ত করে।
আগামী নির্বাচনকে শুধু অর্থবহ নয়, দেশের মানুষ তথা বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার দায়িত্ব বাংলাদেশের। কিন্তু যখন প্রধান দুই বিরোধী দল বা জোট নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতির প্রশ্নে বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছে, তখন উভয় পক্ষের সহাবস্থান নিশ্চিত করাটাই হবে প্রধান কাজ। এই সহাবস্থান নিশ্চিত করতে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা হতে হবে। সেই সমঝোতার পথ তৈরি করতে পারে সংলাপ। দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন কেবল উভয় দলের শীর্ষ পর্যায়ের সংলাপই রাজনৈতিক অঙ্গনকে সংঘাতমুক্ত রাখতে পারে। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে পারে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনাও সেই বিষয়টির প্রতি আলোকপাত করেছেন।
আমরা মনে করি, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্ত করতে দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হবে। সেই নির্বাচন অনুষ্ঠান ও তা গ্রহণযোগ্য করে তুলতে প্রয়োজন রাজনৈতিক সমঝোতা। সেই সমঝোতার জন্য সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে সংলাপে উভয় দলকেই বসতে হবে।
যখন বাংলাদেশের রাজনীতি নির্ভর করে দুই প্রধান দলের ওপর, তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি দল দুটির অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে কেন্দ্র করে মহাজোট ও ১৮ দলীয় জোট গঠিত হলেও উভয় জোটের রাজনৈতিক কার্যক্রম মূলত দুই প্রধান দলের ওপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরতা জোটভুক্ত দলগুলোকে কিছুটা হলেও নির্ভার করেছে। আগামী নির্বাচনে আসন বণ্টন থেকে শুরু করে সব সিদ্ধান্তের ব্যাপারে এই দুই দলই মূল ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু প্রধান দুই দলের বিপরীতমুখী অবস্থান দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনকে ঠেলে দিয়েছে এক অনিশ্চিত অবস্থার দিকে।
সংসদে সংশোধনী এনে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে অনড়। নানা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গন দিনের পর দিন সাংঘর্ষিক হয়ে উঠছে। দেখা দিচ্ছে সহিষ্ণুতার অভাব। দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে আগামী দিনগুলোতে যে বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী ও বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে চিন্তিত। কারণ রাজনৈতিক সংকট যত ঘনীভূত হবে, ততই বাধাগ্রস্ত হবে উন্নয়ন। দেশের উন্নয়ন মূলত নির্ভর করে বিনিয়োগের ওপর। বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। রাজনৈতিক সংকট থেকে যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়, তা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখকর নয়। রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টের পাশাপাশি এই রাজনৈতিক অস্থিরতা অনেক সময় জননিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। অতীতেই শুধু নয়, নিকট-অতীতেও আমরা সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক অস্থিরতার অসহায় বলি হতে দেখেছি, যা সমাজের স্বাভাবিক বিকাশের পথ বাধাগ্রস্ত করে।
আগামী নির্বাচনকে শুধু অর্থবহ নয়, দেশের মানুষ তথা বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার দায়িত্ব বাংলাদেশের। কিন্তু যখন প্রধান দুই বিরোধী দল বা জোট নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতির প্রশ্নে বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছে, তখন উভয় পক্ষের সহাবস্থান নিশ্চিত করাটাই হবে প্রধান কাজ। এই সহাবস্থান নিশ্চিত করতে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা হতে হবে। সেই সমঝোতার পথ তৈরি করতে পারে সংলাপ। দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন কেবল উভয় দলের শীর্ষ পর্যায়ের সংলাপই রাজনৈতিক অঙ্গনকে সংঘাতমুক্ত রাখতে পারে। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে পারে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনাও সেই বিষয়টির প্রতি আলোকপাত করেছেন।
আমরা মনে করি, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্ত করতে দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হবে। সেই নির্বাচন অনুষ্ঠান ও তা গ্রহণযোগ্য করে তুলতে প্রয়োজন রাজনৈতিক সমঝোতা। সেই সমঝোতার জন্য সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে সংলাপে উভয় দলকেই বসতে হবে।
No comments