পরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়-নিয়ম মানতে বাধ্য করুন
পরিবহন সেক্টরে ভাড়াবিষয়ক চিরাচরিত বিশৃঙ্খলা আর গেল না। যখন-তখন কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে, সুযোগ পেলেই ভাড়া বৃদ্ধিতে তৎপর হয়ে উঠতে দেখা যায়। এবারও এর ব্যতিক্রম নেই। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যথেচ্ছা যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধি শুরু হয়েছে।
পত্রিকার সংবাদ অনুসারে তেল বা ডিজেলচালিত তো বটেই, সেই সঙ্গে সিএনজিচালিত যানবাহনের ভাড়াও কোনো কোনো জায়গায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশে এখন বেশির ভাগ যানবাহনই সিএনজিচালিত। বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলেও সিএনজির মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। অধিকন্তু শুধু যে জ্বালানির মূল্য বাড়লেই ভাড়া বাড়তে দেখা যায়, তা নয়। দুই ঈদ এলে প্রতিবছর কিছু না কিছু বাড়তি ভাড়া যাত্রীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়। তা ঈদ চলে গেলেও আর কমে না। এমনকি কোনো রুটে যদি পরিবর্তন আসে এবং একটু বাড়তি পথ পরিবহন করতে হয় তাতেও ভাড়া বাড়ানো হয়।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সিএনজিচালিত যানবাহনের ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ার প্রধান কারণ আর কিছুই নয়, এ খাতের বিশৃঙ্খলা। দেখা যায়, পরিবহন মালিকদের সংগঠন বা ক্ষেত্রবিশেষ কয়েকজন মালিক একত্রে বসে যখন-তখন ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। প্রশ্ন হলো, বিআরটিএর অনুমোদন ব্যতিরেকে এ ধরনের ভাড়া তাঁরা বাড়াতে পারেন কি না। এ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থেকে রেহাই বা মুক্তি পেতে হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অনুমতি বা সম্মতি ছাড়া ভাড়া বাড়ানোকে অপরাধ হিসেবে আমলে নিতে হবে। তা না হলে এ খাতের এই দীর্ঘকালের নৈরাজ্য বন্ধ করা সম্ভব হবে না। প্রায়ই লক্ষ করা যায়, সরকারের কাছ থেকে বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়; কিন্তু কয়েক দিন নিয়মটি পালন করেই তা আবার লুকিয়ে ফেলা হয়। যেমন ভাড়ার চার্ট টাঙিয়ে দেওয়ার একটি নির্দেশ আছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। কোথাও সে চার্ট দেখতে পাওয়া যায় না। আমাদের বক্তব্য হলো, যদি সব ধরনের বাস ভাড়া বৃদ্ধি করতেই হয় এবং এর যুক্তিসংগত কারণ থাকে, তাহলে সে দাবিটি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সামনে তুলে ধরতে হবে। নিজেরা ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করা অনেকটা জনগণের সঙ্গে শঠতার সামিল। এ ধরনের চর্চা বন্ধ করতে হবে। আর এ বন্ধ করার দায়িত্ব একমাত্র সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। মন্ত্রণালয়ের এটাও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশ্রয়ের মধ্য দিয়ে বাস মালিকরা এ অন্যায় আচরণ করার সুযোগ পাচ্ছেন কি না।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সিএনজিচালিত যানবাহনের ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ার প্রধান কারণ আর কিছুই নয়, এ খাতের বিশৃঙ্খলা। দেখা যায়, পরিবহন মালিকদের সংগঠন বা ক্ষেত্রবিশেষ কয়েকজন মালিক একত্রে বসে যখন-তখন ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। প্রশ্ন হলো, বিআরটিএর অনুমোদন ব্যতিরেকে এ ধরনের ভাড়া তাঁরা বাড়াতে পারেন কি না। এ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থেকে রেহাই বা মুক্তি পেতে হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অনুমতি বা সম্মতি ছাড়া ভাড়া বাড়ানোকে অপরাধ হিসেবে আমলে নিতে হবে। তা না হলে এ খাতের এই দীর্ঘকালের নৈরাজ্য বন্ধ করা সম্ভব হবে না। প্রায়ই লক্ষ করা যায়, সরকারের কাছ থেকে বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়; কিন্তু কয়েক দিন নিয়মটি পালন করেই তা আবার লুকিয়ে ফেলা হয়। যেমন ভাড়ার চার্ট টাঙিয়ে দেওয়ার একটি নির্দেশ আছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। কোথাও সে চার্ট দেখতে পাওয়া যায় না। আমাদের বক্তব্য হলো, যদি সব ধরনের বাস ভাড়া বৃদ্ধি করতেই হয় এবং এর যুক্তিসংগত কারণ থাকে, তাহলে সে দাবিটি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সামনে তুলে ধরতে হবে। নিজেরা ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করা অনেকটা জনগণের সঙ্গে শঠতার সামিল। এ ধরনের চর্চা বন্ধ করতে হবে। আর এ বন্ধ করার দায়িত্ব একমাত্র সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। মন্ত্রণালয়ের এটাও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশ্রয়ের মধ্য দিয়ে বাস মালিকরা এ অন্যায় আচরণ করার সুযোগ পাচ্ছেন কি না।
No comments