চলন্ত বাসে ধর্ষণ- দিল্লীর পুনরাবৃত্তি মানিকগঞ্জে!- বাসচালক ও হেলপার আটক
মানিকগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গার্মেন্টস কর্মী। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাসচালক দীপু মিয়া ও হেলপার কাশেমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে শুভযাত্রা পরিবহনের চলন্তবাসে এই ঘটনা ঘটে।
মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের এএসপি কামরুল ইসলাম জানান, মেয়েটি (১৮ ) সাভারের একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে তিনি পাটুরিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে নবীনগর থেকে ভুল করে শুভযাত্রা পরিবহনের বাসে ওঠেন। শুভযাত্রা পরিবহন ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত যাতায়াত করে। ভুল করে মেয়েটি ঐ বাসে ওঠেন। মানিকগঞ্জে আসার পর যাত্রীরা বাস থেকে নেমে গেলেও মেয়েটি বসে থাকে। সুযোগ বুঝে হেলপার পাটুরিয়াঘাটে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে পাটুরিয়ার দিকে রওনা দেয়। পথিমধ্যে চলন্ত গাড়িতে হেলপার কাশেম তাকে ধর্ষণ করে। পর্যায়ক্রমে ড্রাইভারও ধর্ষনের চেষ্টা করে বলে মেয়েটি জানিয়েছেন। এক পর্যায়ে মেয়েটিকে মানিকগঞ্জ সদরের মানরা ব্রিজের কাছে জোর করে নামিয়ে দেয়। মেয়েটির কান্নাকাটি দেখে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। তার বর্ণনা শুনে স্থানীয় বাস শ্রমিকরা ড্রাইভার দীপু মিয়াকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এদিকে এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাসের হকার হান্নান মিয়া। তিনি জানান, ঢাকা-আরিচা সড়কের মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত স্পিডব্রেকারের কাছে বাসের অপেক্ষায় তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন সময় শুভযাত্রা পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-১৬১২) গতি কমিয়ে স্পিডব্রেকার অতিক্রমের চেষ্টা করে। তখন তিনি দেখতে পান বাসের মধ্যে মেয়েটির সঙ্গে একটি লোক ধস্তাধস্তি করছে। তাঁকে দেখে গাড়ির ড্রাইভার দ্রুত গতিতে বাসটি তরা ব্রিজের দিকে নিয়ে যায়। হান্নান মিয়া পেছনের একটি গাড়িতে উঠে তরার কাছে ঐ গাড়িটিকে ফিরে আসতে দেখেন। তিনিও ফিরতি একটি বাসে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের দিকে আসতে থাকেন। মানরা ব্রিজের কাছে তিনি মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে আরও কয়েকজন মিলে মেয়েটিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড বাস মালিক সমিতির অফিসে পৌঁছে দেন।
মানিকগঞ্জ শুভযাত্রা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল মতিন মোল্লা জানান, মেয়েটির বর্ণনা অনুযায়ী আমরা সঙ্গে সঙ্গে দীপু মিয়াকে গাড়িসহ ধরে আনি। পরে পুলিশের হাতে তুলে দিই। তিনি জানান, গাড়ির মালিক আবদুল মান্নানকেও খবর দেয়া হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে। সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আব্দুল মালেক টেস্ট রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঘটনায় জড়িত বাসের চালককে পূর্বে গ্রেফতার করা হলেও পলাতক হেলপারকে রাত সোয়া আটটার দিকে সাভারের নবীনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক বাসের চালক দিপু মিয়া মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গোর্কি গ্রামের আতরাব আলীর ছেলে। হেলপার কাশেমের বাড়ি সদর উপজেলার দিঘী গ্রামে।
এদিকে এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাসের হকার হান্নান মিয়া। তিনি জানান, ঢাকা-আরিচা সড়কের মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত স্পিডব্রেকারের কাছে বাসের অপেক্ষায় তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন সময় শুভযাত্রা পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-১৬১২) গতি কমিয়ে স্পিডব্রেকার অতিক্রমের চেষ্টা করে। তখন তিনি দেখতে পান বাসের মধ্যে মেয়েটির সঙ্গে একটি লোক ধস্তাধস্তি করছে। তাঁকে দেখে গাড়ির ড্রাইভার দ্রুত গতিতে বাসটি তরা ব্রিজের দিকে নিয়ে যায়। হান্নান মিয়া পেছনের একটি গাড়িতে উঠে তরার কাছে ঐ গাড়িটিকে ফিরে আসতে দেখেন। তিনিও ফিরতি একটি বাসে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের দিকে আসতে থাকেন। মানরা ব্রিজের কাছে তিনি মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে আরও কয়েকজন মিলে মেয়েটিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড বাস মালিক সমিতির অফিসে পৌঁছে দেন।
মানিকগঞ্জ শুভযাত্রা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল মতিন মোল্লা জানান, মেয়েটির বর্ণনা অনুযায়ী আমরা সঙ্গে সঙ্গে দীপু মিয়াকে গাড়িসহ ধরে আনি। পরে পুলিশের হাতে তুলে দিই। তিনি জানান, গাড়ির মালিক আবদুল মান্নানকেও খবর দেয়া হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে। সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আব্দুল মালেক টেস্ট রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঘটনায় জড়িত বাসের চালককে পূর্বে গ্রেফতার করা হলেও পলাতক হেলপারকে রাত সোয়া আটটার দিকে সাভারের নবীনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক বাসের চালক দিপু মিয়া মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গোর্কি গ্রামের আতরাব আলীর ছেলে। হেলপার কাশেমের বাড়ি সদর উপজেলার দিঘী গ্রামে।
No comments