সিলেট সীমান্তে ফের উত্তেজনা, বিএসএফের শক্তি বৃদ্ধি- দুই বাংলাদেশী গুলিবিদ্ধ
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে বিডিআর-বিএসএফ ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় ভারি অস্ত্র নিয়ে শক্তি বৃদ্ধি করেছে। বিডিআরও সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
সীমান্তের ওপর এক স্থানে ভারতীয়দের গুলিতে দুই বাংলাদেশী আহত হয়েছে। সিলেটের জৈন্তাপুরের সীমান্তসংলগ্ন ডিবির হাওর ও কেন্দ্রীয় হাওরের একাংশ দাবি করছে বিএসএফ। এ নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কয়েক দফা উত্তেজনা ও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিএসএফ ও বিডিআরের মধ্যে শত শত রাউন্ড গুলিবিনিময়ের ফলে আহত হয় তিন বাংলাদেশী। পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি তামাবিল সীমান্তে বিডিআর-বিএসএফ কোম্পানি পর্যায়ে বৈঠক হয়। এর পর ১৭ ফেব্রম্নয়ারি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় শ্রীপুর সীমান্ত এলাকায় সিলেট জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয়।বৈঠকে বাংলাদেশের সীমান্তরী বিডিআরের পক্ষে নেতৃত্ব দেন উপ-মহাপরিচালক ব্রি. জে. মোঃ ওবায়দুল হক এবং ভারতের সীমান্তরী বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মেঘালয় রাজ্যের আইজিএস পৃথি্বরাজ। বৈঠকের তিনদিন পার হতে না হতেই ফের উস্কানি দিতে শুরম্ন করে বিএসএফ। তারা বাংলাদেশের জৈনত্মাপুর সীমানত্মের অভ্যনত্মরে থাকা ডিবি ও কেন্দ্রীয় হাওরের একাংশের ওপর দাবি চালায়। শনিবার খাসিয়াদের নামিয়ে দেয় ডিবি হাওরে। বিডিআরের বাধার মুখে খাসিয়ারা সরে গেলেও রবিবার ফের খাসিয়াদের মাছ ধরতে নামায় বিএসএফ। এ নিয়ে উভয় প েদেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা। এদিকে কানাইঘাটের সুরইঘাট সীমানত্ম এলাকায় ভারতীয়দের গুলিতে দুই বাংলাদেশী গুরম্নতর আহত হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টায় ১২১৩ সীমানত্ম পিলারের কাছে সোনাতনপুঞ্জি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোনাতনপুঞ্জির কাঠুরিয়া হারিছ আলী (৩৬) ও সেলিম উদ্দিন (১৮) কাঠ সংগ্রহে গেলে তাদের ল্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে বিএসএফ। এতে হারিছ আলী ও সেলিম উদ্দিন গুরম্নতর আহত হয়। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিডিআর সুরইঘাট সীমানত্ম ফাঁড়ির নায়েক সুবেদার আব্দুল কাদির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
No comments