টেকনাফে ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুত থাকে না ॥ ১৭০ শিল্প বন্ধের পথে
দেশের দেিণর সর্বশেষ সীমানা মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন উপজেলা কক্সবাজারের টেকনাফে বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা। দিনে ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টাই এই এলাকায় বিদ্যুত থাকে না।
বিদ্যুত বিভ্রাটের কারণে বরফকল, লবণ কারখানা, রাইস মিল, তুষের লাকড়ি কারখানা, মৎস্য হ্যাচারিসহ ১৭০টি শিল্প কারখানা ধ্বংস হতে বসেছে।গত কয়েকমাস ধরে অব্যাহত বিদ্যুত ঘাটতিতে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিমাসে ব্যয়ভারটুকুও মেটাতে পারছে না। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বিঘ্ন হচ্ছে। সীমানত্ম এলাকার বাসিন্দারা টিভি পর্দায় সংসদ অধিবেশনসহ শিক্ষা ও বিনোদনমূলক কোন অনুষ্ঠানই দেখতে পারছে না। কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুত সমিতি টেকনাফ শাখার ডিজিএম জানিয়েছেন, চাহিদামতো বিদ্যুত পাওয়া যায় না বলে গ্রাহক সেবা দেয়া যাচ্ছে না।
জানা যায়, কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুত সমিতির তত্ত্বাবধানে রয়েছে ৫টি সাবস্টেশন। এগুলোর মধ্যে টেকনাফ, উখিয়া, কক্সবাজার সদর (আংশিক), চকরিয়া ও মহেশখালীতে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওইসব স্টেশনের হাজার হাজার গ্রাহকদের লোডশেডিংয়ের নামে ভোগানত্মির শেষ নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপোর পর বিদ্যুত চালু হলেও মাত্র আধা ঘণ্টা নতুবা ৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টাই বিদু্যত থাকে না। গ্রাহকদের লোভ দেখানো বিদু্যত চালু করার কিছুণের মধ্যে ফের লোডশেডিংয়ের পালস্নায় পড়ে অপোর প্রহর গুণতে হয়। বিদ্যুত না থাকার কারণে সীমানত্ম শহর টেকনাফে স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমসহ ১৭০টি বিভিন্ন কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে। ১১টি চিংড়ি হ্যাচারি, বরফ কল, রাইস মিল, ওয়েল্ডিং মেশিন, লবণ কারখানা, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপসহ বহু প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মালিকরা। পলস্নী বিদু্যত সমিতির টেকনাফের ডিজিএম জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, গ্রাহকসেবা দিতে তার সাবস্টেশনে প্রতিদিন ৩ মেগাওয়াট বিদু্যতের প্রয়োজন পড়ে। তিনি কক্সবাজার গ্রিড থেকে বরাদ্দ অনুসারে প্রতিদিন পাচ্ছেন মাত্র ১ মেগাওয়াট বিদু্যত। কক্সবাজার পলস্নী বিদু্যত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রদীপ কুমার দে জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, কক্সবাজারে পাঁচটি সাবস্টেশনে ১৮ মেগাওয়াট বিদু্যতের চাহিদা রয়েছে। গড়ে পাওয়া যাচ্ছে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ মেটাওয়াট বিদু্যত। সে হিসাবে লোডশেডিং একটু বেশি হচ্ছে। তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের পলস্নী বিদু্যত সমিতির নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে মহেশখালী, চকরিয়া, উখিয়া ও সীমানত্ম শহর টেকনাফে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে লাগাতার লোডশেডিং নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
No comments