চাঁদাবাজির খপ্পরে
দেশে এমনিতেই সিনেমা হলগুলোর করুণ দশা। দর্শক না থাকা, আর্থিক দুর্দশাসহ নানাবিধ কারণে ইতোমধ্যে শত শত সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে একটি সহযোগী দৈনিকে খবর বেরিয়েছে যশোরের ঐতিহ্যবাহী মনিহার সিনেমা হলটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে অন্য হলগুলো যেসব কারণে বন্ধ হয়েছে সেসব কারণে নয়।
চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছে এই হলটি বন্ধ করে দিতে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এমননিতেই সিনেমা হলের ব্যবসায় মন্দা অবস্থা চলছে সেখানে চাঁদাবাজদের উটকো ঝামেলা যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া। এ ধরনের দুর্বৃত্তপনা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা আশা করব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাসম্ভব দ্রুত হলটি চালুর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, অব্যাহত চঁাঁদাবাজি, হলের কর্মচারীদের মারধর আর মালিককে প্রাণনাশের হুমকির কারণে শুক্রবার যশোরের সিনেমা হলটি বন্ধ করে দেয়া হয়। জানুয়ারি থেকে একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকা এলাকার চিহ্নিত চঁাঁদাবাজরা হল কর্তৃপক্ষের কাছে দফায় দফায় চাঁদা দাবি করে আসছে। কিছু টাকা চাঁদা দেয়াও হয়। চাঁদাবাজরা আবারও চাঁদা দাবি করে। কর্তৃপক্ষ চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ১৭ জানুয়ারি চঁাঁদাবাজরা হল ভাংচুর করে। পুলিশকে এ ঘটনা জানানো হয়। এতে চঁাঁদাবাজরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৯ জুলাই হলের হিসাবরক্ষককে মারধর করে। এরপর ১৫ জুলাই হলের রেস্তরাঁ ব্যবস্থাপককে মারধর করে। শুধু তাই নয়, ওই দিন চঁাঁদাবাজরা সিনেমা হলের মালিককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এতে চঁাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এসব কারণে শুক্রবার সিনেমা হলটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
আসলে চাঁদাবাজরা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠছে যে, তারা সামান্য মুদি দোকানি থেকে শুরু করে কাউকেই রেহাই দিচ্ছে না। সোনার ডিম পাড়া সেই হাঁসের গল্পের মতো তারা এখন হঁাঁসটিকেই খেয়ে ফেলতে চাইছে। আর বেপরোয়া এই চাঁদাবাজির জন্য তারা সরকারী দলের নাম ব্যবহার করছে। এতে সমাজে একটি অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
যশোরের মনিহার সিনেমা হলটি অত্যন্ত বিখ্যাত। দেশের সবচেয়ে বড়। ১৯৮৩ সালের ৮ ডিসেম্বর শহরের পুরনো খুলনা বাসস্ট্যান্ডে মনিহার সিনেমা হলের যাত্রা শুরু হয়। পরে ওই স্থানটির নাম হয় মনিহার। এক হাজার ৪৪৮ আসনের সিনেমা হলটিতে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়াও লেগেছে। হলটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল। এ কারণে দেশময় এর সুনাম রয়েছে। হল ব্যবসা মন্দা যাচ্ছেÑ এমন পরিস্থিতিতে অনেক হল মালিকই তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে অন্যদিকে ঝুঁকছে। সিনেমা হল ভেঙ্গে সেখানে গড়ে উঠছে মাল্টি স্টোরেড বিল্ডিং। অথচ মধ্যবিত্ত এবং সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের এক বিরাট অংশের বিনোদনের মাধ্যম হচ্ছে সিনেমা। এই অবস্থায় সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একটি সময় ছিল যখন মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে হলে সিনেমা দেখতে যেত। এখন মানসম্মত ছবি না হওয়ার কারণে যদিও সেই অবস্থা নেই। সে অন্য এক দিক। কিন্তু চাঁদাবাজি কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকা-ের কারণে সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাবে এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। এ জন্য মনিহার সিনেমা হলটি চালুর ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু মনিহার সিনেমা হলই নয়, দেশের অন্য হলগুলোতেও যাতে কোন ধরনের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা না থাকে সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, অব্যাহত চঁাঁদাবাজি, হলের কর্মচারীদের মারধর আর মালিককে প্রাণনাশের হুমকির কারণে শুক্রবার যশোরের সিনেমা হলটি বন্ধ করে দেয়া হয়। জানুয়ারি থেকে একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকা এলাকার চিহ্নিত চঁাঁদাবাজরা হল কর্তৃপক্ষের কাছে দফায় দফায় চাঁদা দাবি করে আসছে। কিছু টাকা চাঁদা দেয়াও হয়। চাঁদাবাজরা আবারও চাঁদা দাবি করে। কর্তৃপক্ষ চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ১৭ জানুয়ারি চঁাঁদাবাজরা হল ভাংচুর করে। পুলিশকে এ ঘটনা জানানো হয়। এতে চঁাঁদাবাজরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৯ জুলাই হলের হিসাবরক্ষককে মারধর করে। এরপর ১৫ জুলাই হলের রেস্তরাঁ ব্যবস্থাপককে মারধর করে। শুধু তাই নয়, ওই দিন চঁাঁদাবাজরা সিনেমা হলের মালিককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এতে চঁাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এসব কারণে শুক্রবার সিনেমা হলটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
আসলে চাঁদাবাজরা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠছে যে, তারা সামান্য মুদি দোকানি থেকে শুরু করে কাউকেই রেহাই দিচ্ছে না। সোনার ডিম পাড়া সেই হাঁসের গল্পের মতো তারা এখন হঁাঁসটিকেই খেয়ে ফেলতে চাইছে। আর বেপরোয়া এই চাঁদাবাজির জন্য তারা সরকারী দলের নাম ব্যবহার করছে। এতে সমাজে একটি অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
যশোরের মনিহার সিনেমা হলটি অত্যন্ত বিখ্যাত। দেশের সবচেয়ে বড়। ১৯৮৩ সালের ৮ ডিসেম্বর শহরের পুরনো খুলনা বাসস্ট্যান্ডে মনিহার সিনেমা হলের যাত্রা শুরু হয়। পরে ওই স্থানটির নাম হয় মনিহার। এক হাজার ৪৪৮ আসনের সিনেমা হলটিতে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়াও লেগেছে। হলটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল। এ কারণে দেশময় এর সুনাম রয়েছে। হল ব্যবসা মন্দা যাচ্ছেÑ এমন পরিস্থিতিতে অনেক হল মালিকই তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে অন্যদিকে ঝুঁকছে। সিনেমা হল ভেঙ্গে সেখানে গড়ে উঠছে মাল্টি স্টোরেড বিল্ডিং। অথচ মধ্যবিত্ত এবং সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের এক বিরাট অংশের বিনোদনের মাধ্যম হচ্ছে সিনেমা। এই অবস্থায় সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একটি সময় ছিল যখন মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে হলে সিনেমা দেখতে যেত। এখন মানসম্মত ছবি না হওয়ার কারণে যদিও সেই অবস্থা নেই। সে অন্য এক দিক। কিন্তু চাঁদাবাজি কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকা-ের কারণে সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাবে এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। এ জন্য মনিহার সিনেমা হলটি চালুর ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু মনিহার সিনেমা হলই নয়, দেশের অন্য হলগুলোতেও যাতে কোন ধরনের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা না থাকে সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।
No comments