সাত হাজার বই পাঠাগারে দান
ছাত্রজীবন থেকেই বই কেনা শুরু করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সন্তান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ড. রশিদুল হক। ৮০ বছরর জীবনে এসে ব্যক্তিগত সংগ্রহে বর্তমানে তাঁর বইয়ের সংখ্যা দাড়িয়েছে প্রায় সাত হাজার। গত শুক্রবার বইগুলো তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাধারন পাঠাগারে দিয়ে দিয়েছেন।
শনিবার ওই পাঠাগারে রশিদুল হকের দেওয়া বইগুলোর প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীতে আসা পাঠকেরা পরম আগ্রহ নিয়ে বইগুলো দেখেন। পদাধিকার বলে পাঠাগারটির সভাপতি জেলা প্রশাসক। প্রদর্শনীতে আসা পাঠকদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক শাহ আলম বলেন, এই বিরাট সংখ্যক বই-রশিদুল হকের চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন। এই সংগ্রহের কিছু বই তার মেয়ে চেয়েছিলেন। কিন্তু আগেই এই পাঠাগারকে দেওয়ার প্রতিশ্রুিতি দিয়েছিলেন বলে একটি বইও তিনি তাঁর মেয়েকে দেননি। এতগুলো ভাল বই আমরা পাঠাগারের জন্য কখনোই কিনতে পারবো না। এই সংগ্রহের মধ্যে অনেক দুর্লভ বইও রয়েছে।
প্রদর্শনীতে আসা নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সুলাতানা রাজিয়া বলেন, মরশিদুল হককে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তাঁর দেওয়া বিচিত্র ধরনের বই দেখে নুতুন করে তাকে চিনলাম। তাঁর সম্পর্কে পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম বলেন, ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রধান ছিলেন রশিদুল হক। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ লিবিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেছেন।
জীবনভর সংগ্রহ করা সবগুলো বই পাঠাগারকে কেন দিলেন-মুঠোফোনে গতকাল প্রশ্ন করা হলে রশিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মনিজের লাগানো গাছের ফল কি মানুষ শুধু নিজে খায়। ব্যাপারটা সেরকম। তাছাড়া আমার চার কন্যা সন্তানের মধ্যে তিন জনই থাকে দেশের বাইরে। বাকি একজনও চলে যাবে শিগগিরই। আমি বাকি জীবনটা কন্যাদের সঙ্গে থাকতে চাই। বইগুলোকে আমি ভালোবাসি। সেগুলো কেবল আলমিরাবন্ধ থাকুক এটা চাইনা। তাই বিদেশ চলে যাওয়ার আগে আমি বইগুলোর একটা ব্যবস্থা করে গেলাম।
প্রদর্শনীতে আসা নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সুলাতানা রাজিয়া বলেন, মরশিদুল হককে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তাঁর দেওয়া বিচিত্র ধরনের বই দেখে নুতুন করে তাকে চিনলাম। তাঁর সম্পর্কে পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম বলেন, ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রধান ছিলেন রশিদুল হক। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ লিবিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেছেন।
জীবনভর সংগ্রহ করা সবগুলো বই পাঠাগারকে কেন দিলেন-মুঠোফোনে গতকাল প্রশ্ন করা হলে রশিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মনিজের লাগানো গাছের ফল কি মানুষ শুধু নিজে খায়। ব্যাপারটা সেরকম। তাছাড়া আমার চার কন্যা সন্তানের মধ্যে তিন জনই থাকে দেশের বাইরে। বাকি একজনও চলে যাবে শিগগিরই। আমি বাকি জীবনটা কন্যাদের সঙ্গে থাকতে চাই। বইগুলোকে আমি ভালোবাসি। সেগুলো কেবল আলমিরাবন্ধ থাকুক এটা চাইনা। তাই বিদেশ চলে যাওয়ার আগে আমি বইগুলোর একটা ব্যবস্থা করে গেলাম।
No comments