বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবি-রূপগঞ্জে পোশাকশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, ভাঙচুর
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে একটি পোশাকশিল্প কারখানার শ্রমিকেরা গতকাল রোববার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় তাঁরা কারখানায় ভাঙচুর চালান। সড়কে ভাঙচুর করা হয় সাত-আটটি গাড়ি।
উপজেলার ভুলতা আউখাব এলাকার মহাসড়কে ওই অবরোধ সৃষ্টি করা হলে সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে মালিকপক্ষ আজ সোমবারের মধ্যে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, রূপগঞ্জের রপ্তানিমুখী হারভেস্ট রিচ গার্মেন্টসে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। গতকাল সকাল আটটায় কাজে এসে বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। তাঁরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কারখানার কাঁচ এবং পাশের ভবনে একটি ব্যাংকের কার্যালয়ের কাচ ভাঙচুর করেন। সকাল নয়টার দিকে তাঁরা কারখানা থেকে বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করেন। ভাঙচুর করা হয় সাত-আটটি গাড়ি। এ সময় মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ পর্যায়ে শ্রমিক-পুলিশ দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের কয়েকটি শেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে কারখানার মালিকপক্ষ আগামীকাল (সোমবার) বেতনভাতা দেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেন। দুপুর একটায় সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
আনোয়ার হোসেন, আমেনাসহ কারখানার কয়েকজন শ্রমিক জানান, তাঁদের দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। প্রতি মাসে ২০-২২ তারিখে গিয়ে তাঁদের বেতন পরিশোধে করা হয়। তাই তাঁরা সঠিক সময়ে বাড়ি বাড়া পরিশোধ করতে পারেন না। এ কারণে কেউ তাদের বাড়ি ভাড়া দিতে চান না। প্রতি মাসের বেতন ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধের দাবি জানান তাঁরা। এ ছাড়া হাজিরা বোনাস ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবি জানানো হয়।
এ ব্যাপারে হারভেস্ট রিচ গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রতন বাবু বলেন, ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় শ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। কাল (সোমবার) বেতনভাতা দেওয়া হবে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান খান জানান, অবরোধের কারণে সড়কে তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে দুপুর একটায় সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেন ওসি।
আদমজীনগরে অবস্থিত শিল্প পুলিশ-৪-এর পরিচালক মাহবুব আলম জানান, দুই মাসের বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন। আগামীকাল (সোমবার) শ্রমিকদের বেতনভাতা প্রদানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, রূপগঞ্জের রপ্তানিমুখী হারভেস্ট রিচ গার্মেন্টসে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। গতকাল সকাল আটটায় কাজে এসে বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। তাঁরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কারখানার কাঁচ এবং পাশের ভবনে একটি ব্যাংকের কার্যালয়ের কাচ ভাঙচুর করেন। সকাল নয়টার দিকে তাঁরা কারখানা থেকে বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করেন। ভাঙচুর করা হয় সাত-আটটি গাড়ি। এ সময় মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ পর্যায়ে শ্রমিক-পুলিশ দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের কয়েকটি শেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে কারখানার মালিকপক্ষ আগামীকাল (সোমবার) বেতনভাতা দেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেন। দুপুর একটায় সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
আনোয়ার হোসেন, আমেনাসহ কারখানার কয়েকজন শ্রমিক জানান, তাঁদের দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। প্রতি মাসে ২০-২২ তারিখে গিয়ে তাঁদের বেতন পরিশোধে করা হয়। তাই তাঁরা সঠিক সময়ে বাড়ি বাড়া পরিশোধ করতে পারেন না। এ কারণে কেউ তাদের বাড়ি ভাড়া দিতে চান না। প্রতি মাসের বেতন ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধের দাবি জানান তাঁরা। এ ছাড়া হাজিরা বোনাস ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবি জানানো হয়।
এ ব্যাপারে হারভেস্ট রিচ গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রতন বাবু বলেন, ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় শ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। কাল (সোমবার) বেতনভাতা দেওয়া হবে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান খান জানান, অবরোধের কারণে সড়কে তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে দুপুর একটায় সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেন ওসি।
আদমজীনগরে অবস্থিত শিল্প পুলিশ-৪-এর পরিচালক মাহবুব আলম জানান, দুই মাসের বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন। আগামীকাল (সোমবার) শ্রমিকদের বেতনভাতা প্রদানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেন।
No comments