নেপালে মাদকাসক্ত গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে কড়াকড়ি
নেপালে মাদক সেবন করে গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু হয়েছে। পুলিশ রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চালকদের মুখের গন্ধ পরীক্ষা করছে। এ ক্ষেত্রে চালক মাদক গ্রহণ করেছেন, কী করেননি_তা নিশ্চিত হতে পুলিশ শুধু তাঁদের ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের ওপরই নির্ভর করছে। চালকের মুখ শুঁকেই মাদক গ্রহণের ব্যাপারে নিশ্চিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে
তাঁর লাইসেন্স জব্দ এবং জরিমানা করা হচ্ছে। রাজধানী কাঠমান্ডুতে পুলিশ 'জিরো টলারেন্স' নীতি অবলম্বন করছে।
কাঠমান্ডুতে অ্যালকোহল আইনগতভাবে সহজলভ্য হলেও তা গ্রহণ করে গাড়ি চালানো বেআইনি।
তবে নতুন আইনে বিপাকে পড়েছে দেশের নেওয়ার আদিবাসী সম্প্রদায়। শত শত বছর ধরে অ্যালকোহল সেবন তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটাকে তাদের সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ বলে মনে করছে তারা। একজন শীর্ষ মাদক আমদানিকারক অর্জুন ভাণ্ডারি রিপাবলিকা পত্রিকায় প্রকাশিত মন্তব্যে লিখেছেন, 'অ্যালকোহলের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স আমাদের সামাজিক বৈচিত্র্যকে ব্যাহত করতে পারে।' তিনি লিখেছেন, নেওয়ার সম্প্রদায়ের প্রতিটি উৎসবেই পরিবারের সদস্য ও বন্ধু-বান্ধবদের কিছুটা অ্যালকোহল পরিবেশন করা হয়। শত বছরের পুরনো এই রেওয়াজ কোনো শিক্ষামূলক প্রচারণা বা বিকল্প সমাধান ছাড়া রাতারাতি মুছে ফেলা যাবে না। এ দিকে এই আইনের ফলে আতিথেয়তায়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে কাঠমান্ডু ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক গণেশ রায় বলেন, 'সংস্কৃতির বিষয়টি নিছক একটি অজুহাত। আমরা মাদক সেবন নিষিদ্ধ করিনি, আমরা কেবল মাদক সেবন করে গাড়ি চালানোটাই নিষিদ্ধ করেছি।' তিনি বলেন, 'আগে বিশেষ করে রাতের বেলায় গাড়ি দুর্ঘটনা বেশি ঘটত। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর কারণ ছিল মাদক সেবন। সূত্র : এএফপি।
কাঠমান্ডুতে অ্যালকোহল আইনগতভাবে সহজলভ্য হলেও তা গ্রহণ করে গাড়ি চালানো বেআইনি।
তবে নতুন আইনে বিপাকে পড়েছে দেশের নেওয়ার আদিবাসী সম্প্রদায়। শত শত বছর ধরে অ্যালকোহল সেবন তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটাকে তাদের সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ বলে মনে করছে তারা। একজন শীর্ষ মাদক আমদানিকারক অর্জুন ভাণ্ডারি রিপাবলিকা পত্রিকায় প্রকাশিত মন্তব্যে লিখেছেন, 'অ্যালকোহলের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স আমাদের সামাজিক বৈচিত্র্যকে ব্যাহত করতে পারে।' তিনি লিখেছেন, নেওয়ার সম্প্রদায়ের প্রতিটি উৎসবেই পরিবারের সদস্য ও বন্ধু-বান্ধবদের কিছুটা অ্যালকোহল পরিবেশন করা হয়। শত বছরের পুরনো এই রেওয়াজ কোনো শিক্ষামূলক প্রচারণা বা বিকল্প সমাধান ছাড়া রাতারাতি মুছে ফেলা যাবে না। এ দিকে এই আইনের ফলে আতিথেয়তায়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে কাঠমান্ডু ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক গণেশ রায় বলেন, 'সংস্কৃতির বিষয়টি নিছক একটি অজুহাত। আমরা মাদক সেবন নিষিদ্ধ করিনি, আমরা কেবল মাদক সেবন করে গাড়ি চালানোটাই নিষিদ্ধ করেছি।' তিনি বলেন, 'আগে বিশেষ করে রাতের বেলায় গাড়ি দুর্ঘটনা বেশি ঘটত। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর কারণ ছিল মাদক সেবন। সূত্র : এএফপি।
No comments