নাকফুল ও পায়েলের ছন্দে by মেরীনা চৌধুরী
আজকের তরুণী যেমন স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখে তেমনই নিজেকে সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতেও চায়। সাজগোজের মধ্যেও তারা চায় স্বাতন্ত্র্য, সৌন্দর্য ও সুরুচির দাগ কেটে দিতে তাই তরুণীদের জন্য এবার ঈদে দেয়া হলো কিছু গয়না যেমন নাকফুল, পায়েল যা একালের আধুনিকাদের পছন্দের শীর্ষে।
নাকফুল
হলুদ বনে বনে/নাক ছবিটি হারিয়ে গেছে/সুখ নেই কো মনে এ কথাগুলো কোন প্রমদার, আমরা জানি না। তবে রত্নাভরণ বিলাসিনীদের যে নাকছবি না পরলে মনের সুখ হারিয়ে যায় তা এক রকম ফলিত সত্য। আগে সাধারণত নাকছবি বিবাহিত মেয়েরাই পরত। আর সেকালে নাকের গয়না নানা রকমের হতো। নখ, নোলক, নাকফুল, নাকপাশা, নাকছবি। এই নাকচাবিই কালক্রমে নাকছবিতে পরিণত হয়েছে। এ কালে নোলক, নথ ইত্যাদির তেমন চল নেই। এখন নকশার পরীক্ষা-নিরীক্ষা সবই নাকফুলের উপরে। এখন সেমিপ্রেশাস স্টোন বা আমেরিকান ডায়মন্ড বসিয়ে নাকের গয়না তৈরি হয়। সোনার তৈরি বেলকুঁড়িও অনেকের নাকেই শোভা পেতে দেখা যায়। বিয়ের কনেই হোন বা বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রিতাÑ রকমারি কারুকাজের নাকের গয়না সবাই পরতে পারেন। এবার সুদৃশ্য কয়েকটি নাসালঙ্কারের কথা বলা হলো যা কম খরচে করা যাবে।
* সোনার তারের পাঁচ পাপড়ির ফুলের মাঝখানে মুক্তো বসিয়ে চমৎকার নাকফুল তৈরি হয়।
* সোনার ছিলেকাটা ছোট্ট একটি আম, পানপাতার মতো মুখের শ্রী বাড়িয়ে দেয় দশগুণ।
*কাট কাটা গড়নের ছিপছিপে মুখশ্রীকে আরও ধারালো সুন্দর করে তোলে সোনার তারের কাজ করা একটি ক্রস। যার চার মাথায় একটি করে রুবি অথবা আমেরিকান ডায়মন্ড বসানো থাকবে।
* সোনার নাকফুল থেকে ঝোলানো সাদা ও লালপুতির ছোট্ট দুলহরী ঝুলি বসানো নাকছবি যে কোন আদলের মুখে মানানসই। লাল, সবুজ বা কালো মিলে করা পাতা বা কলকা গড়নের নাকফুল বা নাকছবি মুখের সৌন্দর্য বাড়ায়।
* ছিলেকাটা বেলকুঁড়ি গড়নের নাকছবি অথবা কানের পাশার আদলেও বানানো যায় নাকছবি।
এসবের মধ্যে যেটি আপনার পছন্দ বেছে নিন। কেবল তরুণী নয় মহিলারাও তৈরি করতে পারেন।
পায়েল বা নূপুর
বাঙালী মেয়েদের মধ্যে পায়ের মল বা নূপুর পরার রেওয়াজ ঠিক কবে থেকে শুরু হয়েছিল তা বোধ হয় কারোরই জানা নেই। তবে অল্প বয়সী বউ বাড়িতে ঘোরাফেরা করলে এই নূপুরের আওয়াজেই শ্বশুর বা ভাসুর স্থানীয় গুরুজনেরা সতর্ক হয়ে দূরত্ব বজায় রাখতেন। কিন্তু নূপুর বা পায়েল এখনকার আধুনিক সৌন্দর্যবিলাসীদের সাজে একটা অন্য মাত্রা যোগ করেছে। যে কোন তরুণী বা সদ্য তরুণীর মসৃণ পায়ে খুব সুন্দর লাগে ঝকঝকে পায়েল, বা মল বা নূপুর। অনেক রকম নকশা দেয়া মল পাওয়া যায়।
* মোটা এবং সরু দু’ধরনেরই বালার মতো নকশা করা মল পাওয়া যায় পদশোভা বৃদ্ধির জন্য। হোয়াইট মেটাল, সোনা জল করা দু’রকমই পাওয়া যায়।
* খুবই আধুনিক এবং বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে ট্যাসেল পায়েল। এই ধরনের অলঙ্কার গলার আভরণ হিসাবেই ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। কিন্তু ট্যাসেলের মাঝে সোনা বা রূপালী বল বা বিভিন্ন নকশা করা পাত বসিয়ে তৈরি করা নূপুর দারুণ আকর্ষণীয়। এই ধরনের পায়েলের নামটাও মিষ্টিÑবাঞ্জারা পায়েল, যা সিড়ি, ঘাগরা, সালোয়ার কুর্তা সবের সঙ্গেই স্বচ্ছন্দে পরা যায়।
*হোয়াইট মেটাল বা মিনে করা ইমিটেশনের পা জোড়া নূপুর যাকে বলে পায়জোড়। সব পাবেন নিউমার্কেট, চাঁদনীচক, জেনেটিক প্লাজার দোতলায়, মেট্টো প্লাজায়, ইস্টার্ন প্লাজায়।
আপনার বাজেট এবং পছন্দমতো কিনে নিতে পারেন। এছাড়া পায়ের আঙ্গুরের সাজে অঙ্গুষ্ঠ পছন্দ করতে পারেন। আধুনিকদের পায়ের সাজে আজকাল অঙ্গুষ্ঠ খুবই জনপ্রিয়।
হলুদ বনে বনে/নাক ছবিটি হারিয়ে গেছে/সুখ নেই কো মনে এ কথাগুলো কোন প্রমদার, আমরা জানি না। তবে রত্নাভরণ বিলাসিনীদের যে নাকছবি না পরলে মনের সুখ হারিয়ে যায় তা এক রকম ফলিত সত্য। আগে সাধারণত নাকছবি বিবাহিত মেয়েরাই পরত। আর সেকালে নাকের গয়না নানা রকমের হতো। নখ, নোলক, নাকফুল, নাকপাশা, নাকছবি। এই নাকচাবিই কালক্রমে নাকছবিতে পরিণত হয়েছে। এ কালে নোলক, নথ ইত্যাদির তেমন চল নেই। এখন নকশার পরীক্ষা-নিরীক্ষা সবই নাকফুলের উপরে। এখন সেমিপ্রেশাস স্টোন বা আমেরিকান ডায়মন্ড বসিয়ে নাকের গয়না তৈরি হয়। সোনার তৈরি বেলকুঁড়িও অনেকের নাকেই শোভা পেতে দেখা যায়। বিয়ের কনেই হোন বা বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রিতাÑ রকমারি কারুকাজের নাকের গয়না সবাই পরতে পারেন। এবার সুদৃশ্য কয়েকটি নাসালঙ্কারের কথা বলা হলো যা কম খরচে করা যাবে।
* সোনার তারের পাঁচ পাপড়ির ফুলের মাঝখানে মুক্তো বসিয়ে চমৎকার নাকফুল তৈরি হয়।
* সোনার ছিলেকাটা ছোট্ট একটি আম, পানপাতার মতো মুখের শ্রী বাড়িয়ে দেয় দশগুণ।
*কাট কাটা গড়নের ছিপছিপে মুখশ্রীকে আরও ধারালো সুন্দর করে তোলে সোনার তারের কাজ করা একটি ক্রস। যার চার মাথায় একটি করে রুবি অথবা আমেরিকান ডায়মন্ড বসানো থাকবে।
* সোনার নাকফুল থেকে ঝোলানো সাদা ও লালপুতির ছোট্ট দুলহরী ঝুলি বসানো নাকছবি যে কোন আদলের মুখে মানানসই। লাল, সবুজ বা কালো মিলে করা পাতা বা কলকা গড়নের নাকফুল বা নাকছবি মুখের সৌন্দর্য বাড়ায়।
* ছিলেকাটা বেলকুঁড়ি গড়নের নাকছবি অথবা কানের পাশার আদলেও বানানো যায় নাকছবি।
এসবের মধ্যে যেটি আপনার পছন্দ বেছে নিন। কেবল তরুণী নয় মহিলারাও তৈরি করতে পারেন।
পায়েল বা নূপুর
বাঙালী মেয়েদের মধ্যে পায়ের মল বা নূপুর পরার রেওয়াজ ঠিক কবে থেকে শুরু হয়েছিল তা বোধ হয় কারোরই জানা নেই। তবে অল্প বয়সী বউ বাড়িতে ঘোরাফেরা করলে এই নূপুরের আওয়াজেই শ্বশুর বা ভাসুর স্থানীয় গুরুজনেরা সতর্ক হয়ে দূরত্ব বজায় রাখতেন। কিন্তু নূপুর বা পায়েল এখনকার আধুনিক সৌন্দর্যবিলাসীদের সাজে একটা অন্য মাত্রা যোগ করেছে। যে কোন তরুণী বা সদ্য তরুণীর মসৃণ পায়ে খুব সুন্দর লাগে ঝকঝকে পায়েল, বা মল বা নূপুর। অনেক রকম নকশা দেয়া মল পাওয়া যায়।
* মোটা এবং সরু দু’ধরনেরই বালার মতো নকশা করা মল পাওয়া যায় পদশোভা বৃদ্ধির জন্য। হোয়াইট মেটাল, সোনা জল করা দু’রকমই পাওয়া যায়।
* খুবই আধুনিক এবং বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে ট্যাসেল পায়েল। এই ধরনের অলঙ্কার গলার আভরণ হিসাবেই ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। কিন্তু ট্যাসেলের মাঝে সোনা বা রূপালী বল বা বিভিন্ন নকশা করা পাত বসিয়ে তৈরি করা নূপুর দারুণ আকর্ষণীয়। এই ধরনের পায়েলের নামটাও মিষ্টিÑবাঞ্জারা পায়েল, যা সিড়ি, ঘাগরা, সালোয়ার কুর্তা সবের সঙ্গেই স্বচ্ছন্দে পরা যায়।
*হোয়াইট মেটাল বা মিনে করা ইমিটেশনের পা জোড়া নূপুর যাকে বলে পায়জোড়। সব পাবেন নিউমার্কেট, চাঁদনীচক, জেনেটিক প্লাজার দোতলায়, মেট্টো প্লাজায়, ইস্টার্ন প্লাজায়।
আপনার বাজেট এবং পছন্দমতো কিনে নিতে পারেন। এছাড়া পায়ের আঙ্গুরের সাজে অঙ্গুষ্ঠ পছন্দ করতে পারেন। আধুনিকদের পায়ের সাজে আজকাল অঙ্গুষ্ঠ খুবই জনপ্রিয়।
No comments