পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি-লাভালিনের স্থানীয় তিন প্রতিনিধিকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ
পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের স্থানীয় তিন প্রতিনিধিকে গতকাল রবিবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।প্রকল্প প্রাইভেট লিমিটেড, বেটস কনসালটিং লিমিটেড ও বিসিএল অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের তিন শীর্ষ কর্মকর্তা গতকাল সকাল ১০টায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হন।
দুদকের উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলি ও মির্জা জাহিদুল আলম তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রকল্প প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল হাসান খান সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের সাব এজেন্ট। লাভালিন কাজ পেলে আমরাও পেতাম।' জিজ্ঞাসাবাদের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'দুদক তো মূলত দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতার জন্যই ডাকে। আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা জানতে চেয়েছে।'
বেটস কনসালটিং লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক নূরুল ইসলাম দুপুর ১টায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলে যান।
বিসিএল অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের পরিচালক ড. এম এ আজিজ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা এসএনসি লাভালিনকে সিভি পাঠিয়েছি। এর বাইরে আমরা তেমন কিছু জানি না।' জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, 'দুদক আমাদের জিজ্ঞাসা করে কনসালট্যান্ট নিয়োগে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে আমরা কিছু জানি কি না। আমরা দুদককে জানিয়েছি এ বিষয়ে আমরা অবগত নই।'
ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি মূল্যায়ন কমিটি পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নাম সুপারিশ করেছিল। এর প্রথমটি ছিল এসএনসি লাভালিন। অন্যগুলো হলো, যুক্তরাজ্যের হালক্রো গ্রুপ ইউকে, নিউজিল্যান্ডের একম অ্যান্ড এজেডএল, জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্ট কম্পানি লিমিটেড এবং যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের জয়েন্ট ভেনচার কম্পানি হাইপয়েন্ট রেলেন্ড। এদের মধ্যে এসএনসি লাভালিনকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে অনুমোদনের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়। এরপরই এ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। চলতি বছরের এপ্রিলে বিশ্বব্যাংক পরামর্শক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুললে এ নিয়ে দুদক তদন্ত শুরু করে। দুদকের তদন্ত শেষ করার আগেই বিশ্বব্যাংক ২৯ জুন ঋণচুক্তি বাতিল করে।
দুদক এ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরীর ভাই নিঙ্ন চৌধুরী এবং এসএনসি লাভালিনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াউল হককে। এ ছাড়া সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ ও সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম মর্তুজাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রকল্প প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল হাসান খান সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের সাব এজেন্ট। লাভালিন কাজ পেলে আমরাও পেতাম।' জিজ্ঞাসাবাদের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'দুদক তো মূলত দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতার জন্যই ডাকে। আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা জানতে চেয়েছে।'
বেটস কনসালটিং লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক নূরুল ইসলাম দুপুর ১টায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলে যান।
বিসিএল অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের পরিচালক ড. এম এ আজিজ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা এসএনসি লাভালিনকে সিভি পাঠিয়েছি। এর বাইরে আমরা তেমন কিছু জানি না।' জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, 'দুদক আমাদের জিজ্ঞাসা করে কনসালট্যান্ট নিয়োগে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে আমরা কিছু জানি কি না। আমরা দুদককে জানিয়েছি এ বিষয়ে আমরা অবগত নই।'
ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি মূল্যায়ন কমিটি পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নাম সুপারিশ করেছিল। এর প্রথমটি ছিল এসএনসি লাভালিন। অন্যগুলো হলো, যুক্তরাজ্যের হালক্রো গ্রুপ ইউকে, নিউজিল্যান্ডের একম অ্যান্ড এজেডএল, জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্ট কম্পানি লিমিটেড এবং যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের জয়েন্ট ভেনচার কম্পানি হাইপয়েন্ট রেলেন্ড। এদের মধ্যে এসএনসি লাভালিনকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে অনুমোদনের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়। এরপরই এ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। চলতি বছরের এপ্রিলে বিশ্বব্যাংক পরামর্শক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুললে এ নিয়ে দুদক তদন্ত শুরু করে। দুদকের তদন্ত শেষ করার আগেই বিশ্বব্যাংক ২৯ জুন ঋণচুক্তি বাতিল করে।
দুদক এ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরীর ভাই নিঙ্ন চৌধুরী এবং এসএনসি লাভালিনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াউল হককে। এ ছাড়া সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ ও সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম মর্তুজাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
No comments