গবেষণা প্রতিবেদন-বিশ্বজুড়ে ধনীরা কর ফাঁকি দিয়ে জমিয়েছেন ৩২ ট্রিলিয়ন ডলার
বিশ্বের ধনকুবেররা কর ফাঁকি দিয়ে কমপক্ষে ২১ ট্রিলিয়ন (এক ট্রিলিয়নে ১০ হাজার কোটি) ডলারের নগদ অর্থ অন্য দেশের ব্যাংকে জমা করেছেন। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের যৌথ জাতীয় গড় উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় সমান।
এতে করে প্রায় ২৮ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত রাজস্ব হারিয়েছে বিভিন্ন দেশ। গতকাল রবিবার প্রকাশিত একটি গবেষণা জরিপে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
কর ফাঁকির বিরুদ্ধে কর্মরত সংস্থা ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্কের অধীনে জরিপটি করেছেন অর্থনীতিবিদ জেমস হেনরি। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাককিনসের সাবেক এই প্রধান অর্থনীতিবিদ তাঁর 'দ্য প্রাইস অব অফশোর রিভিজিটেড' শীর্ষক প্রতিবেদনে দাবি করেছেন, কেবল নগদ অর্থের হিসাবে কর ফাঁকি দেওয়া অর্থের পরিমাণ ২১ ট্রিলিয়ন ডলার। এতে ধনকুবের বা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অন্যান্য স্থাবর সম্পদের হিসাব যোগ করা হয়নি। হেনরির অনুমান, জমিজমা, সোনাদানা, প্রমোদতরী বা এ ধরনের সম্পদের অর্থমূল্য যোগ করলে করের আওতার বাইরে রাখা অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩২ ট্রিলিয়ন ডলার। গবেষণাটি পরিচালনা করতে তিনি ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টস, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংকের তথ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ব্যবহার করেছেন।
কর ফাঁকি দেওয়া বা কৌশলে কর পরিহার করার ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী সরকারি ও রাজনৈতিকভাবে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেক দেশই যথাযথ কর আদায়ে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। জার্মানিতে কর ফাঁকির ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যদাতাকে পুরস্কার দেওয়াও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।
কর ফাঁকি বা কৌশলে তা পরিহার করতে ধনকুবেররা এমন দেশে অর্থ রাখে, যেখানে তাঁদের দেশের সরকারের কর্তৃত্ব নেই। কর ফাঁকি দিতে বিভিন্ন প্রাইভেট ব্যাংক বা বিনিয়োগ সংস্থার মাধ্যমে সাধারণত তারা ওই সব দেশের ব্যাংকে অর্থ জমা করেন। এ ক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ড ও পশ্চিম ক্যারিবীয় সমুদ্রের ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণাধীন ভূখণ্ড কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ব্যাংকগুলোতে অর্থ রাখার প্রবণতা বেশি। হেনরির গবেষণা অনুযায়ী, ২০১০ সালে চার ট্রিলিয়নেরও বেশি ডলার করের আওতার বাইরে রাখতে সহায়তা করেছে যে ১০টি ব্যাংক তার মধ্যে অন্যতম সুইজারল্যান্ডের ইউবিএস অ্যান্ড ক্রেডিট সুইস ও যুক্তরাষ্ট্রের গোল্ডম্যান সাকস ব্যাংক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৩৯টি উন্নয়শীল দেশের ধনাঢ্য শ্রেণী তাদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ করের আওতার বাইরে রেখেছে। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে দেশগুলো। প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, গত শতকের সত্তরের দশক থেকেই এসব দেশের ধনীরা সম্পদ গোপন করছেন। ২০১০ সালে এই 'রেকর্ডবিহীন সম্পদের' পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৩ থেকে ৯ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। বিপুল পরিমাণ অর্থ এভাবে আড়াল করে রাখার ব্যাপারটি 'বিশ্ব অর্থনীতিতে বিশাল আকারের কৃষ্ণগহ্বরের' অস্তিত্বের প্রমাণ দেয় বলে হেনরি মন্তব্য করেছেন। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, গার্ডিয়ান।
কর ফাঁকির বিরুদ্ধে কর্মরত সংস্থা ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্কের অধীনে জরিপটি করেছেন অর্থনীতিবিদ জেমস হেনরি। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাককিনসের সাবেক এই প্রধান অর্থনীতিবিদ তাঁর 'দ্য প্রাইস অব অফশোর রিভিজিটেড' শীর্ষক প্রতিবেদনে দাবি করেছেন, কেবল নগদ অর্থের হিসাবে কর ফাঁকি দেওয়া অর্থের পরিমাণ ২১ ট্রিলিয়ন ডলার। এতে ধনকুবের বা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অন্যান্য স্থাবর সম্পদের হিসাব যোগ করা হয়নি। হেনরির অনুমান, জমিজমা, সোনাদানা, প্রমোদতরী বা এ ধরনের সম্পদের অর্থমূল্য যোগ করলে করের আওতার বাইরে রাখা অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩২ ট্রিলিয়ন ডলার। গবেষণাটি পরিচালনা করতে তিনি ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টস, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংকের তথ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ব্যবহার করেছেন।
কর ফাঁকি দেওয়া বা কৌশলে কর পরিহার করার ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী সরকারি ও রাজনৈতিকভাবে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেক দেশই যথাযথ কর আদায়ে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। জার্মানিতে কর ফাঁকির ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যদাতাকে পুরস্কার দেওয়াও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।
কর ফাঁকি বা কৌশলে তা পরিহার করতে ধনকুবেররা এমন দেশে অর্থ রাখে, যেখানে তাঁদের দেশের সরকারের কর্তৃত্ব নেই। কর ফাঁকি দিতে বিভিন্ন প্রাইভেট ব্যাংক বা বিনিয়োগ সংস্থার মাধ্যমে সাধারণত তারা ওই সব দেশের ব্যাংকে অর্থ জমা করেন। এ ক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ড ও পশ্চিম ক্যারিবীয় সমুদ্রের ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণাধীন ভূখণ্ড কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ব্যাংকগুলোতে অর্থ রাখার প্রবণতা বেশি। হেনরির গবেষণা অনুযায়ী, ২০১০ সালে চার ট্রিলিয়নেরও বেশি ডলার করের আওতার বাইরে রাখতে সহায়তা করেছে যে ১০টি ব্যাংক তার মধ্যে অন্যতম সুইজারল্যান্ডের ইউবিএস অ্যান্ড ক্রেডিট সুইস ও যুক্তরাষ্ট্রের গোল্ডম্যান সাকস ব্যাংক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৩৯টি উন্নয়শীল দেশের ধনাঢ্য শ্রেণী তাদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ করের আওতার বাইরে রেখেছে। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে দেশগুলো। প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, গত শতকের সত্তরের দশক থেকেই এসব দেশের ধনীরা সম্পদ গোপন করছেন। ২০১০ সালে এই 'রেকর্ডবিহীন সম্পদের' পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৩ থেকে ৯ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। বিপুল পরিমাণ অর্থ এভাবে আড়াল করে রাখার ব্যাপারটি 'বিশ্ব অর্থনীতিতে বিশাল আকারের কৃষ্ণগহ্বরের' অস্তিত্বের প্রমাণ দেয় বলে হেনরি মন্তব্য করেছেন। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, গার্ডিয়ান।
No comments