প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জন্মবার্ষিকী আজ
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা, সততা ও আদর্শবাদের অনন্য এক প্রতীক।
তাজউদ্দীন আহমদ ছাত্রজীবনেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে এদেশে ভাষার অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী যত আন্দোলন হয়েছে তার প্রতিটিতেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আওয়ামী লীগের গঠন প্রক্রিয়ার মূল উদ্যোক্তাদের তিনি একজন। ১৯৬৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই বছরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালীর মুক্তি সনদ ৬ দফা ঘোষণা করেন। ৬ দফার অন্যতম রূপকার ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এই অসহযোগ আন্দোলন পরিচালনায় তাজউদ্দীন আহমদ যথেষ্ট সাংগঠনিক দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন। এরপর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের পর শুরু করে একতরফা গণহত্যাযজ্ঞ। শুরু হয় বাঙালীর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।
বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তখন নেতৃত্বের মূল দায়িত্ব অর্পিত হয় তাজউদ্দীন আহমদের ওপর। তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি ১৯৭১ সালে এক চরম সঙ্কটময় মুহূর্তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সফল ভূমিকা পালন। তাজউদ্দীন আহমদ এই গুরুদায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে মাত্র নয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে আদর্শ ও নীতিগত প্রশ্নে ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ক্ষমতা দখলকারী ঘাতকচক্র সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দী করে। পরে তাঁকে জেলখানায় বন্দী করে রাখা হয়। বন্দী অবস্থায় তাঁকে এবং আরও তিন জাতীয় নেতাকে জেলখানার অভ্যন্তরে একই বছরের ৩ নবেম্বর ঘাতকচক্র নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এই অসহযোগ আন্দোলন পরিচালনায় তাজউদ্দীন আহমদ যথেষ্ট সাংগঠনিক দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন। এরপর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের পর শুরু করে একতরফা গণহত্যাযজ্ঞ। শুরু হয় বাঙালীর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।
বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তখন নেতৃত্বের মূল দায়িত্ব অর্পিত হয় তাজউদ্দীন আহমদের ওপর। তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি ১৯৭১ সালে এক চরম সঙ্কটময় মুহূর্তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সফল ভূমিকা পালন। তাজউদ্দীন আহমদ এই গুরুদায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে মাত্র নয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে আদর্শ ও নীতিগত প্রশ্নে ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ক্ষমতা দখলকারী ঘাতকচক্র সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দী করে। পরে তাঁকে জেলখানায় বন্দী করে রাখা হয়। বন্দী অবস্থায় তাঁকে এবং আরও তিন জাতীয় নেতাকে জেলখানার অভ্যন্তরে একই বছরের ৩ নবেম্বর ঘাতকচক্র নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।
No comments