জোড়া হামলার বার্ষিকী-নরওয়েতে গভীর শ্রদ্ধায় নিহতদের স্মরণ
নরওয়ের রাজধানী অসলো ও উটোয়া দ্বীপে নৃশংস হামলায় নিহতদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করল সে দেশের অধিবাসীরা। গতকাল রোববার ছিল ওই হামলার প্রথম বার্ষিকী। এ উপলক্ষে দেশজুড়ে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন শোক অনুষ্ঠানের।
গত বছরের ২২ জুলাই বোমা হামলা ও নির্বিচারে গুলিবর্ষণের ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ৭৭ জন। আহত হন আরও ২৪২ জন।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ স্টলটেনবার্গ অসলোর হামলার স্থানে গতকাল সকাল সাড়ে নয়টায় পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সন্ধ্যার পর উটোয়া দ্বীপে শত শত শোকার্ত মানুষের সঙ্গে একটি শোক অনুষ্ঠানে তাঁর অংশগ্রহণের কথা। উপস্থিত শোকার্ত মানুষের মধ্যে হামলায় নিহতদের স্বজনেরাও থাকবেন। এখানে প্রধানমন্ত্রী লেবার পার্টির তরুণ কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেবেন বলেও জানা গেছে। পরে নরওয়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের অংশগ্রহণে জাতীয় কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে এই স্থানে।
এক বছর আগে এই দিনটিতে চালানো উভয় হামলার দায় স্বীকার করেছেন অ্যান্ডার্স বেরিং ব্রেইভিক (৩৩)। বর্তমানে তিনি বিচারের সম্মুখীন। আদালতের শুনানিতে ব্রেইভিক বলেছেন, তাঁর দেশে মুসলিমদের উত্থান ঠেকাতেই তিনি ওই হামলা চালান। তা ছাড়া ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির অভিবাসন নীতি ও দেশের বহু সাংস্কৃতিক সমাজব্যবস্থাকে দলটির সমর্থনে ক্ষুব্ধ হয়ে এই দলের যুব শাখার সম্মেলনস্থলকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেন তিনি।
তবে গতকালের স্মরণানুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘ওই ঘটনায় তিনিই (ব্রেইভিক) পরাজিত হয়েছেন। জয়ী হয়েছে সাধারণ মানুষ।’ নরওয়ের সমাজ পরিবর্তনের অপচেষ্টায় চালানো তাঁর ওই হামলা লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। হামলায় নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন দেশটির লেবার পার্টির তরুণ কর্মী। তাঁরা দলের ইয়ুথ ওয়ার্কার্স লিগের গ্রীষ্মকালীন এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সময় ব্রেইভিকের হামলার শিকার হন।
স্মরণানুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সারা দেশের গির্জাগুলোতে প্রার্থনা, সংগীতানুষ্ঠান ও অন্যান্য কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে অসলোর প্রধান ক্যাথেড্রালে দিবসের মূল শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এ পর্যন্ত সময়ে নরওয়ে যত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ব্রেইভিকের জোড়া হামলা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। বিবিসি ও এএফপি।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ স্টলটেনবার্গ অসলোর হামলার স্থানে গতকাল সকাল সাড়ে নয়টায় পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সন্ধ্যার পর উটোয়া দ্বীপে শত শত শোকার্ত মানুষের সঙ্গে একটি শোক অনুষ্ঠানে তাঁর অংশগ্রহণের কথা। উপস্থিত শোকার্ত মানুষের মধ্যে হামলায় নিহতদের স্বজনেরাও থাকবেন। এখানে প্রধানমন্ত্রী লেবার পার্টির তরুণ কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেবেন বলেও জানা গেছে। পরে নরওয়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের অংশগ্রহণে জাতীয় কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে এই স্থানে।
এক বছর আগে এই দিনটিতে চালানো উভয় হামলার দায় স্বীকার করেছেন অ্যান্ডার্স বেরিং ব্রেইভিক (৩৩)। বর্তমানে তিনি বিচারের সম্মুখীন। আদালতের শুনানিতে ব্রেইভিক বলেছেন, তাঁর দেশে মুসলিমদের উত্থান ঠেকাতেই তিনি ওই হামলা চালান। তা ছাড়া ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির অভিবাসন নীতি ও দেশের বহু সাংস্কৃতিক সমাজব্যবস্থাকে দলটির সমর্থনে ক্ষুব্ধ হয়ে এই দলের যুব শাখার সম্মেলনস্থলকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেন তিনি।
তবে গতকালের স্মরণানুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘ওই ঘটনায় তিনিই (ব্রেইভিক) পরাজিত হয়েছেন। জয়ী হয়েছে সাধারণ মানুষ।’ নরওয়ের সমাজ পরিবর্তনের অপচেষ্টায় চালানো তাঁর ওই হামলা লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। হামলায় নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন দেশটির লেবার পার্টির তরুণ কর্মী। তাঁরা দলের ইয়ুথ ওয়ার্কার্স লিগের গ্রীষ্মকালীন এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সময় ব্রেইভিকের হামলার শিকার হন।
স্মরণানুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সারা দেশের গির্জাগুলোতে প্রার্থনা, সংগীতানুষ্ঠান ও অন্যান্য কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে অসলোর প্রধান ক্যাথেড্রালে দিবসের মূল শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এ পর্যন্ত সময়ে নরওয়ে যত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ব্রেইভিকের জোড়া হামলা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। বিবিসি ও এএফপি।
No comments