প্রণবই হতেন সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী?
ভারতে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির রাজনৈতিক জীবনের শুরু ১৯৬৯ সালে, জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে ইন্দিরা গান্ধীর আমলে। এর পর থেকে কংগ্রেস বিভিন্ন মেয়াদে ক্ষমতায় এলে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কখনো ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কখনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বর্তমান ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রণব।
শুধু মন্ত্রণালয় চালানো নয়, কংগ্রেস বা দেশের যখনই কোনো রাজনৈতিক সংকট এসেছে, তা সমাধানের দায়িত্ব পড়েছে প্রণবের ওপর। সেই দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করে কংগ্রেস নেতৃত্বের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে ওঠেন প্রণব।
১৯৬৯ সালে ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন প্রণব। পার্লামেন্টে একদিন ব্যাংক জাতীয়করণের ওপর বক্তৃতা করেন তিনি। সেই সময় কংগ্রেস প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দলের তরুণ প্রণবের বক্তৃতায় মুগ্ধ হন। ১৯৭৩ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মন্ত্রিসভার সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। দায়িত্ব পালনে আস্থার স্বাক্ষর রাখেন প্রণব। এর প্রতিদান হিসেবে ১৯৮২ সালে ৪৭ বছর বয়সী প্রণবকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন ইন্দিরা গান্ধী। এই দায়িত্ব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সবচেয়ে কম বয়সী অর্থমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি।
প্রণবের ওপর ইন্দিরা গান্ধীর আস্থার বিষয়টি জানা যায় প্রণবের কথায়। এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রণব বলেন, ‘তিনিই (ইন্দিরা) আমাকে গড়ে তুলেছেন। তিনি আমাকে এই পর্যায়ে আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। ওই সময়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পর্যন্ত সভাপতিত্ব করেছি। অনেক জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছিলেন।’
সব সময় নিজের প্রতি অর্পিত দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ছিলেন প্রণব। ক্ষমতার প্রতি কোনো মোহ দেখাননি। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর ছেলে রাজীব গান্ধী প্রণবকে প্রশ্ন করেন, কাকে প্রধানমন্ত্রী করা যায়। প্রতিউত্তরে প্রণবের জবাব ছিল, ‘জ্যেষ্ঠ যেকোনো মন্ত্রীকেই’। তবে রাজীব গান্ধীর মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি ইন্দিরার পছন্দের নেতা প্রণবের। মনোমালিন্য হওয়ায় ১৯৮৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে যান তিনি। ১৯৯১ সালে কংগ্রেস সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসীমা রাও প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি প্রণবকে পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান নিয়োগ দিলে সেখানেও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক জীবন পুনরুজ্জীবিত হয়।
শুধু মন্ত্রী হিসেবেই নয়, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় সমাধানে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন প্রণব। এর মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী লোকপাল বিল ও তেলেঙ্গানা রাজ্যের স্বাধীনতার দাবির প্রসঙ্গ উল্লেখ করা যায়। এ ছাড়া পার্লামেন্টে যখনই বিরোধীরা অচলাবস্থার সৃষ্টি করছে, তা স্বাভাবিক করার দায়িত্ব পড়েছে প্রণবের ওপর। তাই বলা হচ্ছে, এমন একজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি নয়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেলে দেশের লাভ হতো অনেক বেশি। তিনিই হতে পারতেন ভারতের সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী। এনডিটিভি।
১৯৬৯ সালে ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন প্রণব। পার্লামেন্টে একদিন ব্যাংক জাতীয়করণের ওপর বক্তৃতা করেন তিনি। সেই সময় কংগ্রেস প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দলের তরুণ প্রণবের বক্তৃতায় মুগ্ধ হন। ১৯৭৩ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মন্ত্রিসভার সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। দায়িত্ব পালনে আস্থার স্বাক্ষর রাখেন প্রণব। এর প্রতিদান হিসেবে ১৯৮২ সালে ৪৭ বছর বয়সী প্রণবকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন ইন্দিরা গান্ধী। এই দায়িত্ব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সবচেয়ে কম বয়সী অর্থমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি।
প্রণবের ওপর ইন্দিরা গান্ধীর আস্থার বিষয়টি জানা যায় প্রণবের কথায়। এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রণব বলেন, ‘তিনিই (ইন্দিরা) আমাকে গড়ে তুলেছেন। তিনি আমাকে এই পর্যায়ে আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। ওই সময়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পর্যন্ত সভাপতিত্ব করেছি। অনেক জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছিলেন।’
সব সময় নিজের প্রতি অর্পিত দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ছিলেন প্রণব। ক্ষমতার প্রতি কোনো মোহ দেখাননি। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর ছেলে রাজীব গান্ধী প্রণবকে প্রশ্ন করেন, কাকে প্রধানমন্ত্রী করা যায়। প্রতিউত্তরে প্রণবের জবাব ছিল, ‘জ্যেষ্ঠ যেকোনো মন্ত্রীকেই’। তবে রাজীব গান্ধীর মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি ইন্দিরার পছন্দের নেতা প্রণবের। মনোমালিন্য হওয়ায় ১৯৮৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে যান তিনি। ১৯৯১ সালে কংগ্রেস সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসীমা রাও প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি প্রণবকে পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান নিয়োগ দিলে সেখানেও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক জীবন পুনরুজ্জীবিত হয়।
শুধু মন্ত্রী হিসেবেই নয়, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় সমাধানে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন প্রণব। এর মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী লোকপাল বিল ও তেলেঙ্গানা রাজ্যের স্বাধীনতার দাবির প্রসঙ্গ উল্লেখ করা যায়। এ ছাড়া পার্লামেন্টে যখনই বিরোধীরা অচলাবস্থার সৃষ্টি করছে, তা স্বাভাবিক করার দায়িত্ব পড়েছে প্রণবের ওপর। তাই বলা হচ্ছে, এমন একজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি নয়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেলে দেশের লাভ হতো অনেক বেশি। তিনিই হতে পারতেন ভারতের সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী। এনডিটিভি।
No comments