সিরিয়ার আন্দোলনে উপদলীয় প্রভাব by রবার্ট ফিস্ক
সপ্তাহকাল আগের কথা। বৈরুতের অভিজাত অফিসপাড়ার একটি ভবনে সিরীয় এক তরুণ প্রবেশ করল। বেশ উদ্বিগ্ন ছিল সে। নিজের নাম-পরিচয় কিছু না প্রকাশ করেই জানাল, সে একজন সিরীয় যুবকের সঙ্গে দেখা করতে চায়। আগন্তুককে ওপরের তলায় নিয়ে যাওয়া হলো।
কোনো রকম ভণিতা ছাড়া সে নিজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানাল, 'আমাকে আপনার কাছে পাঠিয়েছেন শিবাব।' তাতে বোঝা যায়, সে সিরীয় সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে কাজ করছে। তারপর সে বলল, 'আমরা আপনার সহযোগিতা চাই।'
তার বক্তব্য ছিল আতঙ্ক সৃষ্টি করার মতো। এটা স্পষ্ট হচ্ছিল যেকোনো মুহূর্তে দামেস্ক নগরী আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু যোদ্ধারা নিয়ন্ত্রণহীন। যোদ্ধাদের মধ্যে এমনও অনেকে আছে যারা বিভিন্ন মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে থাকে। দামেস্কের অফিসে আসা সেই আগন্তুকই জানাল, 'আমাদের কিছু মানুষ মাদকাসক্ত হতে হতে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। তারা কাউকে না কাউকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বের করে নিয়ে যেতে পারে। তারা কখন-কী করে বসে, তারও কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছি না আমরা। তারা কেউ যদি মধ্য দামেস্কের মধ্যবিত্তদের এলাকা মালিকিতে যেতে চায়, তাহলে তাদের কাউকে আমরা বাধা দিতে পারি না। ওখানে যাদের বাড়ি তারা সেখানে যেতে চাইলে আমরা বাধা দেব কিভাবে? আমরা সালাফিস্টদের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমাদের সঙ্গে যাঁরা আছেন, তাঁরা নিঃসন্দেহে উত্তম সিরীয়। কিন্তু অবস্থা খুব ভালো নয়। ধরা যাক, আমরা দামেস্ক দখল করলাম। কিন্তু আমরা কি দামেস্ক শাসন করতে পারব? সিরিয়ার মতো বড় একটি দেশ শাসন করা তো দূরের কথা!'
এটা হচ্ছে প্রকৃত গৃহযুদ্ধের উদাহরণ। সেখানে ভালো মানুষের মধ্যেও অনেক খারাপ আছে, আবার খারাপ প্রকৃতির মানুষের মধ্যেও কেউ কেউ আছেন ভালো মানুষ। কিন্তু উপদলীয় কোন্দল সিরিয়ার আন্দোলনকে বারবার আঘাত করছে। সেগুলো সেই আন্দোলনকে বাধাগ্রস্তও করছে। গত সপ্তাহের শেষদিকে সিরিয়ার একজন আমাকে বলেছেন, দামেস্কের চারদিকের বেশ কিছু গ্রামে আক্রমণ করা হয়। সেখানে অন্তত ২০০ জনকে বেয়োনেট চার্জ করা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনক হচ্ছে, সেখানে মহিলাদের ধর্ষণও করা হয়েছে। দামেস্কের অধিবাসীরা সবই জেনেছে।
দামেস্কের বিশেষ ব্যক্তিরা সেখানকার মানুষকে পরামর্শ দিয়েছেন, উপদ্রুত এলাকায় প্রতিবেশী সংঘ গঠন করুন, যারা ওই এলাকায় নবাগতদের চিহ্নিত করতে পারে, খ্রিস্টান, সুন্নি ও শিয়াসহ যেকোনো সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে পারে।
এর মাত্র পাঁচ দিন পরই পরামর্শদাতাদের একজন ফোন পেলেন। ফোনে বলা হলো, 'জনাব, আপনি কি আপনার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভেবেছেন? যদি ভেবে থাকেন, তাহলে দ্রুত আপনি পরিবারের সদস্যদের দামেস্কের বাইরে কোথাও নিয়ে যান। আরেকটি কথা, আপনি আপনার মাকে আমার সেলফোন নম্বরটি প্রদান করুন, যাতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আমাদের সহযোগিতা চাইতে পারেন।'
গত সপ্তাহে ৫০ হাজার সিরীয় লেবাননে পালিয়ে গেছে। তারা চিন্তা করেছে, সেখানে গেলে হয়তো যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পাবে। ওই ব্যক্তির মা এই ৫০ হাজারজনের সঙ্গে ছিলেন না।
এ ঘটনাই প্রমাণ করে সিরিয়া এখন কতটা অস্থিতিপূর্ণ সময় পাড়ি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ তাঁকে নিয়ে চলে গেছে উপকূলীয় শহর লাত্তাকিয়ায়। বাশার কি আবারও রাজধানীতে ফিরে এলেন? বিমান তো দেখা গেল! দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, সেই বিমানটিতে তিনি ছিলেন না। তবে ছিল তাঁর শ্যালক আসাফ শওকতের মৃতদেহ। তাঁর নিজ শহরে তাঁকে দাফন করা হবে, এই উদ্দেশ্যেই তাঁকে আনা হয়েছে। আসাফ শওকতের মৃত্যুসংবাদ শোনার পর লেবাননের সুন্নি মুসলমানরা উল্লাস প্রকাশ করেছে। ২০০৫ সালে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন এই আসাফ। আর সে জন্য তাঁকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনদের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়ে থাকে, দুই মাস আগেও এই আসাফ ও তাঁর সহযোগী আরো দুজনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। বাকি দুজনের একজন- জেনারেল দাউদ রাজা ও অন্যজন জেনারেল হাসান তুর্কমানি। খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাঁদের হত্যাচেষ্টা ফাঁস হয়ে গিয়েছিল সেদিন। তারা বেঁচে যায়। এমন বিষের কাহিনী সেখানে অনেক আছে। আবার বাশারের কাকা রিফাত তো সেখানে সশস্ত্র অভ্যুত্থান ঘটানোরও চেষ্টা করেছিলেন।
গত মাসে বাশার আসাদকে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে বলা হয়েছিল, আপনি সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ধারণ করা অস্ত্র সংবরণ করুন। আপনাকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে বহাল রাখবে। পশ্চিমাদের অনেক বড় স্বার্থও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তারা চাইছে তেলের পাইপলাইন প্রতিষ্ঠা করা। কাতার, জর্দান, সিরিয়া ও সৌদি আরব হয়ে যাবে সেই পাইপলাইন। কিন্তু আসাদের বক্তব্য ও চিন্তা ভিন্ন রকম। তিনি নিজের এই অদূরদর্শিতা সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারছেন না।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার দুই নিকটাত্মীয় যথাক্রমে মামা মুহামেদ মাখলুফ ও আপন চাচাতো ভাই রামি ফ্রান্স সরকারের কাছে আগেই রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে রেখেছেন। যাতে বিপদে পড়লেই সেখানে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগটা থাকে। মাখলুফকে সিরিয়ার উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির অন্যতম নায়ক হিসেবে গণ্য করা হয়। অন্যদিকে সেখানে ১৭ হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্যও অনেকাংশে সে দায়ী বলে মনে করা হয়। সেখানকার এই দুরবস্থায় সশস্ত্র যোদ্ধা তৈরি হওয়া, তাদের হাতে অস্ত্র যাওয়া- সব ব্যাপারেই তথ্য পাওয়া যায়।
গত সপ্তাহে দামেস্কে যে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে তার জন্য সেখানকার লিওয়া ইসলাম নামের একটি সংগঠনকে দায়ী করা হয়েছে। সালাফিস্ট নামের জঙ্গি সংগঠনের হাতে এগুলো তুলে দেওয়া হয়। একজন কর্মী আমাকে বলেছে, তারা অস্ত্র, মদ পায়। শুধু তা-ই নয়, তারা যা চাইবে, তাই ভোগ করতে পারবে। এমন সুযোগও তাদের দেওয়া হবে। তারা তাদের শেষ ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
লেখক : মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশ্লেষক
দি ইনডিপেনডেন্ট থেকে ভাষান্তর মোস্তফা হোসেইন
তার বক্তব্য ছিল আতঙ্ক সৃষ্টি করার মতো। এটা স্পষ্ট হচ্ছিল যেকোনো মুহূর্তে দামেস্ক নগরী আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু যোদ্ধারা নিয়ন্ত্রণহীন। যোদ্ধাদের মধ্যে এমনও অনেকে আছে যারা বিভিন্ন মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে থাকে। দামেস্কের অফিসে আসা সেই আগন্তুকই জানাল, 'আমাদের কিছু মানুষ মাদকাসক্ত হতে হতে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। তারা কাউকে না কাউকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বের করে নিয়ে যেতে পারে। তারা কখন-কী করে বসে, তারও কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছি না আমরা। তারা কেউ যদি মধ্য দামেস্কের মধ্যবিত্তদের এলাকা মালিকিতে যেতে চায়, তাহলে তাদের কাউকে আমরা বাধা দিতে পারি না। ওখানে যাদের বাড়ি তারা সেখানে যেতে চাইলে আমরা বাধা দেব কিভাবে? আমরা সালাফিস্টদের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমাদের সঙ্গে যাঁরা আছেন, তাঁরা নিঃসন্দেহে উত্তম সিরীয়। কিন্তু অবস্থা খুব ভালো নয়। ধরা যাক, আমরা দামেস্ক দখল করলাম। কিন্তু আমরা কি দামেস্ক শাসন করতে পারব? সিরিয়ার মতো বড় একটি দেশ শাসন করা তো দূরের কথা!'
এটা হচ্ছে প্রকৃত গৃহযুদ্ধের উদাহরণ। সেখানে ভালো মানুষের মধ্যেও অনেক খারাপ আছে, আবার খারাপ প্রকৃতির মানুষের মধ্যেও কেউ কেউ আছেন ভালো মানুষ। কিন্তু উপদলীয় কোন্দল সিরিয়ার আন্দোলনকে বারবার আঘাত করছে। সেগুলো সেই আন্দোলনকে বাধাগ্রস্তও করছে। গত সপ্তাহের শেষদিকে সিরিয়ার একজন আমাকে বলেছেন, দামেস্কের চারদিকের বেশ কিছু গ্রামে আক্রমণ করা হয়। সেখানে অন্তত ২০০ জনকে বেয়োনেট চার্জ করা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনক হচ্ছে, সেখানে মহিলাদের ধর্ষণও করা হয়েছে। দামেস্কের অধিবাসীরা সবই জেনেছে।
দামেস্কের বিশেষ ব্যক্তিরা সেখানকার মানুষকে পরামর্শ দিয়েছেন, উপদ্রুত এলাকায় প্রতিবেশী সংঘ গঠন করুন, যারা ওই এলাকায় নবাগতদের চিহ্নিত করতে পারে, খ্রিস্টান, সুন্নি ও শিয়াসহ যেকোনো সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে পারে।
এর মাত্র পাঁচ দিন পরই পরামর্শদাতাদের একজন ফোন পেলেন। ফোনে বলা হলো, 'জনাব, আপনি কি আপনার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভেবেছেন? যদি ভেবে থাকেন, তাহলে দ্রুত আপনি পরিবারের সদস্যদের দামেস্কের বাইরে কোথাও নিয়ে যান। আরেকটি কথা, আপনি আপনার মাকে আমার সেলফোন নম্বরটি প্রদান করুন, যাতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আমাদের সহযোগিতা চাইতে পারেন।'
গত সপ্তাহে ৫০ হাজার সিরীয় লেবাননে পালিয়ে গেছে। তারা চিন্তা করেছে, সেখানে গেলে হয়তো যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পাবে। ওই ব্যক্তির মা এই ৫০ হাজারজনের সঙ্গে ছিলেন না।
এ ঘটনাই প্রমাণ করে সিরিয়া এখন কতটা অস্থিতিপূর্ণ সময় পাড়ি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ তাঁকে নিয়ে চলে গেছে উপকূলীয় শহর লাত্তাকিয়ায়। বাশার কি আবারও রাজধানীতে ফিরে এলেন? বিমান তো দেখা গেল! দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, সেই বিমানটিতে তিনি ছিলেন না। তবে ছিল তাঁর শ্যালক আসাফ শওকতের মৃতদেহ। তাঁর নিজ শহরে তাঁকে দাফন করা হবে, এই উদ্দেশ্যেই তাঁকে আনা হয়েছে। আসাফ শওকতের মৃত্যুসংবাদ শোনার পর লেবাননের সুন্নি মুসলমানরা উল্লাস প্রকাশ করেছে। ২০০৫ সালে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন এই আসাফ। আর সে জন্য তাঁকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনদের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়ে থাকে, দুই মাস আগেও এই আসাফ ও তাঁর সহযোগী আরো দুজনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। বাকি দুজনের একজন- জেনারেল দাউদ রাজা ও অন্যজন জেনারেল হাসান তুর্কমানি। খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাঁদের হত্যাচেষ্টা ফাঁস হয়ে গিয়েছিল সেদিন। তারা বেঁচে যায়। এমন বিষের কাহিনী সেখানে অনেক আছে। আবার বাশারের কাকা রিফাত তো সেখানে সশস্ত্র অভ্যুত্থান ঘটানোরও চেষ্টা করেছিলেন।
গত মাসে বাশার আসাদকে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে বলা হয়েছিল, আপনি সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ধারণ করা অস্ত্র সংবরণ করুন। আপনাকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে বহাল রাখবে। পশ্চিমাদের অনেক বড় স্বার্থও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তারা চাইছে তেলের পাইপলাইন প্রতিষ্ঠা করা। কাতার, জর্দান, সিরিয়া ও সৌদি আরব হয়ে যাবে সেই পাইপলাইন। কিন্তু আসাদের বক্তব্য ও চিন্তা ভিন্ন রকম। তিনি নিজের এই অদূরদর্শিতা সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারছেন না।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার দুই নিকটাত্মীয় যথাক্রমে মামা মুহামেদ মাখলুফ ও আপন চাচাতো ভাই রামি ফ্রান্স সরকারের কাছে আগেই রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে রেখেছেন। যাতে বিপদে পড়লেই সেখানে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগটা থাকে। মাখলুফকে সিরিয়ার উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির অন্যতম নায়ক হিসেবে গণ্য করা হয়। অন্যদিকে সেখানে ১৭ হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্যও অনেকাংশে সে দায়ী বলে মনে করা হয়। সেখানকার এই দুরবস্থায় সশস্ত্র যোদ্ধা তৈরি হওয়া, তাদের হাতে অস্ত্র যাওয়া- সব ব্যাপারেই তথ্য পাওয়া যায়।
গত সপ্তাহে দামেস্কে যে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে তার জন্য সেখানকার লিওয়া ইসলাম নামের একটি সংগঠনকে দায়ী করা হয়েছে। সালাফিস্ট নামের জঙ্গি সংগঠনের হাতে এগুলো তুলে দেওয়া হয়। একজন কর্মী আমাকে বলেছে, তারা অস্ত্র, মদ পায়। শুধু তা-ই নয়, তারা যা চাইবে, তাই ভোগ করতে পারবে। এমন সুযোগও তাদের দেওয়া হবে। তারা তাদের শেষ ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
লেখক : মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশ্লেষক
দি ইনডিপেনডেন্ট থেকে ভাষান্তর মোস্তফা হোসেইন
No comments