নরওয়েতে হামলার বর্ষপূর্তি-'খুনি পরাজিত হয়েছে জয় হয়েছে মানুষের'
নরওয়েতে বোমা হামলা ও গুলি চালিয়ে ৭৭ জনকে হত্যার প্রথম বার্ষিকী পালিত হয়েছে গতকাল রবিবার। দিনটিতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্মরণসভা আর একটি কনসার্ট আয়োজনের মধ্যে দিয়ে হতাহত ব্যক্তিদের কথা স্মরণ করে নরওয়েবাসী।
রাজধানী অসলো ও পার্শ্ববর্তী উতোয়া দ্বীপে অ্যান্দারস বেরিং ব্রেইভিকের চালানো ওই হামলায় ২৪২ জন আহত হয়। দিনটিকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী ইয়ানেস স্তলতেনবার্গ বলেছেন, ব্রেইভিকের হামলা নরওয়ের সমাজে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি।
এ হামলার দায়ে গত আড়াই মাস ধরে ব্রেইভিকের বিচার চলছে। ব্রেইভিক অবশ্য শুরুতেই হামলা চালানোর বিষয়টি স্বীকার করে। তার দাবি ছিল, নরওয়েতে মুসলমানদের প্রভাব বাড়ছে এবং এ প্রভাব বন্ধে সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী লেবার পার্টি কিছুই করছে না। এ পরিস্থিতির প্রতিবাদ জানাতেই অসলোর মন্ত্রিপাড়া এবং উতোয়ার সরকারি দলের গ্রীষ্মকালীন যুব ক্যাম্পে হামলা চালায় সে।
প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল আয়োজিত স্মরণসভায় স্তলতেনবার্গ বলেন, 'ওই খুনি পরাজিত হয়েছে। জয় হয়েছে মানুষের। নরওয়েতে পরিবর্তন আনতেই বোমা আর বুলেটের ওই হামলা চালানো হয়। মূল্যবোধের ওপর দাঁড়িয়ে ওই হামলার জবাব দিয়েছে নরওয়ের জনগণ। খুব কষ্টে গেছে এই একটা বছর। একটা দিনও পার হয়নি, যখন তাদের কথা মনে পড়েনি। আজ আসুন, আমরা নিহত ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান জানাই।' পরে উতোয়া দ্বীপে ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। গত বছর ২২ জুলাই ওই সময়ই ব্রেইভিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সন্ধ্যায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে মূলত নরওয়ের সংগীত শিল্পীরা একটি কনসার্টের আয়োজন করে।
অসলোর যে ভবনগুলো ব্রেইভিকের হামলার শিকার হয়, তার সব এখনো সারানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভবনের অনেকাংশ এখনো প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা। হামলার সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাসভবনে অবস্থানের কারণে বেঁচে যান। এই হামলায় নিহত হয় আট জন। একই সময় উতোয়ায় তরুণদের ক্যাম্প চলছিল। সেখানে হামলায় মারা যায় ৬৯ জন। নরওয়েতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একেই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হিসেবে অভিহিত করা হয়। এই হামলার পর দেশের সহনশীলতা এবং গণতন্ত্রের প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ব্রেইভিকের বিচার চলছে। সে মানসিকভাবে সুস্থ কি না তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী মাসে বিচারক জানাবেন। তার ওপর নির্ভর করে ঠিক করা হবে, ব্রেইভিককে দীর্ঘ মেয়াদি কারাদণ্ড দেওয়া হবে নাকি মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হবে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
এ হামলার দায়ে গত আড়াই মাস ধরে ব্রেইভিকের বিচার চলছে। ব্রেইভিক অবশ্য শুরুতেই হামলা চালানোর বিষয়টি স্বীকার করে। তার দাবি ছিল, নরওয়েতে মুসলমানদের প্রভাব বাড়ছে এবং এ প্রভাব বন্ধে সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী লেবার পার্টি কিছুই করছে না। এ পরিস্থিতির প্রতিবাদ জানাতেই অসলোর মন্ত্রিপাড়া এবং উতোয়ার সরকারি দলের গ্রীষ্মকালীন যুব ক্যাম্পে হামলা চালায় সে।
প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল আয়োজিত স্মরণসভায় স্তলতেনবার্গ বলেন, 'ওই খুনি পরাজিত হয়েছে। জয় হয়েছে মানুষের। নরওয়েতে পরিবর্তন আনতেই বোমা আর বুলেটের ওই হামলা চালানো হয়। মূল্যবোধের ওপর দাঁড়িয়ে ওই হামলার জবাব দিয়েছে নরওয়ের জনগণ। খুব কষ্টে গেছে এই একটা বছর। একটা দিনও পার হয়নি, যখন তাদের কথা মনে পড়েনি। আজ আসুন, আমরা নিহত ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান জানাই।' পরে উতোয়া দ্বীপে ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। গত বছর ২২ জুলাই ওই সময়ই ব্রেইভিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সন্ধ্যায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে মূলত নরওয়ের সংগীত শিল্পীরা একটি কনসার্টের আয়োজন করে।
অসলোর যে ভবনগুলো ব্রেইভিকের হামলার শিকার হয়, তার সব এখনো সারানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভবনের অনেকাংশ এখনো প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা। হামলার সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাসভবনে অবস্থানের কারণে বেঁচে যান। এই হামলায় নিহত হয় আট জন। একই সময় উতোয়ায় তরুণদের ক্যাম্প চলছিল। সেখানে হামলায় মারা যায় ৬৯ জন। নরওয়েতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একেই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হিসেবে অভিহিত করা হয়। এই হামলার পর দেশের সহনশীলতা এবং গণতন্ত্রের প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ব্রেইভিকের বিচার চলছে। সে মানসিকভাবে সুস্থ কি না তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী মাসে বিচারক জানাবেন। তার ওপর নির্ভর করে ঠিক করা হবে, ব্রেইভিককে দীর্ঘ মেয়াদি কারাদণ্ড দেওয়া হবে নাকি মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হবে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments