বেগম হওয়ার যন্ত্রণা
কারিনা কাপুর আর সাইফ আলি খানের বিয়ের থিম কী হতে পারে বলুন তো? রকম-সকম যা দেখা যাচ্ছে, তাতে একটাই কথা বলতে হয়- 'কিঁউকি সাস ভি কভি বহু থি'! তা, জনপ্রিয় এই নায়িকার বিয়ে নিয়ে আচমকা এহেন মন্তব্য কেন? আসলে মিয়া-বিবির এই বিয়ে ব্যাপারটা শুনতে যতই ব্যক্তিগত লাগুক না কেন, আদতে সেটার মধ্যে যার মতামত সবচেয়ে রাশভারি, তিনি হলেন আয়েষা বেগম!
নামটা অচেনা ঠেকছে কি? স্বাভাবিক, তামাম দুনিয়া তো এই আয়েষা বেগমকে চেনে অন্য নামে; পতৌদি বাড়িতে যিনি আয়েষা, দীনদুনিয়ায় তিনিই শর্মিলা ঠাকুর! এখন নবাব পরিবারে বিয়ে হয়ে যা যা উত্তরাধিকার দুহাতে জড়ো করেছেন বড়ি বেগম, ছোটি তার কোনো ভাগই পাবেন না- তাও কি হয়?
হয় যখন না, তখন কী কী এসে জড়ো হচ্ছে বেবো বিবির ভাগে? ইশশ... বিয়ের মতো একটা আনন্দের দিনে কিনা তাঁকে গায়ে তুলতে হচ্ছে দশক পুরনো সেই বিয়ের জোড়, যা পড়ে মনসুর আলি খান পটৌডির মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন আয়েষা? বিয়ের পোশাক হিসেবে করিনা ঠিক কোনটিকে বেছে নেবেন, কোন ডিজাইনারেরই বা ভাগ্য হবে সেই মহান দিনের পোশাক তৈরির, এইসব নিয়ে এতদিন যা জল্পনা-কল্পনা চলছিল, তার সমাপ্তি হল এবারেই। শোনা যাচ্ছে বিয়েতে করিনা পরবেন শাশুড়ি শর্মিলার বিয়ের পোশাকটিই। পটৌডি পরিবারের এই রীতির কথা জানিয়ে করিনার মত জানতে চাইলে এক কথায় রাজি হয়ে যান তিনি। তা, শাশুড়ির বিয়ের পোশাকে বেবোর এই পিয়া মিলন কো যানা ব্যাপারটা কীরকম ফ্রয়েড-ফ্রয়েড না? তার উপর, নবাবের না হয় এটা দ্বিতীয় বিয়ে; বেবোর তো মাত্র প্রথমবার! তার কি কোনও শখ-আহ্লাদ থাকতে নেই? আসলে, নবাববাড়ির জুজু দেখিয়েই বেবোকে পথে আনছেন বড়ি বেগম, এরকমটাই রটে গিয়েছে বি-টাউনের আনাচে-কানাচে। সবাই জানে, পটৌডি বাড়ি আদতে বাঘের বাসা; সেখানে ঘোঘের চালচলন মেনে নেবেন না কেউই। তাই কারিনাও বিশেষ মাথা ঘামাচ্ছেন না এসব ছোটখাট ব্যাপার নিয়ে। বুদ্ধিমতী বেবো ভালোই জানেন যে, তর্কে বহুদূর; তাই এখন থেকেই শাশুড়িকে ঘাঁটাতে চাইছেন না তিনি!
তবে বড়ি সামান্য হলেও ছাড় দিয়েছেন ছোটিকে! এতদিনের পুরনো জোড়, তার উপর সেটা আবার দুহাত ফেরতা, তার উপর আবার মাপের ব্যাপার-স্যাপারও তো আছে! তাই সেই পোশাকটিকে সারিয়ে-সুরিয়ে বেবোর মাপমাফিক করে তুলছেন বিখ্যাত ডিজাইনার রীতু কুমার! এই দুহাত ফেরতা ব্যাপারটায় কিঞ্চিৎ খটকা লাগছে কি? আরে বাবা, এই মেহেন্দি-কমলা রঙের পোশাকটাই তো অল্টার করে আয়েষা বেগমের পর গায়ে চড়িয়েছিলেন সাইফের প্রথম বউ অমৃতা সিং! রীতিনীতি যাই হোক না কেন, সেটাই কি জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যায় কপূর বংশের মেয়ের গায়ে? তাই সেই পোশাকে বাড়তি কিছু নকশাও জুড়তে চলেছেন রীতু কুমার। তবে কিনা, বিয়ে মানেই তো টানা দিনকয়েকের মোচ্ছব! তাই আসল দিনটায় শাশুড়ির জোড় পরলেও অন্যান্য দিনের জন্য বেবোর বিয়ের সাজ তৈরি করে দিচ্ছেন আরেক ভারতজোড়া বিখ্যাত ডিজাইনার মণীশ মলহোত্র।
শর্মিলা ঠাকুরের বিবাহের পোশাকটি নাকি আসলে তাঁর শাশুড়ি বেগম সাজিদা সুলতানের জন্য তৈরি করা হয়েছিল ১৯৩৯ সালে। শর্মিলার ব্যবহৃত সেই বংশানুক্রমিক রাজপরিবারের পোশাকে বেবোকে দেখার জন্য তাই আপাতত উত্তেজিত সকল বেবো অনুরাগী। তবে নিন্দুকেরা অবিশ্যি সাতকাহন করতে ছাড়ছেন না! সব্বাই বলছেন, এই বিয়ের জোড় দিয়ে যা শুরু হল, তার জল গড়াবে অনেক দূর। ওই বিয়ের জোড় গায়ে চড়িয়েই বলিউডকে টাটা বাই-বাই করেছিলেন যথাক্রমে শর্মিলা এবং অমৃতা! এবার বোধহয় বেবোর পালা। তাই যদি হয়, তাহলে তো মধুর ভান্ডারকরের 'হিরোইন'-ই হতে চলেছে বেবোর শেষ ছবি। আর রটনাটা বোধহয় একেবারে মিথ্যেও নয়। ইতিমধ্যেই তো বিয়ের জন্য বেবো ফিরিয়ে দিয়েছেন একতা কপূর-কর্ণ জোহরের যৌথ ছবির অফার। তাহলে আর কী! সবকিছু ভালোয় ভালোয় সেরে কতদিনে আবার রুপোলি পর্দায় ফিরবেন পটৌডি বাড়ির এই নয়া বেগম, সেটাই এখন দেখার! 'হলকট জওয়ানি' দিয়ে নবাবকে বশ করলেও শাশুড়ি যে ভুলবেন না, তা তো হাতেনাতে প্রমাণ হয়েই গেল!
হয় যখন না, তখন কী কী এসে জড়ো হচ্ছে বেবো বিবির ভাগে? ইশশ... বিয়ের মতো একটা আনন্দের দিনে কিনা তাঁকে গায়ে তুলতে হচ্ছে দশক পুরনো সেই বিয়ের জোড়, যা পড়ে মনসুর আলি খান পটৌডির মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন আয়েষা? বিয়ের পোশাক হিসেবে করিনা ঠিক কোনটিকে বেছে নেবেন, কোন ডিজাইনারেরই বা ভাগ্য হবে সেই মহান দিনের পোশাক তৈরির, এইসব নিয়ে এতদিন যা জল্পনা-কল্পনা চলছিল, তার সমাপ্তি হল এবারেই। শোনা যাচ্ছে বিয়েতে করিনা পরবেন শাশুড়ি শর্মিলার বিয়ের পোশাকটিই। পটৌডি পরিবারের এই রীতির কথা জানিয়ে করিনার মত জানতে চাইলে এক কথায় রাজি হয়ে যান তিনি। তা, শাশুড়ির বিয়ের পোশাকে বেবোর এই পিয়া মিলন কো যানা ব্যাপারটা কীরকম ফ্রয়েড-ফ্রয়েড না? তার উপর, নবাবের না হয় এটা দ্বিতীয় বিয়ে; বেবোর তো মাত্র প্রথমবার! তার কি কোনও শখ-আহ্লাদ থাকতে নেই? আসলে, নবাববাড়ির জুজু দেখিয়েই বেবোকে পথে আনছেন বড়ি বেগম, এরকমটাই রটে গিয়েছে বি-টাউনের আনাচে-কানাচে। সবাই জানে, পটৌডি বাড়ি আদতে বাঘের বাসা; সেখানে ঘোঘের চালচলন মেনে নেবেন না কেউই। তাই কারিনাও বিশেষ মাথা ঘামাচ্ছেন না এসব ছোটখাট ব্যাপার নিয়ে। বুদ্ধিমতী বেবো ভালোই জানেন যে, তর্কে বহুদূর; তাই এখন থেকেই শাশুড়িকে ঘাঁটাতে চাইছেন না তিনি!
তবে বড়ি সামান্য হলেও ছাড় দিয়েছেন ছোটিকে! এতদিনের পুরনো জোড়, তার উপর সেটা আবার দুহাত ফেরতা, তার উপর আবার মাপের ব্যাপার-স্যাপারও তো আছে! তাই সেই পোশাকটিকে সারিয়ে-সুরিয়ে বেবোর মাপমাফিক করে তুলছেন বিখ্যাত ডিজাইনার রীতু কুমার! এই দুহাত ফেরতা ব্যাপারটায় কিঞ্চিৎ খটকা লাগছে কি? আরে বাবা, এই মেহেন্দি-কমলা রঙের পোশাকটাই তো অল্টার করে আয়েষা বেগমের পর গায়ে চড়িয়েছিলেন সাইফের প্রথম বউ অমৃতা সিং! রীতিনীতি যাই হোক না কেন, সেটাই কি জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যায় কপূর বংশের মেয়ের গায়ে? তাই সেই পোশাকে বাড়তি কিছু নকশাও জুড়তে চলেছেন রীতু কুমার। তবে কিনা, বিয়ে মানেই তো টানা দিনকয়েকের মোচ্ছব! তাই আসল দিনটায় শাশুড়ির জোড় পরলেও অন্যান্য দিনের জন্য বেবোর বিয়ের সাজ তৈরি করে দিচ্ছেন আরেক ভারতজোড়া বিখ্যাত ডিজাইনার মণীশ মলহোত্র।
শর্মিলা ঠাকুরের বিবাহের পোশাকটি নাকি আসলে তাঁর শাশুড়ি বেগম সাজিদা সুলতানের জন্য তৈরি করা হয়েছিল ১৯৩৯ সালে। শর্মিলার ব্যবহৃত সেই বংশানুক্রমিক রাজপরিবারের পোশাকে বেবোকে দেখার জন্য তাই আপাতত উত্তেজিত সকল বেবো অনুরাগী। তবে নিন্দুকেরা অবিশ্যি সাতকাহন করতে ছাড়ছেন না! সব্বাই বলছেন, এই বিয়ের জোড় দিয়ে যা শুরু হল, তার জল গড়াবে অনেক দূর। ওই বিয়ের জোড় গায়ে চড়িয়েই বলিউডকে টাটা বাই-বাই করেছিলেন যথাক্রমে শর্মিলা এবং অমৃতা! এবার বোধহয় বেবোর পালা। তাই যদি হয়, তাহলে তো মধুর ভান্ডারকরের 'হিরোইন'-ই হতে চলেছে বেবোর শেষ ছবি। আর রটনাটা বোধহয় একেবারে মিথ্যেও নয়। ইতিমধ্যেই তো বিয়ের জন্য বেবো ফিরিয়ে দিয়েছেন একতা কপূর-কর্ণ জোহরের যৌথ ছবির অফার। তাহলে আর কী! সবকিছু ভালোয় ভালোয় সেরে কতদিনে আবার রুপোলি পর্দায় ফিরবেন পটৌডি বাড়ির এই নয়া বেগম, সেটাই এখন দেখার! 'হলকট জওয়ানি' দিয়ে নবাবকে বশ করলেও শাশুড়ি যে ভুলবেন না, তা তো হাতেনাতে প্রমাণ হয়েই গেল!
No comments