বিএনপি নেতারা বললেন-গণ-আন্দোলনে সরকারকে টেনেহিঁচড়ে নামানো হবে
কঠোর আন্দোলন ছাড়া এ সরকারের কাছ থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করা যাবে না। তাই গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা।
সর্বস্তরের পেশাজীবী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাঁরা বলেন, সরকার আবারও অপশক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু দেশের সাধারণ জনগণ এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। তাই আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা। গতকাল বুধবার সকাল ও দুপুরের দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পৃথক তিনটি মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা।
সরকারের গণবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদে ও সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জিয়া বিগ্রেড আয়োজিত মানববন্ধনে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেন, সরকার তৃতীয় শক্তির কথা বলছে, এই তৃতীয় শক্তি কারা জনসম্মুখে তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে হবে। বিএনপির সঙ্গে তৃতীয় কোনো শক্তির যোগাযোগ নেই- এমন মন্তব্য করেন তিনি বলেন, অতীতে তথাকথিত তৃতীয় শক্তির সহযোগিতায় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তাই সরকারই জানে তৃতীয় শক্তি কারা। এই অপশক্তির মাধ্যমে সরকার আবারও ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু দেশের জাগ্রত জনতা কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না। তিনি আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জাহিদ ইকবাল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহসানুল হক মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মো. হানিফ প্রমুখ।
আইন ও বিচার বিভাগে নৈরাজ্য চলছে : ব্যারিস্টার রফিকুল
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তরের যুবদলের সাধারণ সম্পাদকসহ যুবদলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে উত্তরা থানা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন মানববন্ধনের আয়োজন করে। কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, বর্তমানে আইন ও বিচার বিভাগে নৈরাজ্য চলছে। সরকারের কাছের লোক হওয়ায় নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করিয়ে নিতে ১৭০ জনকে ডিঙিয়ে একজনকে আইন সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁকেই আবার অতিরিক্ত ও যুগ্ম সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কঠোর আন্দোলন ছাড়া এ সরকারের কাছ থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করা যাবে না। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন উত্তরা থানার বিএনপি নেতা মো. আতিকুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মামুন হাসান প্রমুখ।
ইনুর ভাষা অরাজনৈতিক ও অস্ত্রের : নোমান
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, 'বাজেট আলোচনায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বিএনপি চেয়ারপারসনকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার যে বক্তব্য দিয়েছেন- তা অরাজনৈতিক ও সংসদীয় রাজনীতির পরিপন্থী। তাঁর এ বক্তব্য রাজনৈতিক নয়, অস্ত্রের ভাষা। তাঁকে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। না করলে দেশের জনগণ তাঁর বিচার করবে। আমরা জনগণের পক্ষে থাকব।' জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আর 'স্বৈরাচারী' বলব না, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অশোভন মন্তব্য করার প্রতিবাদে স্বাধীনতা ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি এ কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন শেষে ইনুর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির সহতথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য হেলেন জেরিন খান, খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
সরকারের গণবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদে ও সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জিয়া বিগ্রেড আয়োজিত মানববন্ধনে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেন, সরকার তৃতীয় শক্তির কথা বলছে, এই তৃতীয় শক্তি কারা জনসম্মুখে তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে হবে। বিএনপির সঙ্গে তৃতীয় কোনো শক্তির যোগাযোগ নেই- এমন মন্তব্য করেন তিনি বলেন, অতীতে তথাকথিত তৃতীয় শক্তির সহযোগিতায় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তাই সরকারই জানে তৃতীয় শক্তি কারা। এই অপশক্তির মাধ্যমে সরকার আবারও ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু দেশের জাগ্রত জনতা কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না। তিনি আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জাহিদ ইকবাল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহসানুল হক মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মো. হানিফ প্রমুখ।
আইন ও বিচার বিভাগে নৈরাজ্য চলছে : ব্যারিস্টার রফিকুল
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তরের যুবদলের সাধারণ সম্পাদকসহ যুবদলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে উত্তরা থানা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন মানববন্ধনের আয়োজন করে। কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, বর্তমানে আইন ও বিচার বিভাগে নৈরাজ্য চলছে। সরকারের কাছের লোক হওয়ায় নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করিয়ে নিতে ১৭০ জনকে ডিঙিয়ে একজনকে আইন সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁকেই আবার অতিরিক্ত ও যুগ্ম সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কঠোর আন্দোলন ছাড়া এ সরকারের কাছ থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করা যাবে না। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন উত্তরা থানার বিএনপি নেতা মো. আতিকুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মামুন হাসান প্রমুখ।
ইনুর ভাষা অরাজনৈতিক ও অস্ত্রের : নোমান
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, 'বাজেট আলোচনায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বিএনপি চেয়ারপারসনকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার যে বক্তব্য দিয়েছেন- তা অরাজনৈতিক ও সংসদীয় রাজনীতির পরিপন্থী। তাঁর এ বক্তব্য রাজনৈতিক নয়, অস্ত্রের ভাষা। তাঁকে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। না করলে দেশের জনগণ তাঁর বিচার করবে। আমরা জনগণের পক্ষে থাকব।' জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আর 'স্বৈরাচারী' বলব না, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অশোভন মন্তব্য করার প্রতিবাদে স্বাধীনতা ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি এ কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন শেষে ইনুর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির সহতথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য হেলেন জেরিন খান, খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
No comments