পুষ্টির অভাব দূর করতে টেকসই পদক্ষেপ নিন-অপুষ্টির ক্ষতি
এক গবেষণা ফলাফলের তথ্য অনুযায়ী, অপুষ্টির কারণে প্রতিবছর দেশের ক্ষতির পরিমাণ সাত হাজার কোটি টাকা। আর এই ক্ষতি এমনই এক বিষয়, যা পূরণের উদ্যোগ না নিলে অব্যাহতভাবে তা বাড়তেই থাকবে। বিষয়টিকে আবার শুধু অর্থনৈতিকভাবে দেখারও সুযোগ নেই।
এর সামাজিক প্রভাবটিও ব্যাপক, জাতি হিসেবেও যা আমাদের দুর্বল করার জন্য যথেষ্ট। পুষ্টি বিষয়টিকে তাই হেলাফেলা করার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ সরকার ও ইউএসএআইডি যে গবেষণা চালিয়েছে, সেখানে দেখানো হয়েছে, অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যু, অসুস্থতা, এসব কারণে স্কুলে অনুপস্থিতি, খারাপ ফল ও স্কুল থেকে ঝরে পড়ার কারণে দেশের উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হচ্ছে। পুষ্টির অভাব দূর করতে পারলে স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা যেমন বাড়বে, একই সঙ্গে কমবে স্কুল থেকে ঝরে পড়ার সংখ্যা। দীর্ঘ সময় স্কুল চালিয়ে যাওয়া ও ভালো ফলের কারণে এই শিশুরা সামনে দেশের উৎপাদনশীল খাতে যুক্ত হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে। এখন তা না হওয়ায় গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী ক্ষতির পরিমাণ সাত হাজার কোটি টাকা।
এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ করা সম্ভব, এ জন্য বছর বছর কত অর্থের প্রয়োজন, তারও একটি হিসাব করেছে তারা। তাদের হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর সাত হাজার কোটি টাকার ক্ষতি পূরণে খরচ করতে হবে ৯০০ থেকে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। এভাবে ১০ বছর বিনিয়োগ করলে এই ক্ষতি পূরণ হয়ে ২০২১ সালে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাত্রা ৭০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ২০২১ সালে যে ফলাফল পাওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সে তুলনায় বছর বছর বিনিয়োগের পরিমাণ খুবই সামান্য। বর্তমানে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা খাতে যে বরাদ্দ, তার মাত্র ১১ শতাংশ।
পুষ্টির যে অভাব বর্তমানে দেশে রয়েছে, তার অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির একটি হিসাব পাওয়া গেল। এখন দরকার পুষ্টির অভাব পূরণে একটি কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করা। আশা করব, সরকার এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
বাংলাদেশ সরকার ও ইউএসএআইডি যে গবেষণা চালিয়েছে, সেখানে দেখানো হয়েছে, অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যু, অসুস্থতা, এসব কারণে স্কুলে অনুপস্থিতি, খারাপ ফল ও স্কুল থেকে ঝরে পড়ার কারণে দেশের উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হচ্ছে। পুষ্টির অভাব দূর করতে পারলে স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা যেমন বাড়বে, একই সঙ্গে কমবে স্কুল থেকে ঝরে পড়ার সংখ্যা। দীর্ঘ সময় স্কুল চালিয়ে যাওয়া ও ভালো ফলের কারণে এই শিশুরা সামনে দেশের উৎপাদনশীল খাতে যুক্ত হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে। এখন তা না হওয়ায় গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী ক্ষতির পরিমাণ সাত হাজার কোটি টাকা।
এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ করা সম্ভব, এ জন্য বছর বছর কত অর্থের প্রয়োজন, তারও একটি হিসাব করেছে তারা। তাদের হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর সাত হাজার কোটি টাকার ক্ষতি পূরণে খরচ করতে হবে ৯০০ থেকে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। এভাবে ১০ বছর বিনিয়োগ করলে এই ক্ষতি পূরণ হয়ে ২০২১ সালে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাত্রা ৭০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ২০২১ সালে যে ফলাফল পাওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সে তুলনায় বছর বছর বিনিয়োগের পরিমাণ খুবই সামান্য। বর্তমানে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা খাতে যে বরাদ্দ, তার মাত্র ১১ শতাংশ।
পুষ্টির যে অভাব বর্তমানে দেশে রয়েছে, তার অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির একটি হিসাব পাওয়া গেল। এখন দরকার পুষ্টির অভাব পূরণে একটি কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করা। আশা করব, সরকার এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
No comments