অরণ্যে রোদন-প্রধানমন্ত্রী কি হরতাল চান? by আনিসুল হক

এই কথাটা সাধারণভাবেই বলা যায়, কোনো দেশের কোনো সরকারপ্রধানই কি চান যে তাঁর দেশে হরতাল হোক। নির্দিষ্টভাবেও বলা যায়, শেখ হাসিনা কি চেয়েছিলেন যে আজ দেশে হরতাল হোক। কিংবা যখন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তিনি কি চাইতেন যে আওয়ামী লীগ দেশে হরতাল ডাকুক?


এই প্রশ্নের উত্তর, ‘না।’ শেখ হাসিনা চান না যে দেশে হরতাল হোক। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ঘোষণাও দিয়েছিলেন যে বিরোধী দলে গেলেও তিনি আর কোনো দিন হরতাল ডাকবেন না। অবশ্য তিনি তাঁর কথা রাখতে পারেননি। আর খালেদা জিয়ার হরতালবিরোধী কথামালা একত্র করলে একটা মহাকাব্য হয়ে যাবে। অবশ্য খালেদা জিয়া তখনই হরতালবিরোধী, যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী।
এখন দুটো প্রশ্ন চলে আসবে। এক. দেশের মানুষ কি হরতাল চায়? দুই. হরতাল কি দেশের জন্য উপকারী?
এই দুটো প্রশ্নের উত্তর বিএনপি আর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকদের লেটারহেড প্যাডের পাতায় প্রস্তুত করে রাখা আছে। বিরোধী দলের বিবৃতিতে লেখা আছে, দেশের মানুষ শুধু হরতাল চায় তা-ই নয়, তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল সমর্থন করেছে, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে হরতালে অংশ নিয়েছে। আর সরকারি দলের রেডিমেড বিবৃতিটা হলো, দেশের মানুষ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে। উভয় দলের কথা পরস্পরবিরোধী হতে পারে, কিন্তু একটা বিষয়ে জনগণের আমোদিত বোধ করা উচিত, উভয় দলই জনগণকে হরতাল পালন করার জন্য বা প্রত্যাখ্যান করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে। এই যে আমরা আজ সন্ধ্যায় পরস্পরবিরোধী দুটো দলের কাছ থেকে অভিনন্দন পাব, এটা কি আমাদের জন্য পরম পাওয়া নয়?
আর হরতাল কি দেশের মানুষের জন্য উপকারী? এই প্রশ্নের উত্তরও তৈরি করা আছে। সরকার বলবে, হরতাল দেশের স্বার্থবিরোধী, অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর, আর জোর করে হরতাল করা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের শামিল। বিরোধীরা বলবে, এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা মানেই দেশের উন্নতি, মানুষের উন্নতি, অর্থনীতির উন্নতি নিশ্চিত করার পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়া। দেশের মানুষ অতিষ্ঠ, তাকে খানিক তিষ্ঠোতে তো দিতে হবে। তাই এই হরতাল। হরতালই এখন দেশপ্রেমিকের একমাত্র কর্তব্য।
কিন্তু একবার ঠান্ডা মাথায় কি আমাদের ভাবতে হবে না যে আমরা দেশটাকে আদৌ মানুষের বসবাস-উপযোগী রাখতে চাই কি না? পৃথিবীর সব দেশ এগিয়ে যাবে, আমরা কি চিরটাকাল গরিব দেশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত দেশ, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশ, জলবায়ুর কবলে পড়া দেশ, আর্সেনিকদূষিত দেশ হিসেবে পেছনে পড়ে রইব? ১৯৪৭ সালে সিঙ্গাপুর, চীন আমাদের চেয়ে অর্থনৈতিকভাবে অনেক পেছনে পড়া দেশ হিসেবে গণ্য হতো। মালয়েশিয়া সেই দিনও ছিল আমাদের চেয়ে অনুন্নত দেশ। এখন তারা কোথায় আর আমরা কোথায়?
পৃথিবীর সব দেশে সমস্যা আছে। আছে জাতিগত দ্বন্দ্ব। আছে আঞ্চলিক সমস্যা। পাকিস্তানে রোজ বোমা ফাটছে। গতকালের খবরেও দেখলাম, করাচিতে বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। ভারতের একাধিক রাজ্যে রয়েছে আঞ্চলিক অসন্তোষ, আছে উগ্রবাদীদের সশস্ত্র তৎপরতা। শ্রীলঙ্কায় তো সেদিনও চলছিল যুদ্ধাবস্থা। বাংলাদেশে এ ধরনের সমস্যা থেকে আমরা মুক্ত। এত সুন্দর একটা দেশ আমরা পেয়েছি, এত শান্তিবাদী একটা জনগোষ্ঠী, এত সৃজনশীল উৎপাদনশীল পরিশ্রমী একটা জনগোষ্ঠী, এই দেশের উন্নতি ঠেকিয়ে রাখা খুব মুশকিল। অন্যদিকে আমাদের বাস্তবতাও কঠিন। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যদি সত্যি সত্যি দেশের এক-তৃতীয়াংশ ডুবে যায়, কী হবে? ১৬ কোটি মানুষের ভাগ্যে কী আছে আসলে? কী হবে আমাদের সন্তানদের? আমাদের উত্তর-প্রজন্ম কি এই দেশে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে? নাকি সবাইকে পালাতে হবে এই দেশ ছেড়ে?
নিজের সন্তানের ভবিষ্যতের চিন্তায় বাবা-মা ঘুমুতে পারেন না। তাহলে ১৬ কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ যাঁদের হাতে, তাঁরা কী করে ঘুমান? এখন প্রতিটা মুহূর্ত খুব মূল্যবান। অপচয় করার মতো একটা মুহূর্তও আমাদের হাতে নেই।
এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই হরতালকে বিবেচনা করা দরকার। সত্য বটে, আমাদের দেশের জন্মই হয়েছে হরতালের মধ্য দিয়ে। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধী ১৯১৯ সালে হরতাল ডেকেছিলেন। গান্ধী ছিলেন অহিংসবাদী, দাবি আদায়ের জন্য হিংসার আশ্রয় নেওয়ার ঘোর বিরোধী, কিন্তু ওই হরতালে প্রায় ৩০০ জন ভারতীয়র মৃত্যু আর এক হাজার ১০০ জনের আহত হওয়া তাঁকে বিচলিত করে। তিনি হরতাল প্রত্যাহার করে নেন। পাকিস্তান আমলে ১৯৪৮ সাল থেকেই রাষ্ট্রভাষার দাবিতে এ দেশে মিছিল-ধর্মঘট আর হরতাল শুরু হয়ে যায়। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান আর ১৯৭১ সালের মার্চজুড়েই ছিল হরতাল। দেশ স্বাধীন হলো। কিন্তু গণতন্ত্র তো এখানে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেল না। সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে হরতাল করতে হয়েছে বারবার। ১৯৯০-এর পরেও সেই জের আর কাটল না। আমরা হরতাল করেই চলেছি।
আবার হরতালের মধ্যেও টিকে থাকার একটা আশ্চর্য শক্তিও এ দেশের মানুষ অর্জন করেছে। ১৯৯৬ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে বিএনপি যখন একা একা একটা নির্বাচন করে একাই ক্ষমতায় বসল, তখন এ দেশে একবার অনেক দিনের জন্য বিরতিহীন হরতাল ডাকা হয়েছিল। সেই হরতালের সময়েও দেশের অর্থনীতি পুরো ভেঙে পড়েনি। এর কারণ, এই দেশের অর্থনীতি প্রধানত কৃষিনির্ভর। হরতালে কৃষির ওপরে প্রভাব পড়ে কম। আজকালকার হরতালে অফিস-আদালত খোলা থাকে, বাইরের দরজা বন্ধ রেখে বেশির ভাগ কলকারখানাও আসলে চালুই থাকে। আর ওই সময় ডেইলি স্টার একটা খবর প্রকাশ করেছিল, বাজারে জিনিসপত্রের সরবরাহ অব্যাহত রাখে আসলে আমাদের নদীপথ। হরতালে যা বন্ধ থাকে তা হলো দূরপাল্লার বাস-ট্রাক আর বিপণিবিতান। যদিও কাঁচা বাজার, খাবারের দোকান চালু থাকে।
কিন্তু কয়েক ধরনের ক্ষতি হরতালে হয়ই। এক. মানুষের অনেক ভোগান্তি হয়। কত জরুরি কাজ থাকে মানুষের। যিনি বিদেশে যাবেন, হরতালের মধ্যেও সেই শ্রমজীবী মানুষটাকে কুমিল্লা কিংবা দিনাজপুর থেকে ঢাকায় বিমানবন্দরে আসতেই হবে। কোনো রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে, গরিব মানুষ, অ্যাম্বুলেন্স পাবে কোথায়? ট্রেন চলছে, যাত্রীরা ট্রেনে উঠেছেন, দুই স্টেশন যাওয়ার পরে শোনা গেল আর যাবে না ট্রেন, ওই যাত্রীদের কষ্টটা কত ভয়াবহই না হয়! অন্যদিকে দোকানপাট খোলা থাকে না বলে কেনাকাটা বন্ধ থাকে। অর্থনীতিতে তার প্রভাব বিরূপ হতে বাধ্য। আর পণ্য চলাচল ভীষণভাবে ব্যাহত হয়। চট্টগ্রাম বন্দর অভিমুখে রপ্তানিমুখী পণ্য যেমন যেতে পারে না, তেমনি দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিভিন্ন পণ্যের জরুরি চালানও থমকে যায়। যার দোকান এক দিন বন্ধ থাকে, যে ট্যাক্সিচালক তাঁর গাড়ি বের করতে পারছেন না বলে উপোস থাকেন, তাঁর কষ্টটা লাঘব হবে কিসের বিনিময়ে?
আর আছে রাস্তায় মারামারি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা। মিছিল বের হবেই, পুলিশ বাধা দেবেই, অনেক ক্ষেত্রে সরকারি দলের ক্যাডাররাও বের হয়ে পড়ে সজ্জিত হয়ে। জানমালের ক্ষতি হয়। আগুনে ভস্মীভূত হয় দেশের সম্পদ। এসব দেখলে বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হয়।
আমরা যে ভীষণভাবে চাই দেশটা উন্নত হোক। আমরা যে ভীষণভাবে চাই, উন্নতির দৌড়ে আমরা এগিয়ে যাই। পৃথিবীর প্রতিটি দেশ দৌড়াচ্ছে উন্নয়নের লক্ষ্যবিন্দুর দিকে, আমরাও দৌড়াচ্ছি। কে চায় না, বাংলাদেশ সেই দৌড়ে জয়লাভ করুক। বাংলাদেশ যখন ক্রিকেট খেলায় অন্য দেশকে হারিয়ে দেয়, তখন কে আছেন এই দেশে যিনি খুশি হন না! এই তো এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আফগানিস্তানকে হারিয়ে সোনা জিতল। শেষ দৌড়টা যখন নাঈম আর সাব্বির দৌড়াচ্ছিলেন, তখন কি কোনো বাঙালি তাঁদের পায়ে বাধার বেড়ি পরাতে চাইবেন? চাইবেন যে তাঁরা হোঁচট খেয়ে পড়ে যান? তাহলে উন্নয়নের দৌড়ে এই দেশটাকে আমরা কেন বাধা দেব? হরতাল হলো সেই বাধা, যা আমার দেশকে দৌড়াতে দেয় না।
এটা আমরা সবাই বুঝি। আমাদের নেতারাও বোঝেন। তবু কেন তাঁরা হরতাল ডাকেন? একটা কারণ হলো, হরতাল ডাকতে পয়সা লাগে না। শ্রম দিতে হয় না। আগে তো তবু প্রেস বিজ্ঞপ্তি লিখে সংবাদপত্র অফিসে পৌঁছে দিতে হতো, (যখন সেন্সরশিপের কারণে দেশি সংবাদমাধ্যম হরতালের খবর প্রকাশ করতে পারত না, তখন বিবিসির কানে খবরটা পৌঁছাতে হতো।) এখন তারও দরকার পড়ে না। সাংবাদিকেরাই ক্যামেরা নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে হাজির থাকেন। হরতাল ডাকলেই হলো। নিশ্চিত তা পালিত হবে।
কিন্তু আরেকটা প্রশ্ন এ প্রসঙ্গে এসে যায়। এ লেখার শিরোনামই তাই। প্রধানমন্ত্রীও কি চান হরতাল আসুক? সরকার চায়? সরকারি দল চায়? নিশ্চয়ই না।
সে ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো, হরতাল যাতে না আসে, তার জন্য সরকারকেই অধিকতর দায়িত্বশীল হতে হবে। জনগণ ভোট দিয়ে যাঁদের সরকারে বসিয়েছে, তাঁদের কর্তব্য হলো জনজীবন স্বাভাবিক রাখা, মানুষের জীবনে চলাচলে ব্যবসা-বাণিজ্যে নিরাপত্তা বিধান করা। সরকার অবশ্য সেই কাজটা করতে চায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ নামিয়ে, অনেক সময় সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের মাঠে নামিয়ে। কিন্তু ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১, ১৯৭১ থেকে ২০১০—আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, শক্তি প্রয়োগ করে বিরোধী আন্দোলন দমন করা যায় না।
হরতাল যাতে না হয়, সেই পরিবেশ সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। সেটা করতে হবে কৌশল দিয়ে। আর সেই কৌশলটা হলো বিরোধী দলকে একটা পরিসর দেওয়া, শ্বাস নিতে দেওয়া।
আমরা জানি, আওয়ামী লীগের এ কথা বিশ্বাস করার কারণ আছে যে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের নীরব সায় ছিল, অন্তত তিনি ব্যাপারটা অবগত ছিলেন। আমরা জানি, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার জনসভায় বোমা হামলার পেছনে বিএনপি সরকারের লোকজন জড়িত ছিল বলে ভাবার যথেষ্ট উপাদান আওয়ামী লীগের কাছে আছে। এরপর এই দুই দল একসঙ্গে মিলেমিশে দেশ চালাবে—এ কথা বলাটা প্রকৃতপক্ষেই অরণ্যে রোদন।
কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে, তিনি হরতাল চান কি না? তিনি দেশের মানুষের দুঃখ-কষ্ট-ভোগান্তি চান কি না? যদি এর উত্তর ‘না’ হয়, তাহলে অবশ্যই তাঁকে কৌশলী হতে হবে। বিরোধী দলের হাতে হরতালের উপলক্ষ তুলে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বিরোধী দলের বিরোধিতার অস্ত্রগুলোকে নিরপেক্ষ বা নিষ্ক্রিয় করে দিতে হবে। নেলসন ম্যান্ডেলা যদি তাঁর নির্যাতনকারীর সঙ্গে বসতে পারেন, ইসরায়েলি আর ফিলিস্তিনিরা যদি আলোচনায় বসতে পারে, তাহলে বিএনপি আওয়ামী লীগকেও একটা ন্যূনতম সহাবস্থানের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। হরতালে বাধা দিলে আরও কর্মসূচি আসবে। সব আন্দোলন প্রথম দিকে ছোটই থাকে, আস্তে আস্তে তা বড় হয়। হরতাল করে সরকার পরিবর্তন করা যায় না বটে, কিন্তু দেশকে এগিয়ে নিতে হলে হরতালবিহীন বাংলাদেশ দরকার হবে। আর সরকারি দল যদি মনে করে, বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যাবে, সেটাও ভুল হবে। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গত মেয়াদে বিএনপি তাই ভেবেছিল, তাই করতে চেয়েছিল, তার পরিণতি হয়েছে; এবার আওয়ামী লীগ তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। মাত্র দুই বছরে বারাক ওবামা মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভরাডুবির শিকার হয়েছেন।
কাজেই আসুন, আমরা সবাই বলি, আমরা হরতাল চাই না। বিরোধী দল, আপনারা হরতাল ডাকবেন না। সরকারি দল, আপনারা এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, যাতে বিরোধী দল হরতাল ডাকার অজুহাত খুঁজে না পায়। বিরোধী দল যাতে হরতাল না ডাকে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও সরকারকেই নিতে হবে।
তা যদি না হয়, তাহলে বলতেই হবে, এই দেশের ভবিষ্যৎ আমরা নিজেরা গভীর অন্ধকারের দিকে নিজ হাতে ছুড়ে মারছি।
আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

No comments

Powered by Blogger.