চরাচর-ছাদে বাগান by সাজ্জাদ কবির
আমাদের জীবনে গাছের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে বলার দরকার নেই। গাছ ছাড়া আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীটা টিকে থাকতে পারবে না। বৃক্ষ রক্ষা করা থেকে বৃক্ষ রোপণ করার নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সারা বিশ্বে। আমাদের দেশেও মাঝেমধ্যে এ ধরনের কিছু আনুষ্ঠানিকতার দেখা মেলে।
এসব পদক্ষেপ মানুষকে কিছুটা হলেও সচেতন করেছে। আর সে জন্য অনেকেই নিজ উদ্যোগে গাছ লাগাচ্ছেন। সরকারি আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা যাবে না। মানুষ নিজের প্রয়োজনটা যখন নিজেই বুঝতে পারবে, তখনই সেটা সফলতার মুখ দেখবে।
মানুষের এ উদ্যোগ শহরে সফল করা দুরূহ। যেখানে একটা পা রাখার জায়গার জন্য যুদ্ধ করতে হয়, সেখানে গাছ লাগানো বা বাগান করা তো অসম্ভব বিষয়। বলা হয়, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে গেলে জমির ২০ থেকে ২৫ ভাগ বনাঞ্চল থাকতে হবে। একজন বিশেষজ্ঞের (দ্বিজেন শর্মা) মতে, মাথাপিছু সাত থেকে আটটি গাছ থাকা প্রয়োজন।
ছাদে বৃক্ষরোপণের জন্য যে জিনিসটা প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে সেটা হলো, এর বিশেষ কিছু নিয়ম। যেমন- ছাদে বেশি তাপ হয়, সে জন্য সে রকম জাতের গাছই নির্ণয় করতে হবে চাষের জন্য। একেক গাছের জন্য একেক রকম মাটি দরকার। সেই অনুযায়ী মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। গাছের আকার অনুযায়ী টব বা বেড তৈরি করা দরকার। আর বিশেষ দিকটা হলো, এতে নিয়মিত পানি সেচ দিতে হবে। মাটির পুরুত্ব বেশি হলে গাছ ভালো হবে। কমপক্ষে দুই ফুট মাটি যেন থাকে বেডে। বড় গাছের শিকড় বড় হয়, আর সে জন্যই মাটির স্তর যত পুরু হবে তত ভালো।
টবের পরে যেটা আসে সেটা হলো মাটি। গাছ লাগানোর জন্য মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। সাধারণত দো-আঁশ মাটি গাছের জন্য ভালো। তবে সে মাটিতে সার মিশিয়ে প্রস্তুত করে নিতে পারলে গাছ ভালো হবে। এর আগে মাটিকে শোধন করতে পারলে খুব ভালো হয়। এক লিটার পানির সঙ্গে ১০০ মিলিলিটার ফরমালডিহাইড মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর মাটিতে এই মিশ্রণ ছিটিয়ে পুরু পলিথিন দিয়ে তিন-চার দিন মাটিকে ঢেকে রাখতে হবে। এরপর পলিথিন সরিয়ে আরো তিন-চার দিন খোলা রোদে রেখে দিতে হবে।
গাছ লাগানোর সময় মনে রাখতে হবে, বড় গাছগুলো যেন অবশ্যই পশ্চিম ও উত্তর দিকে থাকে। পূর্ব এবং দক্ষিণ দিকে দিতে হবে ছোট গাছগুলো। এতে করে সব গাছেই ঠিকমতো আলো-বাতাস লাগবে। গাছ নির্বাচনের সময় মনে রাখতে হবে, হাইব্রিড গাছ লাগালে দ্রুত ফল পাওয়া যায়। যেহেতু জায়গার স্বল্পতা, সেহেতু হাইব্রিড গাছই ছাদ বাগানের জন্য উপযুক্ত। এ ধরনের গাছের জন্য জায়গা কম লাগে এবং দ্রুত ফল দেয়।
ফলের গাছ লাগানোর সময় নার্সারি থেকে ছোট প্রজাতির দ্রুত ফল প্রদানকারী গাছ আনা উচিত। নার্সারিতে এখন আমের নানা রকমের কলম পাওয়া যায়। বীজের চারা না লাগিয়ে কলমের চারা লাগালে দ্রুত ফল পাওয়া যায়। নানা প্রজাতির কুল বা পেয়ারা গাছও চাষ করা যায়। বর্ষার আগে গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। ঠিকমতো সবজি বা ফল চাষ করতে পারলে এ থেকে রোজগার করাও সম্ভব।
অনেকে ছাদে শখে বাগান করেন। বেশির ভাগ শখের বাগান হয় ফুলের। বেলি, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, গোলাপ- এ রকম প্রায় সব ধরনের ফুলই চাষ করা যায়। তবে কেউ যদি শখের সঙ্গে সঙ্গে ফল বা সবজির বাগান করতে চায়, তবে তাও সম্ভব। নিচে সবজির চাষ করে ওপরে টব ঝুলিয়ে ফুল বা অর্কিড লাগাতে পারেন।
সাজ্জাদ কবির
মানুষের এ উদ্যোগ শহরে সফল করা দুরূহ। যেখানে একটা পা রাখার জায়গার জন্য যুদ্ধ করতে হয়, সেখানে গাছ লাগানো বা বাগান করা তো অসম্ভব বিষয়। বলা হয়, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে গেলে জমির ২০ থেকে ২৫ ভাগ বনাঞ্চল থাকতে হবে। একজন বিশেষজ্ঞের (দ্বিজেন শর্মা) মতে, মাথাপিছু সাত থেকে আটটি গাছ থাকা প্রয়োজন।
ছাদে বৃক্ষরোপণের জন্য যে জিনিসটা প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে সেটা হলো, এর বিশেষ কিছু নিয়ম। যেমন- ছাদে বেশি তাপ হয়, সে জন্য সে রকম জাতের গাছই নির্ণয় করতে হবে চাষের জন্য। একেক গাছের জন্য একেক রকম মাটি দরকার। সেই অনুযায়ী মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। গাছের আকার অনুযায়ী টব বা বেড তৈরি করা দরকার। আর বিশেষ দিকটা হলো, এতে নিয়মিত পানি সেচ দিতে হবে। মাটির পুরুত্ব বেশি হলে গাছ ভালো হবে। কমপক্ষে দুই ফুট মাটি যেন থাকে বেডে। বড় গাছের শিকড় বড় হয়, আর সে জন্যই মাটির স্তর যত পুরু হবে তত ভালো।
টবের পরে যেটা আসে সেটা হলো মাটি। গাছ লাগানোর জন্য মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। সাধারণত দো-আঁশ মাটি গাছের জন্য ভালো। তবে সে মাটিতে সার মিশিয়ে প্রস্তুত করে নিতে পারলে গাছ ভালো হবে। এর আগে মাটিকে শোধন করতে পারলে খুব ভালো হয়। এক লিটার পানির সঙ্গে ১০০ মিলিলিটার ফরমালডিহাইড মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর মাটিতে এই মিশ্রণ ছিটিয়ে পুরু পলিথিন দিয়ে তিন-চার দিন মাটিকে ঢেকে রাখতে হবে। এরপর পলিথিন সরিয়ে আরো তিন-চার দিন খোলা রোদে রেখে দিতে হবে।
গাছ লাগানোর সময় মনে রাখতে হবে, বড় গাছগুলো যেন অবশ্যই পশ্চিম ও উত্তর দিকে থাকে। পূর্ব এবং দক্ষিণ দিকে দিতে হবে ছোট গাছগুলো। এতে করে সব গাছেই ঠিকমতো আলো-বাতাস লাগবে। গাছ নির্বাচনের সময় মনে রাখতে হবে, হাইব্রিড গাছ লাগালে দ্রুত ফল পাওয়া যায়। যেহেতু জায়গার স্বল্পতা, সেহেতু হাইব্রিড গাছই ছাদ বাগানের জন্য উপযুক্ত। এ ধরনের গাছের জন্য জায়গা কম লাগে এবং দ্রুত ফল দেয়।
ফলের গাছ লাগানোর সময় নার্সারি থেকে ছোট প্রজাতির দ্রুত ফল প্রদানকারী গাছ আনা উচিত। নার্সারিতে এখন আমের নানা রকমের কলম পাওয়া যায়। বীজের চারা না লাগিয়ে কলমের চারা লাগালে দ্রুত ফল পাওয়া যায়। নানা প্রজাতির কুল বা পেয়ারা গাছও চাষ করা যায়। বর্ষার আগে গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। ঠিকমতো সবজি বা ফল চাষ করতে পারলে এ থেকে রোজগার করাও সম্ভব।
অনেকে ছাদে শখে বাগান করেন। বেশির ভাগ শখের বাগান হয় ফুলের। বেলি, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, গোলাপ- এ রকম প্রায় সব ধরনের ফুলই চাষ করা যায়। তবে কেউ যদি শখের সঙ্গে সঙ্গে ফল বা সবজির বাগান করতে চায়, তবে তাও সম্ভব। নিচে সবজির চাষ করে ওপরে টব ঝুলিয়ে ফুল বা অর্কিড লাগাতে পারেন।
সাজ্জাদ কবির
No comments