আজ চালু হতে পারে-সিটি করপোরেশনের গাফিলতিতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর অচল
জলাবদ্ধতার কারণে দুই দিনেও চালু করা যায়নি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। আর এই জলাবদ্ধতার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে দায়ী করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র রেজাউল করিম গত রাতে প্রথম আলোকে জানান, আজ বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর আবার চালু হবে।
নতুন করে ভারী বর্ষণ না হলে আজ এই বিমানবন্দরে বিমান চলাচল শুরু করা যাবে বলে কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
গত মঙ্গলবার টানা বর্ষণে রানওয়েতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ওই দিন বিকেল থেকে সব ধরনের বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এক দিনের বৃষ্টিতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি কেন পানিতে তলিয়ে গেছে, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিমানবন্দরের পাশের খালটি দীর্ঘদিন পরিষ্কার করা হয়নি। এ কারণে বৃষ্টির পানি নামতে পারেনি।
অবশ্য সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইয়াকুব নবী দাবি করেন, বিমানবন্দরের সীমানাপ্রাচীরের পাশে রানওয়ের নালাগুলো সরু, তাই পানি সরে যেতে পারছে না। ওই সরু নালা প্রশস্ত ও পাশের খালটি পরিষ্কার করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক স্কোয়াড্রন লিডার মো. রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরের পানিনিষ্কাশনব্যবস্থা ভালো। কিন্তু এই পানি নেমে যখন সিটি করপোরেশনের খালে পড়ে সেখানে আটকে যায়।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিভিল এভিয়েশন) ৩০ জন কর্মী দিনভর রানওয়ে-সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের খালটি পরিষ্কার করে। এই কাজে অংশ নেওয়া একজন কর্মী প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন খালটি পরিষ্কার না করায় পলিথিনসহ নানা বর্জ্যে খালটি প্রায় বন্ধ হয়ে ছিল। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে তাগাদা দেওয়ার পর গতকাল করপোরেশনের তিনজন কর্মী ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁদের মধ্যে একজন মাত্র সিভিল এভিয়েশনের কর্মীদের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।
খালটি পরিষ্কার করার পর বিকেল নাগাদ পানি অনেকাংশে নেমে যায়। গতকাল সন্ধ্যায় দেখা যায়, বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে পানি সরে গেছে। তবে রানওয়ের বাতিগুলো (বিমান ওঠানামার সংকেত দিতে ব্যবহূত হয়) শুকানোর কাজ চলছে। তবে রানওয়ের চারদিকের নালায় তখনো পানি জমে ছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, নতুন করে ভারী বর্ষণ না হলে রাতের মধ্যে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
দীর্ঘদিন খালটি সংস্কার না করার অভিযোগ মানতে নারাজ চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ১৭ বছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ১৭ বছর নগরের প্রতিটি খাল ও নালা নিয়মিত পরিষ্কার করেছি। তাই আমার আমলে বিমানবন্দরের রানওয়ে এক সেকেন্ডের জন্য পানিতে ডোবেনি। এখন কেন তলিয়ে গেছে, এর জবাব তো আমি দিতে পারব না।’
দুই বছর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন মোহাম্মদ মন্জুর আলম। এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
নগর পরিকল্পনাবিদ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শাহ মুহাম্মদ আখতারউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ছাড়া আর কখনো চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এভাবে জলাবদ্ধতা হয়নি। তাঁর মতে, সমন্বিত উদ্যোগের অভাবে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিডিএর সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। নইলে ভবিষ্যতে আবারও এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
গত মঙ্গলবার টানা বর্ষণে রানওয়েতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ওই দিন বিকেল থেকে সব ধরনের বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এক দিনের বৃষ্টিতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি কেন পানিতে তলিয়ে গেছে, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিমানবন্দরের পাশের খালটি দীর্ঘদিন পরিষ্কার করা হয়নি। এ কারণে বৃষ্টির পানি নামতে পারেনি।
অবশ্য সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইয়াকুব নবী দাবি করেন, বিমানবন্দরের সীমানাপ্রাচীরের পাশে রানওয়ের নালাগুলো সরু, তাই পানি সরে যেতে পারছে না। ওই সরু নালা প্রশস্ত ও পাশের খালটি পরিষ্কার করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক স্কোয়াড্রন লিডার মো. রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরের পানিনিষ্কাশনব্যবস্থা ভালো। কিন্তু এই পানি নেমে যখন সিটি করপোরেশনের খালে পড়ে সেখানে আটকে যায়।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিভিল এভিয়েশন) ৩০ জন কর্মী দিনভর রানওয়ে-সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের খালটি পরিষ্কার করে। এই কাজে অংশ নেওয়া একজন কর্মী প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন খালটি পরিষ্কার না করায় পলিথিনসহ নানা বর্জ্যে খালটি প্রায় বন্ধ হয়ে ছিল। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে তাগাদা দেওয়ার পর গতকাল করপোরেশনের তিনজন কর্মী ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁদের মধ্যে একজন মাত্র সিভিল এভিয়েশনের কর্মীদের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।
খালটি পরিষ্কার করার পর বিকেল নাগাদ পানি অনেকাংশে নেমে যায়। গতকাল সন্ধ্যায় দেখা যায়, বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে পানি সরে গেছে। তবে রানওয়ের বাতিগুলো (বিমান ওঠানামার সংকেত দিতে ব্যবহূত হয়) শুকানোর কাজ চলছে। তবে রানওয়ের চারদিকের নালায় তখনো পানি জমে ছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, নতুন করে ভারী বর্ষণ না হলে রাতের মধ্যে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
দীর্ঘদিন খালটি সংস্কার না করার অভিযোগ মানতে নারাজ চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ১৭ বছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ১৭ বছর নগরের প্রতিটি খাল ও নালা নিয়মিত পরিষ্কার করেছি। তাই আমার আমলে বিমানবন্দরের রানওয়ে এক সেকেন্ডের জন্য পানিতে ডোবেনি। এখন কেন তলিয়ে গেছে, এর জবাব তো আমি দিতে পারব না।’
দুই বছর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন মোহাম্মদ মন্জুর আলম। এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
নগর পরিকল্পনাবিদ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শাহ মুহাম্মদ আখতারউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ছাড়া আর কখনো চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এভাবে জলাবদ্ধতা হয়নি। তাঁর মতে, সমন্বিত উদ্যোগের অভাবে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিডিএর সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। নইলে ভবিষ্যতে আবারও এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
No comments