বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট-বৃষ্টি হলেই ডুবছে সড়ক by প্রণব বল

আরাকান সড়কের বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট অংশে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সড়কে চলাচলকারী ও দুই পাশের বাসিন্দারা। খানাখন্দে ভরা সড়কটি বৃষ্টি হলেই কোমরসমান পানিতে তলিয়ে যায়। ব্যাহত হয় যোগাযোগব্যবস্থা।
জানা যায়, খানাখন্দ ও মেরামতকাজ চলার কারণে এমনিতেই সড়কটির কোনো কোনো স্থানে শুধু এক পাশে যানবাহন চলাচল করে।


কিন্তু বৃষ্টি বেশি হওয়ায় তাও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। কারণ, ভারী বর্ষণে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত কোমরসমান পানি জমে। বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানি যোগ হলে তো পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে আরাকান সড়কে পানি জমতে শুরু করে। দুপুর গড়াতে এ পানি কোমরসমান হয়ে যায়। বহদ্দারহাট ও আবাসিক এলাকায় পানির পরিমাণ আরও বেশি। এ সময় আরাকান সড়কের আশপাশে খাজা রোড, মোহরা, মৌলভী পুকুরপাড় এলাকার দুই পাশে ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আরাকান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা। এটির মেরামতকাজ চলছে এক বছর ধরে। কিন্তু এখনো তা ঠিক হয়নি, যার কারণে দুর্ভোগ এখন চরমে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার টানা ভারী বর্ষণে পানি জমার পর সড়কটিতে যানজট লেগে যায়।
এ সময় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেট কার বিকল হয়ে আটকে থাকে রাস্তায়। অটোরিকশার চালক মো. হোসেন জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির এক পাশে কেটে রাখা হয়েছে। অন্য পাশটিও খানাখন্দে ভরা। এখন পানির ভেতর কীভাবে খানাখন্দ দেখব? ফলে গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে আছে।’
এদিকে, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে। সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হয় বাসিন্দারা। একইভাবে বহদ্দারহাটের সড়ক ছাপিয়ে পানি ঢুকেছে কাঁচাবাজার ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। এখানকার ব্যবসায়ী মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘সকাল থেকে বাজার পানিতে ডুবে আছে। নালার পানি আর বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে গেছে। গত কয়েক দিনে বাজারে দু-তিনবার পানি ঢুকেছে।’
জানা গেছে, আরাকান সড়ক ও বহদ্দারহাট মোড়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সড়ক উন্নয়নকাজ করছে, যার কারণে রাস্তাঘাটগুলো দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে।
মোহরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘আরাকান সড়কটি একে তো বেহাল হয়ে রয়েছে, তার ওপর উন্নয়নকাজ চলার কারণে কয়েকটি জায়গায় এক পাশে বন্ধ রয়েছে। তাই বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বেড়েছে।’

No comments

Powered by Blogger.