সংযম দেখাতে হবে দুই পক্ষকেই-কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা
দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। বিতর্কিত সমুদ্রসীমার কাছাকাছি ইয়ংপিয়ং নামের এক ছোট্ট দক্ষিণ কোরীয় দ্বীপে গত মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার গোলা নিক্ষেপে দুজন সামরিক ব্যক্তিসহ চারজনের মৃত্যু ঘটে এবং এক ডজনের বেশি মানুষ আহত হয়। ঘটনাটি নিন্দনীয় এবং বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষের জন্য উদ্বেগের বিষয়।
দুই কোরিয়ার সামরিক বিরোধ শেষ পর্যন্ত এ অঞ্চলকে পরমাণুযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে, যা কখনোই কাম্য নয়।
ওই সমুদ্র এলাকা ঘিরে দুই কোরিয়ার মধ্যকার বিরোধ বেশ পুরোনো। ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধ অবসানের সময় জাতিসংঘ ওই এলাকায় যে সমুদ্রসীমা টেনে দিয়েছিল, উত্তর কোরিয়া তা মেনে নেয়নি। তা সত্ত্বেও গোলা নিক্ষেপ করে মানুষ মারা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। বিরোধের মীমংসা করতে হবে আলোচনার মাধ্যমেই।
স্মরণ করা যেতে পারে, গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ডুবে গিয়ে ৪৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার অভিযোগ, যুদ্ধজাহাজটি ডুবেছে উত্তর কোরিয়ার একটি টর্পেডোর আঘাতে। উত্তর কোরিয়া তা অস্বীকার করেছিল। ওই ঘটনাও ঘটেছিল বিতর্কিত সমুদ্রসীমায়, উত্তর কোরীয় গোলাবর্ষণে যেখানে এখন ভয়াবহ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
এই উত্তেজনা প্রশমনে দুই কোরিয়ার ফাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনেরও দায়িত্ব রয়েছে। উত্তর কোরিয়াকে নিরস্ত করতে দেশটির বড় মিত্র চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান সঠিক পদক্ষেপ। কিন্তু চীনের পক্ষ থেকে তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও উত্তর কোরিয়ার নাম উচ্চারণ না করে বলেছেন, চীন সব ধরনের সামরিক উসকানির বিরোধী। সব পক্ষের উচিত সর্বোচ্চ সংযম দেখানো এবং উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত আরও উদ্যোগী ভূমিকা নেওয়া। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তেমন উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের উদ্বেগ প্রকাশ ছাড়া।
ইরাক, আফগানিস্তান, সুদানসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ, হানাহানি, রক্তপাত লেগেই রয়েছে। নিরাপত্তাহীনতা, অশান্তি ও অস্থিতিশীলতার উদ্বেগে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে পৃথিবীর মানুষ। নতুন করে আর কোনো যুদ্ধ আমরা দেখতে চাই না। সব পক্ষের সংযম প্রয়োজন। সব ধরনের বিরোধ মীমাংসা করতে হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে, আলোচনার মাধ্যমে। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্রুত উদ্যোগী ভূমিকা নেবে—এটাই প্রত্যাশিত।
ওই সমুদ্র এলাকা ঘিরে দুই কোরিয়ার মধ্যকার বিরোধ বেশ পুরোনো। ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধ অবসানের সময় জাতিসংঘ ওই এলাকায় যে সমুদ্রসীমা টেনে দিয়েছিল, উত্তর কোরিয়া তা মেনে নেয়নি। তা সত্ত্বেও গোলা নিক্ষেপ করে মানুষ মারা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। বিরোধের মীমংসা করতে হবে আলোচনার মাধ্যমেই।
স্মরণ করা যেতে পারে, গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ডুবে গিয়ে ৪৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার অভিযোগ, যুদ্ধজাহাজটি ডুবেছে উত্তর কোরিয়ার একটি টর্পেডোর আঘাতে। উত্তর কোরিয়া তা অস্বীকার করেছিল। ওই ঘটনাও ঘটেছিল বিতর্কিত সমুদ্রসীমায়, উত্তর কোরীয় গোলাবর্ষণে যেখানে এখন ভয়াবহ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
এই উত্তেজনা প্রশমনে দুই কোরিয়ার ফাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনেরও দায়িত্ব রয়েছে। উত্তর কোরিয়াকে নিরস্ত করতে দেশটির বড় মিত্র চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান সঠিক পদক্ষেপ। কিন্তু চীনের পক্ষ থেকে তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও উত্তর কোরিয়ার নাম উচ্চারণ না করে বলেছেন, চীন সব ধরনের সামরিক উসকানির বিরোধী। সব পক্ষের উচিত সর্বোচ্চ সংযম দেখানো এবং উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত আরও উদ্যোগী ভূমিকা নেওয়া। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তেমন উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের উদ্বেগ প্রকাশ ছাড়া।
ইরাক, আফগানিস্তান, সুদানসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ, হানাহানি, রক্তপাত লেগেই রয়েছে। নিরাপত্তাহীনতা, অশান্তি ও অস্থিতিশীলতার উদ্বেগে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে পৃথিবীর মানুষ। নতুন করে আর কোনো যুদ্ধ আমরা দেখতে চাই না। সব পক্ষের সংযম প্রয়োজন। সব ধরনের বিরোধ মীমাংসা করতে হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে, আলোচনার মাধ্যমে। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্রুত উদ্যোগী ভূমিকা নেবে—এটাই প্রত্যাশিত।
No comments