মুক্তিযুদ্ধ-বক্তাবলী গণহত্যা ও প্রতিরোধ দিবস by রফিউর রাব্বি
১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বরের রাত। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিমাঞ্চল ধলেশ্বরীর পাড় ধরে বক্তাবলীর ২২টি গ্রাম। বক্তাবলী ও আলীরটেক—এই দুটি ইউনিয়নের সমন্বয়ে বক্তাবলী পরগনা। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে সরে যাওয়ার নিরাপদ যাত্রাপথটিও ছিল এই বক্তাবলী। বক্তাবলীর পূর্বে ও দক্ষিণে ধলেশ্বরী আর উত্তরে বুড়িগঙ্গা নদী।
দক্ষিণ আমেরিকার আটলান্টিকের পারে লম্বা সরু দেশ চিলির মতো এই বক্তাবলী। দুই নদীর মাঝখানে বক্তাবলীর ২২টি গ্রাম যেন দুপুরের ঘাসের ওপর বিছিয়ে রাখা মায়ের ভেজা কাপড়।
মার্চের ২৭ তারিখেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নারায়ণগঞ্জ শহরে ঢুকে যায়। যদিও সেখানেও প্রতিরোধ হয়েছে এবং কয়েকজন শহীদ হয়েছেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টিতেই নারায়ণগঞ্জ শহরে পাকিস্তানি হানাদারদের হত্যা-নির্যাতন অব্যাহত থেকেছে। পাকিস্তানি বাহিনী শীতলক্ষ্যার পূর্ব পাড়ে হত্যা-নির্যাতন চালায়, কিন্তু বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরীতে নৌ-টহল দিলেও নভেম্বরের শেষাবধি তারা বক্তাবলীতে প্রবেশ করেনি; ফলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের লক্ষাধিক মানুষ মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই এই বক্তাবলীতে আশ্রয় নেয়।
নারায়ণগঞ্জ শহরে অবস্থিত কয়েকজন রাজাকারের সহযোগিতায় ২৯ নভেম্বর রাত প্রায় সাড়ে তিনটায় পাকিস্তানি বাহিনী তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে গোটা বক্তাবলী। গানবোট নিয়ে ধলেশ্বরীর বুকে তারা অবস্থান নেয় এবং সুবেহসাদেকের সময় বক্তাবলীর চরে গানবোট ভিড়িয়ে নদীর পাড়ে নামতে থাকে তারা। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে তারা গ্রামে অগ্রসর হতে সাহস করে না। তখন মুক্তারকান্দি প্রাইমারি স্কুল ও কানাইনগর হাইস্কুলে মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি ক্যাম্প ছিল। নদীর পাড়ে অবস্থিত ডিক্রিরচর মসজিদ ও বিভিন্ন বাড়িতে রাত কাটাতেন মুক্তিযোদ্ধারা; ফলে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাদের উপস্থিতি সঙ্গে সঙ্গেই টের পেয়ে যান এবং প্রতিরোধের প্রস্তুতি নেন। কুয়াশা একটু কাটতে থাকলে কুঁড়ের পাড় অঞ্চলের নদীর কাছ থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে গ্রামের দিকে অগ্রসর হতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনী। আর তখনই মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরোধ শুরু করেন। সকাল তখন প্রায় সাড়ে সাতটা। উল্লেখ্য, মাহফুজুর রহমান পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রথম চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। প্রতিরোধের শুরুতেই পাঁচজন পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেন মুক্তিযোদ্ধারা এবং আহত হয় বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা। পাকিস্তানি সেনারা পাঁচটি লাশ ও আহত দুজনকে কাঁধে নিয়ে পিছু হটে যায়। এখানে প্রায় দুই ঘণ্টা প্রতিরোধ যুদ্ধ চলে। এ দুই ঘণ্টা প্রতিরোধের কারণে বক্তাবলীর গ্রামগুলো থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ মুন্সিগঞ্জ ও বিভিন্ন অঞ্চলে সরে যেতে সক্ষম হয়। এর পরপরই পাকিস্তানি বাহিনী ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে গ্রামগুলোর ওপর। পাকিস্তানি বাহিনীর আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের মুখে মুক্তিবাহিনী বাধ্য হয়ে পিছু হটে। আর তখনই শুরু হয় পাকিস্তানি বাহিনীর তাণ্ডব। তারা ডিক্রিরচর নদীর পাড়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে একসঙ্গে হত্যা করে ৪০ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে। লক্ষ্মীনগর কবরস্থানের কাছে খড়েরপাড়ার ভেতর আশ্রয় নেওয়া দলবদ্ধ সাধারণ মানুষকে আগুনে জ্বালিয়ে হত্যা করে। রাজাপুরের হলুদ সরিষাখেত লাল হয়ে ওঠে, পড়ে থাকে লাশের পর লাশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র শহীদুল্লাহ, মুনীরুজ্জামানসহ বহু ছাত্র আর সাধারণ কৃষককে হত্যা করে তারা। বক্তাবলীতে ওই দিন ১৩৯ জনকে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বক্তাবলী পরগনার ২২টি গ্রাম গান পাউডার দিয়ে বিকেলের মধ্যেই জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছাই করে দেয় তারা।
দেশে যে কটি গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, বক্তাবলী তার মধ্যে অন্যতম। এখানে প্রতিরোধ হয়েছে, পাকিস্তানি সেনাদের হত্যা করা হয়েছে এবং মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ হয়েছেন। অথচ কী নির্মম আমাদের বাস্তবতা, আজ প্রায় ৪০ বছর পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ছাত্রদের তালিকায় যেমন এই বক্তাবলীর শহীদদের নাম নেই, স্থানীয় জেলা প্রশাসনের শহীদদের তালিকায়ও এই ১৩৯ জনের একজনেরও নাম নেই। অথচ এই একটি মাত্র অঞ্চল, যেখানে কোনো একজনও রাজাকার বা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল না। এই ২২টি গ্রামের প্রতিটি বাড়ির লোকজনই মুক্তিযুদ্ধের নয়টি মাস নিজেরা খেয়ে না-খেয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও আশ্রয় নেওয়া মানুষকে খাইয়েছেন, আশ্রয় দিয়েছেন। এই গ্রামগুলোর ছাত্র, শিক্ষক, চাষাভুষা—প্রত্যেকেই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।
সন্তানহারা, পিতাহারা, স্বজনহারা সেই শহীদ পরিবারগুলোতে এখনো আহাজারি, বুকফাটা আর্তনাদ। বেঁচে থাকার জন্য, টিকে থাকার জন্য প্রাণপণ লড়াই করেও মানবেতর জীবন যাপন করছে শহীদ পরিবারগুলো।
এ কথা সত্য যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংরক্ষণে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তেমন ভূমিকা নেই। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদগুলোতে আমরা দেখে আসছি বিএনপির শাসনামলে সংসদ কার্যালয়ে জিয়াউর রহমানের ছবি ঝুলিয়ে তাদের জিন্দাবাদ দিতে, স্বৈরশাসক এরশাদের সময় এরশাদের ছবি তুলে তাঁর গুণগান করতে, আজ আবার বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগিয়ে জয় বাংলা ধ্বনি দিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে। ছবি ওঠানো আর নামানোর রাজনীতি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তত বেরিয়ে আসতে হবে। ইতিহাস বিকৃতির দায় বিএনপি, জামায়াত আর স্বাধীনতাবিরোধীদেরই শুধু নয়; এ দায় থেকে তারাও রেহাই পাবে না। প্রকৃত সত্য ও তথ্য তুলে ধরার ব্যর্থতার দায়ভারও তাদের ওপর।
প্রতিদিন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারগুলোর উদ্দেশে সরকারের এত প্রতিশ্রুতির জোয়ার উঠলেও সেই জোয়ারের ঢেউ প্রায় ৪০ বছরেও বুড়িগঙ্গা-ধলেশ্বরীর পারের শহীদদের গ্রাম বক্তাবলীতে এসে আঘাত করেনি। এ সরকারের সময় এমনটি কারও কাম্য নয়।
রফিউর রাব্বি: সাংস্কৃতিক সংগঠক।
মার্চের ২৭ তারিখেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নারায়ণগঞ্জ শহরে ঢুকে যায়। যদিও সেখানেও প্রতিরোধ হয়েছে এবং কয়েকজন শহীদ হয়েছেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টিতেই নারায়ণগঞ্জ শহরে পাকিস্তানি হানাদারদের হত্যা-নির্যাতন অব্যাহত থেকেছে। পাকিস্তানি বাহিনী শীতলক্ষ্যার পূর্ব পাড়ে হত্যা-নির্যাতন চালায়, কিন্তু বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরীতে নৌ-টহল দিলেও নভেম্বরের শেষাবধি তারা বক্তাবলীতে প্রবেশ করেনি; ফলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের লক্ষাধিক মানুষ মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই এই বক্তাবলীতে আশ্রয় নেয়।
নারায়ণগঞ্জ শহরে অবস্থিত কয়েকজন রাজাকারের সহযোগিতায় ২৯ নভেম্বর রাত প্রায় সাড়ে তিনটায় পাকিস্তানি বাহিনী তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে গোটা বক্তাবলী। গানবোট নিয়ে ধলেশ্বরীর বুকে তারা অবস্থান নেয় এবং সুবেহসাদেকের সময় বক্তাবলীর চরে গানবোট ভিড়িয়ে নদীর পাড়ে নামতে থাকে তারা। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে তারা গ্রামে অগ্রসর হতে সাহস করে না। তখন মুক্তারকান্দি প্রাইমারি স্কুল ও কানাইনগর হাইস্কুলে মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি ক্যাম্প ছিল। নদীর পাড়ে অবস্থিত ডিক্রিরচর মসজিদ ও বিভিন্ন বাড়িতে রাত কাটাতেন মুক্তিযোদ্ধারা; ফলে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাদের উপস্থিতি সঙ্গে সঙ্গেই টের পেয়ে যান এবং প্রতিরোধের প্রস্তুতি নেন। কুয়াশা একটু কাটতে থাকলে কুঁড়ের পাড় অঞ্চলের নদীর কাছ থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে গ্রামের দিকে অগ্রসর হতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনী। আর তখনই মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরোধ শুরু করেন। সকাল তখন প্রায় সাড়ে সাতটা। উল্লেখ্য, মাহফুজুর রহমান পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রথম চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। প্রতিরোধের শুরুতেই পাঁচজন পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেন মুক্তিযোদ্ধারা এবং আহত হয় বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা। পাকিস্তানি সেনারা পাঁচটি লাশ ও আহত দুজনকে কাঁধে নিয়ে পিছু হটে যায়। এখানে প্রায় দুই ঘণ্টা প্রতিরোধ যুদ্ধ চলে। এ দুই ঘণ্টা প্রতিরোধের কারণে বক্তাবলীর গ্রামগুলো থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ মুন্সিগঞ্জ ও বিভিন্ন অঞ্চলে সরে যেতে সক্ষম হয়। এর পরপরই পাকিস্তানি বাহিনী ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে গ্রামগুলোর ওপর। পাকিস্তানি বাহিনীর আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের মুখে মুক্তিবাহিনী বাধ্য হয়ে পিছু হটে। আর তখনই শুরু হয় পাকিস্তানি বাহিনীর তাণ্ডব। তারা ডিক্রিরচর নদীর পাড়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে একসঙ্গে হত্যা করে ৪০ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে। লক্ষ্মীনগর কবরস্থানের কাছে খড়েরপাড়ার ভেতর আশ্রয় নেওয়া দলবদ্ধ সাধারণ মানুষকে আগুনে জ্বালিয়ে হত্যা করে। রাজাপুরের হলুদ সরিষাখেত লাল হয়ে ওঠে, পড়ে থাকে লাশের পর লাশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র শহীদুল্লাহ, মুনীরুজ্জামানসহ বহু ছাত্র আর সাধারণ কৃষককে হত্যা করে তারা। বক্তাবলীতে ওই দিন ১৩৯ জনকে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বক্তাবলী পরগনার ২২টি গ্রাম গান পাউডার দিয়ে বিকেলের মধ্যেই জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছাই করে দেয় তারা।
দেশে যে কটি গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, বক্তাবলী তার মধ্যে অন্যতম। এখানে প্রতিরোধ হয়েছে, পাকিস্তানি সেনাদের হত্যা করা হয়েছে এবং মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ হয়েছেন। অথচ কী নির্মম আমাদের বাস্তবতা, আজ প্রায় ৪০ বছর পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ছাত্রদের তালিকায় যেমন এই বক্তাবলীর শহীদদের নাম নেই, স্থানীয় জেলা প্রশাসনের শহীদদের তালিকায়ও এই ১৩৯ জনের একজনেরও নাম নেই। অথচ এই একটি মাত্র অঞ্চল, যেখানে কোনো একজনও রাজাকার বা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল না। এই ২২টি গ্রামের প্রতিটি বাড়ির লোকজনই মুক্তিযুদ্ধের নয়টি মাস নিজেরা খেয়ে না-খেয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও আশ্রয় নেওয়া মানুষকে খাইয়েছেন, আশ্রয় দিয়েছেন। এই গ্রামগুলোর ছাত্র, শিক্ষক, চাষাভুষা—প্রত্যেকেই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।
সন্তানহারা, পিতাহারা, স্বজনহারা সেই শহীদ পরিবারগুলোতে এখনো আহাজারি, বুকফাটা আর্তনাদ। বেঁচে থাকার জন্য, টিকে থাকার জন্য প্রাণপণ লড়াই করেও মানবেতর জীবন যাপন করছে শহীদ পরিবারগুলো।
এ কথা সত্য যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংরক্ষণে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তেমন ভূমিকা নেই। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদগুলোতে আমরা দেখে আসছি বিএনপির শাসনামলে সংসদ কার্যালয়ে জিয়াউর রহমানের ছবি ঝুলিয়ে তাদের জিন্দাবাদ দিতে, স্বৈরশাসক এরশাদের সময় এরশাদের ছবি তুলে তাঁর গুণগান করতে, আজ আবার বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগিয়ে জয় বাংলা ধ্বনি দিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে। ছবি ওঠানো আর নামানোর রাজনীতি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তত বেরিয়ে আসতে হবে। ইতিহাস বিকৃতির দায় বিএনপি, জামায়াত আর স্বাধীনতাবিরোধীদেরই শুধু নয়; এ দায় থেকে তারাও রেহাই পাবে না। প্রকৃত সত্য ও তথ্য তুলে ধরার ব্যর্থতার দায়ভারও তাদের ওপর।
প্রতিদিন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারগুলোর উদ্দেশে সরকারের এত প্রতিশ্রুতির জোয়ার উঠলেও সেই জোয়ারের ঢেউ প্রায় ৪০ বছরেও বুড়িগঙ্গা-ধলেশ্বরীর পারের শহীদদের গ্রাম বক্তাবলীতে এসে আঘাত করেনি। এ সরকারের সময় এমনটি কারও কাম্য নয়।
রফিউর রাব্বি: সাংস্কৃতিক সংগঠক।
No comments