দ্রুত ভর্তি ফি নির্ধারণ করুন-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ
দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো সরকারি অনুমোদন নিয়ে এবং কিছু নিয়মনীতি মেনে পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বেতন বা ফির বিষয়টিতেই শুধু ব্যতিক্রম। এ ক্ষেত্রে কোনো নিয়মনীতির বালাই নেই। ফলে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ নিজেদের খেয়ালখুশিমতো বেতন ও ফি নিচ্ছে এবং স্বাভাবিক কারণেই খুব উচ্চ হারে।
গত শিক্ষাবছরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং তা বিবেচনায় নিয়ে গ্রহণযোগ্য বেতন ও ফি নির্ধারণের প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কেন বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির ফি নির্ধারণ করে দিচ্ছে না, সেটা নতুন এই শিক্ষাবছরে এক বড় প্রশ্ন হয়ে ঝুলে রয়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, কলেজ ভেদে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি বাবদ নেওয়া হচ্ছে নয় লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা। ব্যবধানটি যথেষ্ট এবং এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, কলেজগুলো কোনো নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলছে না। বাংলাদেশের বিবেচনায় একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের পক্ষে এই ব্যয় বহন করা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসম্ভব। শিক্ষকদের বেতন, কলেজ পরিচালনা, শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও অন্যান্য খরচের বিষয় কলেজ কর্তৃপক্ষ যতই বড় করে দেখাক না কেন, যে মাত্রায় ভর্তি ফি নেওয়া হচ্ছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে উচ্চ ভর্তি ফির বিষয়টি আলোচনা ও সমালোচনায় এলে ফি নির্ধারণ করার জন্য এ বছরের শুরুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি উচ্চ ভর্তি ফিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। এই কমিটি পাঁচ বছরের জন্য কোর্স ফি সর্বোচ্চ আট লাখ টাকা ও মাসিক ফি সর্বোচ্চ চার হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেয়। সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকেও ভর্তি ফি নির্ধারণ করার বিষয়টিকে যৌক্তিক ও তা সর্বোচ্চ আট লাখ টাকা করার পক্ষে মত দেওয়া হয়। এর পরও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ফি নির্ধারণ করে দেওয়ার আদেশ জারি না করার বিষয়টি বিস্ময়কর। এখন নতুন একটি শিক্ষাবছর চলে এসেছে এবং শিক্ষার্থীরা ভর্তি ফি নিয়ে কলেজগুলোর স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটি বা সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ভর্তি ফির যে প্রস্তাব এসেছে, সে ব্যাপারে যদি বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর কোনো আপত্তি থাকে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে এবং এ ব্যাপারে একটি গ্রহণযোগ্য জায়গায় আসা সম্ভব। বিষয়টি যেভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। প্রথম আলোর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী সরকারের শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ের কয়েকজন নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তা এর বিরোধিতা করায় মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এই নীতিনির্ধারকেরা কাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে চাইছেন, তা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। আমরা আশা করব, জনস্বার্থে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার দ্রুত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি ফি নির্ধারণে এগিয়ে আসবে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, কলেজ ভেদে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি বাবদ নেওয়া হচ্ছে নয় লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা। ব্যবধানটি যথেষ্ট এবং এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, কলেজগুলো কোনো নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলছে না। বাংলাদেশের বিবেচনায় একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের পক্ষে এই ব্যয় বহন করা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসম্ভব। শিক্ষকদের বেতন, কলেজ পরিচালনা, শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও অন্যান্য খরচের বিষয় কলেজ কর্তৃপক্ষ যতই বড় করে দেখাক না কেন, যে মাত্রায় ভর্তি ফি নেওয়া হচ্ছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে উচ্চ ভর্তি ফির বিষয়টি আলোচনা ও সমালোচনায় এলে ফি নির্ধারণ করার জন্য এ বছরের শুরুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি উচ্চ ভর্তি ফিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। এই কমিটি পাঁচ বছরের জন্য কোর্স ফি সর্বোচ্চ আট লাখ টাকা ও মাসিক ফি সর্বোচ্চ চার হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেয়। সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকেও ভর্তি ফি নির্ধারণ করার বিষয়টিকে যৌক্তিক ও তা সর্বোচ্চ আট লাখ টাকা করার পক্ষে মত দেওয়া হয়। এর পরও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ফি নির্ধারণ করে দেওয়ার আদেশ জারি না করার বিষয়টি বিস্ময়কর। এখন নতুন একটি শিক্ষাবছর চলে এসেছে এবং শিক্ষার্থীরা ভর্তি ফি নিয়ে কলেজগুলোর স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটি বা সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ভর্তি ফির যে প্রস্তাব এসেছে, সে ব্যাপারে যদি বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর কোনো আপত্তি থাকে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে এবং এ ব্যাপারে একটি গ্রহণযোগ্য জায়গায় আসা সম্ভব। বিষয়টি যেভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। প্রথম আলোর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী সরকারের শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ের কয়েকজন নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তা এর বিরোধিতা করায় মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এই নীতিনির্ধারকেরা কাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে চাইছেন, তা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। আমরা আশা করব, জনস্বার্থে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার দ্রুত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি ফি নির্ধারণে এগিয়ে আসবে।
No comments