জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে-পাহাড় কাটা, পুকুর ভরাট
দখল ও পরিবেশ ধ্বংস হাত ধরাধরি করে চলে। সম্প্রতি প্রথম আলোয় দুটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। একটি পাহাড় কাটার, অন্যটি রেলের পুকুর ভরাটের। এই পাহাড় কাটা ও পুকুর ভরাটের পেছনে রয়েছে দখল আর এর সঙ্গে জড়িত আছেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
দখল বা পরিবেশ ধ্বংস—প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ঠেকানো না গেলে কোনোটাই ঠেকানো যাবে না।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার জৈষ্ঠাপুরে পাহাড় কেটে সমতল করে ফেলেছেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ মো. নুরুল আলম। প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সঙ্গে একটি ছবিও ছাপা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পাহাড় ও ঘন গাছগাছালিতে ভরা একটি অংশ কেটে সমতল করে ফেলা হয়েছে। নুরুল আলমের দাবি, তিনি নাকি জমিটি ইজারা নিয়েছেন আর পাহাড় কেটে সমতল করেছেন মুরগির খামার করবেন বলে। উপজেলা ভূমি অফিস অবশ্য বলছে, এই জমি কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। যে পক্ষের দাবিই সত্য হোক না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে, পাহাড় কেটে সেখানে সমতল ভূমি বানানো হয়েছে।
অপর ঘটনাটি কুমিল্লা শহরতলির শাসনগাছা এলাকায়। এখানে রেলওয়ের পুকুর ভরাট করে ১৫টি দোকান নির্মাণ করেছেন এলাকার মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত খোকন মিয়া। মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হয়েও যিনি রেলওয়ের জায়গা দখল করে নিতে পারেন, তাঁর প্রভাব ও ক্ষমতার বিষয়টি আমরা অনুমান করতে পারি। স্থানীয় সরকারদলীয় লোকজনের সহায়তায় তিনি এই অপকর্ম করতে পেরেছেন বলে জানা গেছে। রেলওয়ের পুকুর ভরাট হয়ে গেল, দোকানও তৈরি হয়ে গেল, কিন্তু বাধা দিতে কেউ এগিয়ে এল না। পুলিশ প্রশাসন বা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের যে বক্তব্য ছাপা হয়েছে পত্রিকায়, তাতে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে তাদের অনীহাই যেন প্রকাশ পেয়েছে। রেলওয়ে লাকসাম থানার ওসির দায়সারা জবাব, ‘আমার কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি।’ কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টারের বক্তব্য, ‘রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। সেখান থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি।’ এঁরাই আমাদের পুলিশ ও প্রশাসনের দুজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা!
বোয়ালখালীতে পাহাড়ি জমিটি যদি সত্যিই ইজারা দেওয়া না হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে পাহাড় কেটে যে সমতল ভূমি বানানো হলো, এর দায় কে নেবে? আর যদি ইজারা দেওয়া হয়ে থাকে, তার নিশ্চয়ই কিছু শর্ত রয়েছে। সেখানে কি পাহাড় কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল? এ প্রশ্নগুলোর জবাব স্থানীয় প্রশাসনকেই দিতে হবে। বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছিলেন, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
দুটি ক্ষেত্রেই দেখা যাছে, দখল বা পরিবেশ ধ্বংসের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসন অনিচ্ছুক বা অপারগ। এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। দখল ও পাহাড় কাটা বা পুকুর ভরাটের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার জৈষ্ঠাপুরে পাহাড় কেটে সমতল করে ফেলেছেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ মো. নুরুল আলম। প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সঙ্গে একটি ছবিও ছাপা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পাহাড় ও ঘন গাছগাছালিতে ভরা একটি অংশ কেটে সমতল করে ফেলা হয়েছে। নুরুল আলমের দাবি, তিনি নাকি জমিটি ইজারা নিয়েছেন আর পাহাড় কেটে সমতল করেছেন মুরগির খামার করবেন বলে। উপজেলা ভূমি অফিস অবশ্য বলছে, এই জমি কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। যে পক্ষের দাবিই সত্য হোক না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে, পাহাড় কেটে সেখানে সমতল ভূমি বানানো হয়েছে।
অপর ঘটনাটি কুমিল্লা শহরতলির শাসনগাছা এলাকায়। এখানে রেলওয়ের পুকুর ভরাট করে ১৫টি দোকান নির্মাণ করেছেন এলাকার মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত খোকন মিয়া। মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হয়েও যিনি রেলওয়ের জায়গা দখল করে নিতে পারেন, তাঁর প্রভাব ও ক্ষমতার বিষয়টি আমরা অনুমান করতে পারি। স্থানীয় সরকারদলীয় লোকজনের সহায়তায় তিনি এই অপকর্ম করতে পেরেছেন বলে জানা গেছে। রেলওয়ের পুকুর ভরাট হয়ে গেল, দোকানও তৈরি হয়ে গেল, কিন্তু বাধা দিতে কেউ এগিয়ে এল না। পুলিশ প্রশাসন বা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের যে বক্তব্য ছাপা হয়েছে পত্রিকায়, তাতে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে তাদের অনীহাই যেন প্রকাশ পেয়েছে। রেলওয়ে লাকসাম থানার ওসির দায়সারা জবাব, ‘আমার কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি।’ কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টারের বক্তব্য, ‘রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। সেখান থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি।’ এঁরাই আমাদের পুলিশ ও প্রশাসনের দুজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা!
বোয়ালখালীতে পাহাড়ি জমিটি যদি সত্যিই ইজারা দেওয়া না হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে পাহাড় কেটে যে সমতল ভূমি বানানো হলো, এর দায় কে নেবে? আর যদি ইজারা দেওয়া হয়ে থাকে, তার নিশ্চয়ই কিছু শর্ত রয়েছে। সেখানে কি পাহাড় কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল? এ প্রশ্নগুলোর জবাব স্থানীয় প্রশাসনকেই দিতে হবে। বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছিলেন, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
দুটি ক্ষেত্রেই দেখা যাছে, দখল বা পরিবেশ ধ্বংসের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসন অনিচ্ছুক বা অপারগ। এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। দখল ও পাহাড় কাটা বা পুকুর ভরাটের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
No comments