চোখে কাজল দেওয়ার সময় মুখ হাঁ হয়ে যায় কেন? by আব্দুল কাইয়ুম
ও, আপনি হয়তো এত দিন লক্ষই করেননি যে বিউটি পারলারে বা নিজেই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চোখে কাজল দেওয়ার সময় আপনা-আপনি মুখটা খুলে যায়। কেউ শিখিয়ে দেয়নি বা সাজগোজের কোনো নির্দেশিকায়ও লেখা নেই যে মুখ হাঁ করতে হবে। মেয়েরা বলেন, এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে (রিফ্লেক্স) হয়।
অবশ্য কোনো কোনো বিউটিশিয়ান চোখে কাজল দেওয়ার সময় মুখ খুলে রাখার অনুরোধ করতেও পারেন। কিন্তু কেন? মূল ব্যাপার হলো, কাজল দেওয়ার সময় যেন চোখ প্রসারিত থাকে এবং ঘন ঘন চোখের পাতা না পড়ে সেটা লক্ষ রাখা। মুখ খোলা রাখলে কি সেই সুবিধা পাওয়া যায়? এ সম্পর্কে বিভিন্ন রকম ব্যাখ্যা রয়েছে। কারও কারও মতে, হাত বা পায়ের দীর্ঘ পেশিগুলো যতটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে, মুখমণ্ডলের পেশিগুলো ততটা পারে না। ওগুলো সাধারণত গ্রুপভুক্ত হয়ে একে অপরের সহযোগিতায় কাজ করে। সে জন্য মুখ খোলা রাখলে মুখের পেশিগুলো কিছুটা শিথিল ও নিরুদ্বিগ্ন থাকে এবং এতে চোখের পাতা স্থির রাখা সহজ হয়। অনেকে বরং এর উল্টোটাই মনে করেন। তাঁরা বলেন, হাঁ করে রাখলে মুখের পেশিগুলো সংকুচিত হয়ে চোখের পাতার পেশিগুলো সুদৃঢ় রাখতে সাহায্য করে। ফলে সহজে চোখের পাতা নড়ে না। সম্ভবত এ যুক্তি বেশি গ্রহণযোগ্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মুখ খোলা রাখলে এ ক্ষেত্রে সুবিধা হতে পারে, কারণ মুখ ও চোখের পাতা একই স্নায়ু, ফেসিয়াল নার্ভ দ্বারা পরিচালিত হয়। অবশ্য রূপচর্চার সময় একজন নারীকে এ কথা বললে তিনি হাঁ করা মুখ বন্ধ করে বলেন, আমি কিন্তু মুখ বন্ধ রেখেও চোখে কাজল দিতে পারি!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মুখ খোলা রাখলে এ ক্ষেত্রে সুবিধা হতে পারে, কারণ মুখ ও চোখের পাতা একই স্নায়ু, ফেসিয়াল নার্ভ দ্বারা পরিচালিত হয়। অবশ্য রূপচর্চার সময় একজন নারীকে এ কথা বললে তিনি হাঁ করা মুখ বন্ধ করে বলেন, আমি কিন্তু মুখ বন্ধ রেখেও চোখে কাজল দিতে পারি!
No comments