সড়ক ভবনে গুলি-রাজনৈতিক দখলদারিত্বের পরিণতি
দখলদারিত্বের অপরাজনীতির পরিণতি কী হতে পারে, তার একটি মহড়া প্রদর্শিত হয়েছে খোদ রাজধানীর রমনা এলাকার সড়ক ভবনে। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, টেন্ডারবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সেখানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আহতদের অভিযোগ, শ্রমিক লীগ নেতা কামালউদ্দিন খন্দকারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাঁদের ওপর গুলি চালিয়েছে। গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও সড়ক ভবনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে খবরে যা বলা হয়েছে, নিজেদের ক্ষমতার পরিচয় দিতেই তারা এই গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কের পাশে, দেশের সর্বোচ্চ আদালতসংলগ্ন এলাকায় এমন একটি ঘটনা নিঃসন্দেহে চিন্তার বিষয়। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের পরিণাম কী হতে পারে, মঙ্গলবার সড়ক ভবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি তারই প্রমাণ।
সড়ক ভবনে যা ঘটেছে, তা নতুন বা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ধারাবাহিকতা চলে আসছে অনেক দিন ধরেই। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে সব অপকর্মেই এখন রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত বা ক্যাডারদের আধিপত্য। সব সময় সব রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায়ই এদের অবস্থান লক্ষ করা যায়। নিরাপদ রাজনৈতিক আশ্রয়ের কারণেই এরা আজ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক পরিচয়ের খোলস বদলে ফেলতে এদের সময় লাগে না। এভাবে চলতে চলতে এখন আর কোনোভাবেই এদের ঠেকানো যাচ্ছে না। রাজধানী ঢাকা শুধু নয়, সারা দেশেই তাদের আধিপত্য রয়েছে। যেখানে টেন্ডার, সেখানেই তারা। টেন্ডার শব্দটির সঙ্গে সন্ত্রাস শব্দটি যোগ করে টেন্ডার-সন্ত্রাস শব্দযুগল তৈরি হয়েছে ওদেরই কারণে। নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে ওরা মরিয়া। আর রাজনৈতিক পরিচয় ওদের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। তারই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর সড়ক ভবনে এসেও গুলি চালাতে হাত কাঁপেনি তাদের।
দখলদারিত্ব ও টেন্ডার-সন্ত্রাস আমাদের দেশে নতুন কোনো ঘটনা নয়। নিকট অতীতেও আমরা এমন অপ্রতিরোধ্য দখলদারিত্ব দেখেছি। ২০০১ সালে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা দায়িত্ব নেওয়ার আগেই দলের এই শ্রেণীর নেতা-কর্মীরা সারা দেশে দখলদারিত্বে নেমে পড়েছিল। কিন্তু সেই দখলদারিত্বের অনিবার্য ফল যে ভালো হয়নি, ইতিহাসই তার প্রমাণ। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা সেই ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন বলে মনে হয় না। ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনের নাম ভাঙিয়ে যেভাবে দখলদারিত্ব ও আধিপত্য বিস্তার চলছে, এর পরিণতিও যে শুভ হবে না, তা বলাই বাহুল্য।
কিন্তু দেশটাকে কি আমরা এভাবেই সন্ত্রাসীচক্রের হাতে সম্পূর্ণভাবে সঁপে দেব? টেন্ডারবাজি যদি এভাবে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে, তাহলে উন্নয়নের গতিও মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। রাষ্ট্রীয় সম্পদ, দেশের উন্নয়ন- সব কিছুই চলে যাবে লুটপাটকারীদের হাতে। এই চক্রকে প্রতিহত করতে সর্বস্তরের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সে ক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে সবার আগে। সরকার সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে- এটাই দেখতে চায় দেশের মানুষ। অর্পিত দায়িত্ব পালনে সরকার কতটুকু সফল হলো, তার ওপরই নির্ভর করছে সরকারের সাফল্য। আমরা আশা করব, সরকার সত্যিকার অর্থে সেই দায়িত্ব পালন করবে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে সরকার প্রমাণ করবে, তাদের কোনো রাজনৈতিক দৈন্য নেই- এটাই দেশের মানুষের চাওয়া।
সড়ক ভবনে যা ঘটেছে, তা নতুন বা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ধারাবাহিকতা চলে আসছে অনেক দিন ধরেই। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে সব অপকর্মেই এখন রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত বা ক্যাডারদের আধিপত্য। সব সময় সব রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায়ই এদের অবস্থান লক্ষ করা যায়। নিরাপদ রাজনৈতিক আশ্রয়ের কারণেই এরা আজ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক পরিচয়ের খোলস বদলে ফেলতে এদের সময় লাগে না। এভাবে চলতে চলতে এখন আর কোনোভাবেই এদের ঠেকানো যাচ্ছে না। রাজধানী ঢাকা শুধু নয়, সারা দেশেই তাদের আধিপত্য রয়েছে। যেখানে টেন্ডার, সেখানেই তারা। টেন্ডার শব্দটির সঙ্গে সন্ত্রাস শব্দটি যোগ করে টেন্ডার-সন্ত্রাস শব্দযুগল তৈরি হয়েছে ওদেরই কারণে। নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে ওরা মরিয়া। আর রাজনৈতিক পরিচয় ওদের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। তারই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর সড়ক ভবনে এসেও গুলি চালাতে হাত কাঁপেনি তাদের।
দখলদারিত্ব ও টেন্ডার-সন্ত্রাস আমাদের দেশে নতুন কোনো ঘটনা নয়। নিকট অতীতেও আমরা এমন অপ্রতিরোধ্য দখলদারিত্ব দেখেছি। ২০০১ সালে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা দায়িত্ব নেওয়ার আগেই দলের এই শ্রেণীর নেতা-কর্মীরা সারা দেশে দখলদারিত্বে নেমে পড়েছিল। কিন্তু সেই দখলদারিত্বের অনিবার্য ফল যে ভালো হয়নি, ইতিহাসই তার প্রমাণ। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা সেই ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন বলে মনে হয় না। ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনের নাম ভাঙিয়ে যেভাবে দখলদারিত্ব ও আধিপত্য বিস্তার চলছে, এর পরিণতিও যে শুভ হবে না, তা বলাই বাহুল্য।
কিন্তু দেশটাকে কি আমরা এভাবেই সন্ত্রাসীচক্রের হাতে সম্পূর্ণভাবে সঁপে দেব? টেন্ডারবাজি যদি এভাবে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে, তাহলে উন্নয়নের গতিও মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। রাষ্ট্রীয় সম্পদ, দেশের উন্নয়ন- সব কিছুই চলে যাবে লুটপাটকারীদের হাতে। এই চক্রকে প্রতিহত করতে সর্বস্তরের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সে ক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে সবার আগে। সরকার সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে- এটাই দেখতে চায় দেশের মানুষ। অর্পিত দায়িত্ব পালনে সরকার কতটুকু সফল হলো, তার ওপরই নির্ভর করছে সরকারের সাফল্য। আমরা আশা করব, সরকার সত্যিকার অর্থে সেই দায়িত্ব পালন করবে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে সরকার প্রমাণ করবে, তাদের কোনো রাজনৈতিক দৈন্য নেই- এটাই দেশের মানুষের চাওয়া।
No comments