শিশুর মুখের প্রথম বুলি by শারমিন নাহার
‘বাবা, আমাদের একটা ময়না পাখি আছে না, সে আজকে আমার নাম ধরে ডেকেছে। কিন্তু এই কথাটা মা কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাইছে না।’ বিজ্ঞাপনচিত্রে ছোট্ট শিশুর মুখের এমন কথা নিশ্চয়ই সব মাকেই নাড়া দেয়। যে মায়ের শিশু হয়তো এখনো কথা বলতে শুরু করেনি, অথচ পাশের বাসার একই বয়সের শিশু ঠিকই মা-বাবাকে ডাকছে।
প্রয়োজনে সে তার নিজের মতো করেই বাক্য তৈরি করছে।
শিশু দেরিতে কথা বললে মা-বাবা বা পরিবারের লোকজনকে আতঙ্কিত হতে দেখা যায়। শিশুর দেরিতে কথা বলার দুটি কারণ উল্লেখ করেন বারডেম হাসপাতালের শিশুবিশেষজ্ঞ তাহমিনা বেগম। প্রথমত, শিশু অসুস্থ থাকলে। দ্বিতীয়ত, যেসব শিশু পরিবারের সদস্যদের সাহচর্য কম পায়, তারা দেরিতে কথা বলে। তিনি বলেন, কর্মজীবী মা-বাবার সন্তানেরা দেরিতে কথা বলা শেখে। কারণ, সারা দিন তারা মা-বাবাকে কাছে পায় না। টিভি দেখিয়ে শিশুকে ব্যস্ত রাখা হয়। ফলে তারা কথা শুধু শোনে, কিন্তু বলার অভ্যাস গড়ে ওঠে না। তিনি বলেন, শিশুর কথা বলার শুরুটা হয় কিছু বর্ণ উচ্চারণের মধ্য দিয়ে। শিশু প্রথম তা, কা, মা—এসব বর্ণ উচ্চারণ করে, যার তেমন কোনো অর্থ থাকে না। ছয় থেকে আট মাস বয়সে ধীরে ধীরে এ বর্ণগুলো এক শব্দে রূপ পায়, যা অর্থপূর্ণ। যেমন মামা, চাচা, কাকা, দাদা—এটা করে ১২ থেকে ১৮ মাস বয়সের মধ্যে। শিশু যখন থেকে কথা বলা শুরু করবে, ওই সময় মা-বাবার উচিত শিশুকে বেশি সময় দেওয়া। শিশুর আধোবুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মা-বাবাকেও তার সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চেনাতে হবে। তাহলে শিশু দ্রুত কথা বলা শিখবে। কারণ, শিশু শুনে শুনেই কথা বলা শেখে।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিশুবর্ধন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মোরশেদা বেগম বলেন, শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। শিশুরা যখন আধোবুলিতে কথা শুরু করে, তখন তার সঙ্গে শুদ্ধভাবে কথা বলা দরকার। শিশু কোনো কথা ঠিকভাবে বলতে না পারলে নিজের মতো করেই উচ্চারণ করে। এতে মা-বাবা অনেক সময় খুশি হয়ে থাকেন। শিশু ভুল উচ্চারণ করলে মা-বাবার উচিত তা শুধরে দেওয়া। ধমক না দিয়ে বারবার ওই শব্দ উচ্চারণ করলে শিশু তাৎক্ষণিক তা ঠিকভাবে উচ্চারণ করবে। শিশুকে বকা দেওয়া যাবে না। এতে শিশুর মধ্যে ভয় দানা বাঁধে এবং পরে সে কথা বলতে চায় না। শিশুর দ্রুত কথা বলা শেখার জন্য তার সঙ্গে বেশি করে কথা বলার কোনো বিকল্প নেই। শিশুকে বারবার শোনাতে হবে নানা ধরনের ছড়া বা ঘুমপাড়ানি গান। একসময় সে হয়তো নিজের মতো করেই গানের কথাগুলো উচ্চারণ করবে।
অসুস্থ শিশু সম্পর্কে তাহমিনা বেগম বলেন, জন্মের পরই শিশু জন্ডিসে আক্রান্ত হলে, মস্তিষ্ক অক্সিজেন কম পেলে দেরিতে কথা বলে। অটিস্টিক শিশুরা কথা বলতে পারে না। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ঠিকমতো পরিচর্যা পেলে আপনার শিশুটিও কথা বলবে ঠিক সময়ে।
শিশু দেরিতে কথা বললে মা-বাবা বা পরিবারের লোকজনকে আতঙ্কিত হতে দেখা যায়। শিশুর দেরিতে কথা বলার দুটি কারণ উল্লেখ করেন বারডেম হাসপাতালের শিশুবিশেষজ্ঞ তাহমিনা বেগম। প্রথমত, শিশু অসুস্থ থাকলে। দ্বিতীয়ত, যেসব শিশু পরিবারের সদস্যদের সাহচর্য কম পায়, তারা দেরিতে কথা বলে। তিনি বলেন, কর্মজীবী মা-বাবার সন্তানেরা দেরিতে কথা বলা শেখে। কারণ, সারা দিন তারা মা-বাবাকে কাছে পায় না। টিভি দেখিয়ে শিশুকে ব্যস্ত রাখা হয়। ফলে তারা কথা শুধু শোনে, কিন্তু বলার অভ্যাস গড়ে ওঠে না। তিনি বলেন, শিশুর কথা বলার শুরুটা হয় কিছু বর্ণ উচ্চারণের মধ্য দিয়ে। শিশু প্রথম তা, কা, মা—এসব বর্ণ উচ্চারণ করে, যার তেমন কোনো অর্থ থাকে না। ছয় থেকে আট মাস বয়সে ধীরে ধীরে এ বর্ণগুলো এক শব্দে রূপ পায়, যা অর্থপূর্ণ। যেমন মামা, চাচা, কাকা, দাদা—এটা করে ১২ থেকে ১৮ মাস বয়সের মধ্যে। শিশু যখন থেকে কথা বলা শুরু করবে, ওই সময় মা-বাবার উচিত শিশুকে বেশি সময় দেওয়া। শিশুর আধোবুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মা-বাবাকেও তার সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চেনাতে হবে। তাহলে শিশু দ্রুত কথা বলা শিখবে। কারণ, শিশু শুনে শুনেই কথা বলা শেখে।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিশুবর্ধন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মোরশেদা বেগম বলেন, শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। শিশুরা যখন আধোবুলিতে কথা শুরু করে, তখন তার সঙ্গে শুদ্ধভাবে কথা বলা দরকার। শিশু কোনো কথা ঠিকভাবে বলতে না পারলে নিজের মতো করেই উচ্চারণ করে। এতে মা-বাবা অনেক সময় খুশি হয়ে থাকেন। শিশু ভুল উচ্চারণ করলে মা-বাবার উচিত তা শুধরে দেওয়া। ধমক না দিয়ে বারবার ওই শব্দ উচ্চারণ করলে শিশু তাৎক্ষণিক তা ঠিকভাবে উচ্চারণ করবে। শিশুকে বকা দেওয়া যাবে না। এতে শিশুর মধ্যে ভয় দানা বাঁধে এবং পরে সে কথা বলতে চায় না। শিশুর দ্রুত কথা বলা শেখার জন্য তার সঙ্গে বেশি করে কথা বলার কোনো বিকল্প নেই। শিশুকে বারবার শোনাতে হবে নানা ধরনের ছড়া বা ঘুমপাড়ানি গান। একসময় সে হয়তো নিজের মতো করেই গানের কথাগুলো উচ্চারণ করবে।
অসুস্থ শিশু সম্পর্কে তাহমিনা বেগম বলেন, জন্মের পরই শিশু জন্ডিসে আক্রান্ত হলে, মস্তিষ্ক অক্সিজেন কম পেলে দেরিতে কথা বলে। অটিস্টিক শিশুরা কথা বলতে পারে না। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ঠিকমতো পরিচর্যা পেলে আপনার শিশুটিও কথা বলবে ঠিক সময়ে।
No comments