বন্য প্রাণী হত্যা ও পাচারের জালটাই ধ্বংস করতে হবে-বাঘের বাচ্চা বনাম পাচারকারী
বাঘের চেয়েও হিংস্র বাঘ পাচারকারীরা। তারা আস্ত বাঘ, বাঘের চামড়া, হাড়, মাথা থেকে শুরু করে বাঘের বাচ্চা নিয়েও ব্যবসা করছে। ঢাকার শ্যামলী থেকে তিনটি বাঘের বাচ্চা উদ্ধারের ঘটনায় সুন্দরবনের বাঘের অরক্ষিত দশাই উন্মোচিত হলো। এদের হিংস্রতার কারণেই সুন্দরবনসহ সারা দেশের বন্য প্রাণীগুলো বিলুপ্ত হতে বসেছে।
সুন্দরবনের রাজকীয় বঙ্গশার্দূল অতি বুদ্ধিমান ও প্রতাপশালী প্রাণী। তাই মা বাঘকে হত্যা না করে তিনটি বাঘশিশুকে কেড়ে আনা সম্ভব ছিল বলে মনে হয় না। পেশাদার বাঘ শিকারিদের মাধ্যমে বাঘ পাচারকারীরা জীবিত বা মৃত বাঘের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। বনরক্ষকদের কেউ কেউ এই কাজে সহযোগিতা করছেন, এটাও আর গোপন নেই।
পাচারকারীদের হাত থেকে বাঘের তিনটি বাচ্চা উদ্ধারের পর এখন সমস্যা দাঁড়িয়েছে দুটি। এক. এই কোমলপ্রাণ শিশুদের জন্য উত্তম ব্যবস্থা নিরূপণ করা এবং দুই. বাঘ পাচারকারী অপরাধ চক্রকে চিহ্নিত করে দমন করা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে তিনটি বাঘের বাচ্চাকে বাঘবান্ধব পরিবেশে ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু পাচারচক্রের উৎসে হাত দিতে হলে সবার আগে বন বিভাগকে শুদ্ধ করতে হবে। আটক পাচারকারীদের ভাষ্য অনুসারে, বন বিভাগের একজন কর্মকর্তাই ছিলেন বাঘের বাচ্চাগুলোর সম্ভাব্য ক্রেতা। তিনি এর আগেও এভাবে বন্য প্রাণী কিনেছেন বলে দাবি করেছেন। প্রকৃতপক্ষে এসব বন কর্মকর্তা বিদেশি ক্রেতাদের হয়ে কাজ করেন। কেবল সুন্দরবন থেকে নয়, সারা দেশ থেকেই বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীদের জীবিত বা মৃত অবস্থায় বিদেশে পাচারের ব্যবসা অতি রমরমা। এই পাচারকারী চক্রকে সমূলে ধ্বংস করতে হবে।
বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে ইচ্ছাকৃত বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বাঘ হত্যা বা এর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির জন্য পরিবহনের সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকার জরিমানা। আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি বনজীবী জনগোষ্ঠীকেও বন ও বন্য প্রাণী রক্ষা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দুনিয়ার অনেক দেশেই এই পদ্ধতি অনেক সফল হয়েছে।
পাচারকারীদের হাত থেকে বাঘের তিনটি বাচ্চা উদ্ধারের পর এখন সমস্যা দাঁড়িয়েছে দুটি। এক. এই কোমলপ্রাণ শিশুদের জন্য উত্তম ব্যবস্থা নিরূপণ করা এবং দুই. বাঘ পাচারকারী অপরাধ চক্রকে চিহ্নিত করে দমন করা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে তিনটি বাঘের বাচ্চাকে বাঘবান্ধব পরিবেশে ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু পাচারচক্রের উৎসে হাত দিতে হলে সবার আগে বন বিভাগকে শুদ্ধ করতে হবে। আটক পাচারকারীদের ভাষ্য অনুসারে, বন বিভাগের একজন কর্মকর্তাই ছিলেন বাঘের বাচ্চাগুলোর সম্ভাব্য ক্রেতা। তিনি এর আগেও এভাবে বন্য প্রাণী কিনেছেন বলে দাবি করেছেন। প্রকৃতপক্ষে এসব বন কর্মকর্তা বিদেশি ক্রেতাদের হয়ে কাজ করেন। কেবল সুন্দরবন থেকে নয়, সারা দেশ থেকেই বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীদের জীবিত বা মৃত অবস্থায় বিদেশে পাচারের ব্যবসা অতি রমরমা। এই পাচারকারী চক্রকে সমূলে ধ্বংস করতে হবে।
বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে ইচ্ছাকৃত বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বাঘ হত্যা বা এর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির জন্য পরিবহনের সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকার জরিমানা। আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি বনজীবী জনগোষ্ঠীকেও বন ও বন্য প্রাণী রক্ষা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দুনিয়ার অনেক দেশেই এই পদ্ধতি অনেক সফল হয়েছে।
No comments