ধর্ম-সবার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক! by মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান
মানবসমাজে বহুল প্রচলিত একটি প্রাচীন রীতি হচ্ছে সাদর সম্ভাষণ বা অভিবাদন প্রদান। পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাৎ হলে, বক্তৃতা বা কথা বলার সময়, কোনো মজলিশ বা সমাবেশে বা কারও ঘরে প্রবেশ করা ও বের হওয়ার সময়, কারও কাছে কোনো কিছু চাওয়ার সময়, কারও প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা ও অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করার জন্য এবং চিঠিপত্র বা দরখাস্ত লেখার সময় অভিবাদন জানানো হয়।
ইসলামের অনুসারীরা অভিবাদনের জন্য যে চমকপ্রদ বাক্য ব্যবহার করে সম্ভাষণ জানায়, এতে সব মানুষের সুখ-শান্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করে বলা হয়, ‘আস্সালামু আলাইকুম’ অর্থাৎ আপনাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক! এর প্রতিউত্তরেও ‘ওয়া আলাইকুমুস্ সালাম’ বলে অনুরূপ দোয়া প্রার্থনা করা হয়।
‘সালাম’ আরবি শব্দ; এর অর্থ শান্তি। এটি আল্লাহ তাআলার ‘আসমাউল হুস্না’ বা গুণবাচক সুন্দরতম নামগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং মানবজাতির জন্য বিশেষ করে মুসলমানদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ নিয়ামত। ইসলামে সালাম কেবল অভিবাদন জানানোই নয়, এর মধ্যে পারস্পরিক দোয়া ও কল্যাণ কামনার অনুপম শিক্ষা রয়েছে। এ জন্য সালাম দেওয়া ও এর প্রতিউত্তর দেওয়া অত্যন্ত সওয়াব বা পুণ্যময় কাজ। সালাম বা শান্তির মর্মবাণী প্রত্যেক ধর্মভীরু মানুষকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে হিংসা-বিদ্বেষ, দ্বন্দ্ব-কলহ, ঝগড়া-বিবাদের রাহুগ্রাস থেকে সমপ্রীতিময় সমাজ উপহার দিয়ে থাকে। পরকালে যেসব বান্দা বেহেশতে প্রবেশের সৌভাগ্য অর্জন করবে, তাদের আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ‘সালাম’ নামের পবিত্র বাণী দ্বারা অভ্যর্থনা জানানো হবে। এ মর্মে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা প্রশান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করো।’ (সূরা আল-হিজর, আয়াত: ৪৬)
‘আশরাফুল মাখলুকাত’ হিসেবে মানবজাতি সৃষ্টির গোড়াতেই সালামের প্রচলন হয়। সর্বপ্রথম নবী হজরত আদম (আ.) থেকেই সালামের উৎপত্তি এবং ক্রমবিকাশধারায় কিয়ামত পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে। মহান সৃষ্টিকর্তা আদিমানব হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করে তাঁর ও ফেরেশতাদের মধ্যে সালামের আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করেন। এ সম্পর্কে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করে বললেন, ‘যাও, অবস্থানরত ফেরেশতাদের দলটিকে সালাম দাও এবং তারা কী জবাব দেয় তা শোনো! আর তা-ই হচ্ছে তোমার এবং তোমার ভবিষ্যৎ বংশধরের অভিবাদন।’ হজরত আদম (আ.) গিয়ে বললেন, ‘আস্সালামু আলাইকুম!’ জবাবে ফেরেশতারা বললেন, ‘আস্সালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহ।’ তারা ‘রাহমাতুল্লাহ’ শব্দটি যোগ করলেন।’
সালামের সঙ্গে ইসলামের সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র মিরাজ রজনীর ঐতিহাসিক স্মৃতিময় ঘটনাটি বিজড়িত রয়েছে। এ মহিমান্বিত রজনীতে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয়বন্ধুকে নিজের কাছে ডেকে নিয়ে ‘আস্সালামু আলাইকা আইয়্যুহান্নাবিয়্যু’ বলে সম্ভাষণ জানিয়েছিলেন। পবিত্র কোরআনে ‘সালাম’ শব্দটি নবীদের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে সম্মান এবং সুসংবাদ হিসেবে ব্যবহূত হয়েছে। আল্লাহর নবী ও ফেরেশতাদের মাধ্যমে যে সালামের প্রচলন হয়েছে তা যদি মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রচলিত হয়, তাহলে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার মধ্যে কোনো ধরনের মনোমালিন্য ও শত্রুতা থাকবে না। যেহেতু সালামের মাধ্যমে একজন মানুষ অন্য মানুষের জন্য শান্তি বর্ষণের দোয়া করে, সেহেতু এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির কোনো অনিষ্ট সাধন করতে পারে না। সমাজে কেউ যদি কারও অনিষ্ট না করে তাহলে নিশ্চয়ই সেখানে শান্তি-শৃঙ্খলা, সামাজিক নিরাপত্তা ও সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি বিরাজমান থাকে। ফলে সমাজের ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল সবাই মিলেমিশে বসবাস করে। কেউ কারও জন্য কোনো হুমকি হয়ে দেখা দেয় না। সবাই সবার তরে হয়ে ওঠে। তাই নবী করিম (সা.) সালামের বহুল প্রচলনের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘তোমরা সালামের বহুল প্রচলন কর, তাহলে তোমরা শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করবে।’ অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বাণী প্রদান করেছেন, ‘দয়ালু প্রভু আল্লাহর ইবাদত কর, ক্ষুধার্তকে খাদ্যদান কর, সালামের বহুল প্রচলন কর এবং এসব কাজের মাধ্যমে বেহেশতে প্রবেশ কর।’
একদা এক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল, তখন তিনি মজলিসে বসা ছিলেন। সে ব্যক্তি বলল, ‘আস্সালামু আলাইকুম’। নবীজি বললেন, ‘এ ব্যক্তির ১০টি নেকি বা সওয়াব হলো। অতঃপর অন্য এক ব্যক্তি এ পথ অতিক্রম করার সময় বলল, ‘আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্’ অর্থাৎ ওই ব্যক্তি শান্তির সঙ্গে আল্লাহর রহমত বর্ষণেরও দোয়া করল। নবীজি বললেন, ‘এ ব্যক্তির ২০টি নেকি হলো।’ এরপর আরেক ব্যক্তি এ পথ অতিক্রম করার সময় বললেন, ‘আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু’ অর্থাৎ ওই ব্যক্তি আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষণের দোয়া করল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘এ ব্যক্তি ৩০টি নেকি পেল।’ এমন সময় এক ব্যক্তি মজলিস থেকে উঠে চলে গেল, কিন্তু সালাম দেয়নি, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তোমাদের সাথি কত তাড়াতাড়িই না সালামের মাহাত্ম্য ভুলে গেল।’ যখন কোনো ব্যক্তি মজলিসে আসে তখন তার উচিত সালাম দেওয়া। তারপর যদি সে মজলিসে বসার প্রয়োজন মনে করে, তবে সে বসবে। আবার যখন সে চলে যাবে তখনো তার সালাম দেওয়া উচিত। আগমন ও প্রস্থান এ উভয় সালামের মধ্যে কোনোটার চেয়ে কোনোটার গুরুত্ব কম-বেশি নয়।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ)
ইসলামি সম্ভাষণ বা অভিবাদন ‘সালাম’ যতটুকু ব্যাপক অর্থবোধক, অন্য কোনো সম্ভাষণ ততটুকু অর্থবোধক নয়। যেমন ‘সালামের’ মাধ্যমে পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। সালামে বিপদাপদ থেকে নিরাপদে এবং শান্তিতে থাকার দোয়া বিদ্যমান রয়েছে। ‘সালাম’ ভদ্রতা, নম্রতা ও শিষ্টাচারিতার পরিচয় এবং সম্মান ও সৌজন্যবোধ প্রকাশের মাধ্যম। সুতরাং সালাম সব মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব, ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য, মৈত্রী, পরমতসহিষ্ণুতা, সহনশীলতা, আন্তরিকতা ও কল্যাণকামিতা সৃষ্টি করে থাকে। সালাম দেওয়ার নিয়ম বা পদ্ধতির ক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের যখন সালাম করা হয়, তখন তোমরা তদপেক্ষা উত্তমভাবে এর জবাব দাও অথবা অন্তত তদানুরূপ জবাব দাও। নিঃসন্দেহে আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ের হিসাব গ্রহণ করবেন।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৮৬)
সালামের সঙ্গে দোয়া ও আশীর্বাদ বিদ্যমান থাকায় তা অন্যান্য সম্ভাষণ থেকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা লাভ করেছে। স্থান-কাল, ধর্মীয় বিশ্বাস, আঞ্চলিকতা, সংস্কৃতি এবং জাতিভেদে সম্ভাষণের নিয়ম-পদ্ধতি, ব্যবহূত শব্দ ও বাক্যের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। বিভিন্ন ধর্ম, অঞ্চল ও সম্প্রদায়ে কুশলাদি বিনিময়ের ভিন্ন প্রথা প্রচলিত রয়েছে। ইসলামের অনুসারী একজন মুসলিমের সম্ভাষণের সঙ্গে খ্রিষ্টান-হিন্দু বা বৌদ্ধের সম্ভাষণের মিল নেই। অভিবাদন জানানোর জন্য যেসব শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করা হয় এর ভাব, ভাষা ও মর্মের মধ্যে পার্থক্য পরিদৃষ্ট হয়। মুসলিমদের সালামে দোয়া ও সম্ভাষণ উভয়ের মিশ্রণ হওয়ায় এতে যেমন আত্মিক পরিতৃপ্তি লাভ করা যায়, তেমনি এটি সর্বজনীন ইবাদতে রূপান্তরিত হয়।
সামাজিক শৃঙ্খলা মানুষের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধশালী জীবনযাপনের জন্য অত্যাবশ্যক। একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ দেখা-সাক্ষাৎ হলেই যদি অন্য মানুষের শান্তি ও সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ কামনা করে, তাহলে সে কোনোভাবেই ওই ব্যক্তির ক্ষতি সাধন করতে পারে না। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে পারস্পরিক সৌহার্দ্য স্থাপন কেবল সমাজকে সুশৃঙ্খলই করে না, সব মানুষের মধ্যে স্রষ্টার প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করে ও ঈমান সুদৃঢ় করে। ইসলামের শান্তির বাণী একজন ধর্মপ্রাণ মানুষকে সৃষ্টিকর্তার ও অন্য মানুষের সঙ্গে যোগসূত্র ও মেলবন্ধন তৈরি করে দেয়।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: সহকারী অধ্যাপক, ইসলামিক একাডেমি, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়। পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
সংশোধনী
গতকাল সম্পাদকীয় পাতায় প্রকাশিত ‘আদালত অবমাননা নিয়ে বিভ্রান্তি’ শীর্ষক উপসম্পাদকীয়তে ‘কী লিখব, আর লিখব না, সেই সীমারেখাটি উচ্চতম আদালত নির্ধারণ করে দিতে পারেন’ এর স্থলে মুদ্রণপ্রমাদে ‘পারেন না’ ছাপা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য দুঃখিত।—এবিএম মূসা।
সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর প্রতিবাদ ও আমাদের বক্তব্য
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এক প্রতিবাদপত্রে জানিয়েছেন, ‘২২ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে “স্বাস্থ্য উপদেষ্টার অভিনব ব্যবস্থাপত্র: স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম দলীয়করণ” শীর্ষক সম্পাদকীয় আমার নজরে এসেছে।
‘প্রকাশিত সম্পাদকীয় পড়ে আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। আমার মূল বক্তব্যে, যোগ্যতা থাকলে কমিউনিটি ক্লিনিকের নিয়োগে গত সাত বছরে যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের নিয়োগে প্রাধান্য দিতে অনুরোধ করি।
‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনে এতটা অবুঝ হইনি যে কোনো নিয়োগবিধি ঘোষণা করব। অথচ মূল বক্তব্য কী, সেটি যাচাই-বাছাই না করে মনগড়াভাবে আমার বিরুদ্ধে যে বিষোদ্গার করা হয়েছে, সেটি প্রথম আলোর কাছে আশা করিনি।
‘কিছুদিন আগে সরিষাবাড়ীর একটি অনুষ্ঠানে আমার অংশগ্রহণ এবং সে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার-সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রথম আলো সম্পাদকীয় লিখেছে। এতে মনে হয়েছে, যেকোনো সংবাদ যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রথম আলো আমার বিরুদ্ধে সম্পাদকীয় লেখে।’
প্রতিবাদপত্রে তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখব, আমার মতো একজন সামান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা বেমানান। দয়া করে এ ধরনের অসম যুদ্ধ থেকে বিরত থাকুন।’
প্রথম আলোর বক্তব্য: যে সংবাদের ভিত্তিতে প্রথম আলো সম্পাদকীয়টি লিখেছে, সেটি তথ্যভিত্তিক ছিল। কাউকে হেয়প্রতিপন্ন করতে প্রথম আলো কখনো সম্পাদকীয় লেখে না। ভিডিও টেপে ধারণ করা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বক্তব্য ছিল নিম্নরূপ—
তথ্য সবাইকে দেওয়া হবে না। দিস ইজ নট দ্য গভর্নমেন্ট সিস্টেম, ইট উইল নট গো। দিস ইজ মাই অর্ডার। যদি কেউ করে, আমাকে লিখতে হবে, আমি চুরি করছি। এভাবে যদি কেউ তথ্য দেয়, তাহলে কোনো গভর্নমেন্ট অফিসার কাজ করতে পারবে না। এভাবে হবে না...দেয়ার ইজ এ সিস্টেম, আমি নির্দেশ দিচ্ছি, এভাবে তথ্য দেওয়া হবে না।
১৩ হাজার ৫০০ পোস্টের একটাও...আল্লাহর ইচ্ছায় দুই-একটা যাইতে পারে।...একটাও যাতে আমাদের দলের বাইরে না হয়, পরীক্ষিত কর্মীরা পায়, সেই জন্য আমি মোটামুটি একটা সিস্টেম করছি। আমি তো আমার অফিসারকে বলে দেব, আমার লোককে চাকরি দিতে হবে। ও যে ওই ছুঁচোর মতো ওই তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে অযোগ্য লোকটিকে চাকরি দেবে না, আমি এ নিশ্চয়তা দেব কী করে?
আমার বাস্তব প্রবলেমটা কী? এই ১৩ হাজার ৫০০। আমি অফিসারকে ডেকে বলেছি...আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতেছি, এখনো যেহেতু চাকরি দিই নাই।...আমাকে একজন বলল...আমি জানতাম না...জিপিএ টু পয়েন্ট ফাইভ দিলে আমার কর্মীরা পাবে না...টু করব...আমি রিভাইজ করতেছি...টু-ই করব। কারণ আমি চাইছি।
...উনি বললেন, এক কাজ করেন...লোকাল পার্টির লোকটোক দেখেন। এখন দিলেও উনি বললেও ইমপ্লিমেন্ট করার তো আমার ক্ষমতা নাই। আমি পঞ্চগড়ের এমপিকে যদি বলি, তুমি পার্টি থেকে করছ কি না...নিশ্চয়তা নাই। আমি একটি ফর্মুলা বের করেছি। ফ্রাঙ্কলি বলি...আমি বলেছি, আমার পার্টির বা নেতার বা কারও লেখার বাইরে যদি কারও চাকরি হয় দ্যাটস পার্সোনাল...হয়তো আবার ওই তিনজনের ভেতরে সবচেয়ে খারাপ লোকটার চাকরি হইতে পারে। কিন্তু তিনজনের বাইরে আইসা...আরও বলি। তাহলে...তো বলতে হয়, কিছু কিছু জায়গা থেকে কমপ্লেইন আসছে— আমাদের লোক টাকা নিয়ে রিক্রুট করাচ্ছে...এটা আমি ঠেকাব কী করে? প্রবলেম হচ্ছে, আমাদের, ওই যে আগে বললাম...আমরা আল্লাহর ওয়াস্তে যেন অজু-গোসল কইরা...অন্ততপক্ষে যে কয়দিন আছি, চেষ্টা করি...যদি কিছু নিতে হয়, নিজেদের কর্মীদের কাছ থেকে নিতে...অন্যদের কাছ থেকে নিয়ে জামাতজুমাতকে চাকরি দিস না...
‘সালাম’ আরবি শব্দ; এর অর্থ শান্তি। এটি আল্লাহ তাআলার ‘আসমাউল হুস্না’ বা গুণবাচক সুন্দরতম নামগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং মানবজাতির জন্য বিশেষ করে মুসলমানদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ নিয়ামত। ইসলামে সালাম কেবল অভিবাদন জানানোই নয়, এর মধ্যে পারস্পরিক দোয়া ও কল্যাণ কামনার অনুপম শিক্ষা রয়েছে। এ জন্য সালাম দেওয়া ও এর প্রতিউত্তর দেওয়া অত্যন্ত সওয়াব বা পুণ্যময় কাজ। সালাম বা শান্তির মর্মবাণী প্রত্যেক ধর্মভীরু মানুষকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে হিংসা-বিদ্বেষ, দ্বন্দ্ব-কলহ, ঝগড়া-বিবাদের রাহুগ্রাস থেকে সমপ্রীতিময় সমাজ উপহার দিয়ে থাকে। পরকালে যেসব বান্দা বেহেশতে প্রবেশের সৌভাগ্য অর্জন করবে, তাদের আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ‘সালাম’ নামের পবিত্র বাণী দ্বারা অভ্যর্থনা জানানো হবে। এ মর্মে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা প্রশান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করো।’ (সূরা আল-হিজর, আয়াত: ৪৬)
‘আশরাফুল মাখলুকাত’ হিসেবে মানবজাতি সৃষ্টির গোড়াতেই সালামের প্রচলন হয়। সর্বপ্রথম নবী হজরত আদম (আ.) থেকেই সালামের উৎপত্তি এবং ক্রমবিকাশধারায় কিয়ামত পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে। মহান সৃষ্টিকর্তা আদিমানব হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করে তাঁর ও ফেরেশতাদের মধ্যে সালামের আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করেন। এ সম্পর্কে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করে বললেন, ‘যাও, অবস্থানরত ফেরেশতাদের দলটিকে সালাম দাও এবং তারা কী জবাব দেয় তা শোনো! আর তা-ই হচ্ছে তোমার এবং তোমার ভবিষ্যৎ বংশধরের অভিবাদন।’ হজরত আদম (আ.) গিয়ে বললেন, ‘আস্সালামু আলাইকুম!’ জবাবে ফেরেশতারা বললেন, ‘আস্সালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহ।’ তারা ‘রাহমাতুল্লাহ’ শব্দটি যোগ করলেন।’
সালামের সঙ্গে ইসলামের সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র মিরাজ রজনীর ঐতিহাসিক স্মৃতিময় ঘটনাটি বিজড়িত রয়েছে। এ মহিমান্বিত রজনীতে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয়বন্ধুকে নিজের কাছে ডেকে নিয়ে ‘আস্সালামু আলাইকা আইয়্যুহান্নাবিয়্যু’ বলে সম্ভাষণ জানিয়েছিলেন। পবিত্র কোরআনে ‘সালাম’ শব্দটি নবীদের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে সম্মান এবং সুসংবাদ হিসেবে ব্যবহূত হয়েছে। আল্লাহর নবী ও ফেরেশতাদের মাধ্যমে যে সালামের প্রচলন হয়েছে তা যদি মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রচলিত হয়, তাহলে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার মধ্যে কোনো ধরনের মনোমালিন্য ও শত্রুতা থাকবে না। যেহেতু সালামের মাধ্যমে একজন মানুষ অন্য মানুষের জন্য শান্তি বর্ষণের দোয়া করে, সেহেতু এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির কোনো অনিষ্ট সাধন করতে পারে না। সমাজে কেউ যদি কারও অনিষ্ট না করে তাহলে নিশ্চয়ই সেখানে শান্তি-শৃঙ্খলা, সামাজিক নিরাপত্তা ও সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি বিরাজমান থাকে। ফলে সমাজের ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল সবাই মিলেমিশে বসবাস করে। কেউ কারও জন্য কোনো হুমকি হয়ে দেখা দেয় না। সবাই সবার তরে হয়ে ওঠে। তাই নবী করিম (সা.) সালামের বহুল প্রচলনের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘তোমরা সালামের বহুল প্রচলন কর, তাহলে তোমরা শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করবে।’ অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বাণী প্রদান করেছেন, ‘দয়ালু প্রভু আল্লাহর ইবাদত কর, ক্ষুধার্তকে খাদ্যদান কর, সালামের বহুল প্রচলন কর এবং এসব কাজের মাধ্যমে বেহেশতে প্রবেশ কর।’
একদা এক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল, তখন তিনি মজলিসে বসা ছিলেন। সে ব্যক্তি বলল, ‘আস্সালামু আলাইকুম’। নবীজি বললেন, ‘এ ব্যক্তির ১০টি নেকি বা সওয়াব হলো। অতঃপর অন্য এক ব্যক্তি এ পথ অতিক্রম করার সময় বলল, ‘আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্’ অর্থাৎ ওই ব্যক্তি শান্তির সঙ্গে আল্লাহর রহমত বর্ষণেরও দোয়া করল। নবীজি বললেন, ‘এ ব্যক্তির ২০টি নেকি হলো।’ এরপর আরেক ব্যক্তি এ পথ অতিক্রম করার সময় বললেন, ‘আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু’ অর্থাৎ ওই ব্যক্তি আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষণের দোয়া করল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘এ ব্যক্তি ৩০টি নেকি পেল।’ এমন সময় এক ব্যক্তি মজলিস থেকে উঠে চলে গেল, কিন্তু সালাম দেয়নি, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তোমাদের সাথি কত তাড়াতাড়িই না সালামের মাহাত্ম্য ভুলে গেল।’ যখন কোনো ব্যক্তি মজলিসে আসে তখন তার উচিত সালাম দেওয়া। তারপর যদি সে মজলিসে বসার প্রয়োজন মনে করে, তবে সে বসবে। আবার যখন সে চলে যাবে তখনো তার সালাম দেওয়া উচিত। আগমন ও প্রস্থান এ উভয় সালামের মধ্যে কোনোটার চেয়ে কোনোটার গুরুত্ব কম-বেশি নয়।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ)
ইসলামি সম্ভাষণ বা অভিবাদন ‘সালাম’ যতটুকু ব্যাপক অর্থবোধক, অন্য কোনো সম্ভাষণ ততটুকু অর্থবোধক নয়। যেমন ‘সালামের’ মাধ্যমে পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। সালামে বিপদাপদ থেকে নিরাপদে এবং শান্তিতে থাকার দোয়া বিদ্যমান রয়েছে। ‘সালাম’ ভদ্রতা, নম্রতা ও শিষ্টাচারিতার পরিচয় এবং সম্মান ও সৌজন্যবোধ প্রকাশের মাধ্যম। সুতরাং সালাম সব মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব, ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য, মৈত্রী, পরমতসহিষ্ণুতা, সহনশীলতা, আন্তরিকতা ও কল্যাণকামিতা সৃষ্টি করে থাকে। সালাম দেওয়ার নিয়ম বা পদ্ধতির ক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের যখন সালাম করা হয়, তখন তোমরা তদপেক্ষা উত্তমভাবে এর জবাব দাও অথবা অন্তত তদানুরূপ জবাব দাও। নিঃসন্দেহে আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ের হিসাব গ্রহণ করবেন।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৮৬)
সালামের সঙ্গে দোয়া ও আশীর্বাদ বিদ্যমান থাকায় তা অন্যান্য সম্ভাষণ থেকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা লাভ করেছে। স্থান-কাল, ধর্মীয় বিশ্বাস, আঞ্চলিকতা, সংস্কৃতি এবং জাতিভেদে সম্ভাষণের নিয়ম-পদ্ধতি, ব্যবহূত শব্দ ও বাক্যের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। বিভিন্ন ধর্ম, অঞ্চল ও সম্প্রদায়ে কুশলাদি বিনিময়ের ভিন্ন প্রথা প্রচলিত রয়েছে। ইসলামের অনুসারী একজন মুসলিমের সম্ভাষণের সঙ্গে খ্রিষ্টান-হিন্দু বা বৌদ্ধের সম্ভাষণের মিল নেই। অভিবাদন জানানোর জন্য যেসব শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করা হয় এর ভাব, ভাষা ও মর্মের মধ্যে পার্থক্য পরিদৃষ্ট হয়। মুসলিমদের সালামে দোয়া ও সম্ভাষণ উভয়ের মিশ্রণ হওয়ায় এতে যেমন আত্মিক পরিতৃপ্তি লাভ করা যায়, তেমনি এটি সর্বজনীন ইবাদতে রূপান্তরিত হয়।
সামাজিক শৃঙ্খলা মানুষের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধশালী জীবনযাপনের জন্য অত্যাবশ্যক। একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ দেখা-সাক্ষাৎ হলেই যদি অন্য মানুষের শান্তি ও সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ কামনা করে, তাহলে সে কোনোভাবেই ওই ব্যক্তির ক্ষতি সাধন করতে পারে না। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে পারস্পরিক সৌহার্দ্য স্থাপন কেবল সমাজকে সুশৃঙ্খলই করে না, সব মানুষের মধ্যে স্রষ্টার প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করে ও ঈমান সুদৃঢ় করে। ইসলামের শান্তির বাণী একজন ধর্মপ্রাণ মানুষকে সৃষ্টিকর্তার ও অন্য মানুষের সঙ্গে যোগসূত্র ও মেলবন্ধন তৈরি করে দেয়।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: সহকারী অধ্যাপক, ইসলামিক একাডেমি, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়। পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
সংশোধনী
গতকাল সম্পাদকীয় পাতায় প্রকাশিত ‘আদালত অবমাননা নিয়ে বিভ্রান্তি’ শীর্ষক উপসম্পাদকীয়তে ‘কী লিখব, আর লিখব না, সেই সীমারেখাটি উচ্চতম আদালত নির্ধারণ করে দিতে পারেন’ এর স্থলে মুদ্রণপ্রমাদে ‘পারেন না’ ছাপা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য দুঃখিত।—এবিএম মূসা।
সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর প্রতিবাদ ও আমাদের বক্তব্য
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এক প্রতিবাদপত্রে জানিয়েছেন, ‘২২ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে “স্বাস্থ্য উপদেষ্টার অভিনব ব্যবস্থাপত্র: স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম দলীয়করণ” শীর্ষক সম্পাদকীয় আমার নজরে এসেছে।
‘প্রকাশিত সম্পাদকীয় পড়ে আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। আমার মূল বক্তব্যে, যোগ্যতা থাকলে কমিউনিটি ক্লিনিকের নিয়োগে গত সাত বছরে যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের নিয়োগে প্রাধান্য দিতে অনুরোধ করি।
‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনে এতটা অবুঝ হইনি যে কোনো নিয়োগবিধি ঘোষণা করব। অথচ মূল বক্তব্য কী, সেটি যাচাই-বাছাই না করে মনগড়াভাবে আমার বিরুদ্ধে যে বিষোদ্গার করা হয়েছে, সেটি প্রথম আলোর কাছে আশা করিনি।
‘কিছুদিন আগে সরিষাবাড়ীর একটি অনুষ্ঠানে আমার অংশগ্রহণ এবং সে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার-সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রথম আলো সম্পাদকীয় লিখেছে। এতে মনে হয়েছে, যেকোনো সংবাদ যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রথম আলো আমার বিরুদ্ধে সম্পাদকীয় লেখে।’
প্রতিবাদপত্রে তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখব, আমার মতো একজন সামান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা বেমানান। দয়া করে এ ধরনের অসম যুদ্ধ থেকে বিরত থাকুন।’
প্রথম আলোর বক্তব্য: যে সংবাদের ভিত্তিতে প্রথম আলো সম্পাদকীয়টি লিখেছে, সেটি তথ্যভিত্তিক ছিল। কাউকে হেয়প্রতিপন্ন করতে প্রথম আলো কখনো সম্পাদকীয় লেখে না। ভিডিও টেপে ধারণ করা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বক্তব্য ছিল নিম্নরূপ—
তথ্য সবাইকে দেওয়া হবে না। দিস ইজ নট দ্য গভর্নমেন্ট সিস্টেম, ইট উইল নট গো। দিস ইজ মাই অর্ডার। যদি কেউ করে, আমাকে লিখতে হবে, আমি চুরি করছি। এভাবে যদি কেউ তথ্য দেয়, তাহলে কোনো গভর্নমেন্ট অফিসার কাজ করতে পারবে না। এভাবে হবে না...দেয়ার ইজ এ সিস্টেম, আমি নির্দেশ দিচ্ছি, এভাবে তথ্য দেওয়া হবে না।
১৩ হাজার ৫০০ পোস্টের একটাও...আল্লাহর ইচ্ছায় দুই-একটা যাইতে পারে।...একটাও যাতে আমাদের দলের বাইরে না হয়, পরীক্ষিত কর্মীরা পায়, সেই জন্য আমি মোটামুটি একটা সিস্টেম করছি। আমি তো আমার অফিসারকে বলে দেব, আমার লোককে চাকরি দিতে হবে। ও যে ওই ছুঁচোর মতো ওই তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে অযোগ্য লোকটিকে চাকরি দেবে না, আমি এ নিশ্চয়তা দেব কী করে?
আমার বাস্তব প্রবলেমটা কী? এই ১৩ হাজার ৫০০। আমি অফিসারকে ডেকে বলেছি...আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতেছি, এখনো যেহেতু চাকরি দিই নাই।...আমাকে একজন বলল...আমি জানতাম না...জিপিএ টু পয়েন্ট ফাইভ দিলে আমার কর্মীরা পাবে না...টু করব...আমি রিভাইজ করতেছি...টু-ই করব। কারণ আমি চাইছি।
...উনি বললেন, এক কাজ করেন...লোকাল পার্টির লোকটোক দেখেন। এখন দিলেও উনি বললেও ইমপ্লিমেন্ট করার তো আমার ক্ষমতা নাই। আমি পঞ্চগড়ের এমপিকে যদি বলি, তুমি পার্টি থেকে করছ কি না...নিশ্চয়তা নাই। আমি একটি ফর্মুলা বের করেছি। ফ্রাঙ্কলি বলি...আমি বলেছি, আমার পার্টির বা নেতার বা কারও লেখার বাইরে যদি কারও চাকরি হয় দ্যাটস পার্সোনাল...হয়তো আবার ওই তিনজনের ভেতরে সবচেয়ে খারাপ লোকটার চাকরি হইতে পারে। কিন্তু তিনজনের বাইরে আইসা...আরও বলি। তাহলে...তো বলতে হয়, কিছু কিছু জায়গা থেকে কমপ্লেইন আসছে— আমাদের লোক টাকা নিয়ে রিক্রুট করাচ্ছে...এটা আমি ঠেকাব কী করে? প্রবলেম হচ্ছে, আমাদের, ওই যে আগে বললাম...আমরা আল্লাহর ওয়াস্তে যেন অজু-গোসল কইরা...অন্ততপক্ষে যে কয়দিন আছি, চেষ্টা করি...যদি কিছু নিতে হয়, নিজেদের কর্মীদের কাছ থেকে নিতে...অন্যদের কাছ থেকে নিয়ে জামাতজুমাতকে চাকরি দিস না...
No comments