ছাদে বাগান তাতেই পুরস্কার by আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ
৩১৫ প্রজাতির গাছ এক বাড়িতেই! লাল জামরুল থেকে শুরু করে কমলা, সফেদা, আঙুর ও ডালিম—কী নেই টবগুলোতে! শুধু ফল নয়, নানা প্রজাতির ফুলও আছে। বাড়ির ছাদে সফলভাবে এই বাগান করেছেন তনুশ্রী ভদ্র। গাছপালা আর প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন এ বাগান।
শখের বাগান করে তনুশ্রী ভদ্র এ বছর পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। ৫ জুন ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে প্রধানমন্ত্রী তাঁর হাতে ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০১১’ পুরস্কার তুলে দিয়েছেন।
সপ্তাহ খানেক আগে দেখা হলো তনুশ্রী ভদ্রের রাজশাহী জেলার সাগরপাড়া মহল্লার বাড়িটি। ঢুকতেই ছাদের দিকে চোখ আটকে যায়। একদল ছোট পাখি টবের ফুলগাছে মাতামাতি করছে। অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য! তাঁদের দোতলা বাড়িটির নিচতলার বয়স প্রায় ১০০ বছর। সারা বাড়িতেই বেড়ে উঠেছে গাছপালা। এমনকি অনেক টব জানালা ও গ্রিলের সঙ্গে ঝোলানো। বাড়ির যেদিকে চোখ যায়, সব খানেই সবুজের সমারোহ।
ছাদে ওঠার সময় চোখে পড়ে করমচাগাছ। সেটি দেখে তনুশ্রী ভদ্র বললেন, এই গাছের করমচাটা মিষ্টি। তবে পাশের আরেকটি গাছের করমচা টক। এই লাল জামরুলটা মিষ্টি। কমলালেবু, আঙুর, ডালিম, আম—একে একে সব ফলের বর্ণনা দিলেন। তাঁর ছাদের কলাগাছে কলা ধরেছে। এখন তাকিয়ে আছেন নারকেলগাছটার দিকে। যেসব গাছে ফল ধরেছে, সেগুলো ঝরে গাছের নিচে পড়ে রয়েছে। তনুশ্রী ভদ্র জানান, বাগানের ফল পাখিরা খাচ্ছে। আবার পেকে নিচে পড়ছে। সেটা সরানো হচ্ছে না। কারণ, পাখিরা সেগুলো খেতে পারছে। ফুল ফুটেছে বেশ কয়েক ধরনের ক্যাকটাসে। প্রখর রোদে গাছগুলো সুন্দর ও সতেজ আছে কীভাবে, জানতে চাইলে তিনি জানান, গাছগুলো সতেজ রাখতে তাঁকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। দিনে তিনবার পানি দিতে হয়। রোদের তাপ ছাদের কোন জায়গায় কম আর কোথায় বেশি, তা ভাবতে হয়। যে গাছ বেশি রোদ সহ্য করতে পারে না, সেগুলোকে ছায়ার দিকে সরিয়ে রাখতে হয়। রোদ কমে গেলে আবার নতুন করে বিন্যাস করতে হয়। সারা দিন এ নিয়েই থাকতে হয় তাঁকে।
তিনি বলেন, ‘পুরস্কার নেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী যে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, তাতে কাজের কষ্ট ভুলে গেছি। উৎসাহ আরও বেড়ে গেছে।’ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বাড়ির বাগানের দুর্লভ গাছের পাশাপাশি তাঁর বাড়িতে রয়েছে ময়নাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও চারটি হরিণ।
সবগুলোই পোষা। এমনকি পুকুরপাড়ের চারদিকে রয়েছে গাছের সারি। ব্যক্তিগত জীবনে তনুশ্রী ভদ্র গৃহিণী। সংসারের কাজের ফাঁকে পুরো সময়টা কেটে যায় গাছের যত্ন-আত্তিতে। স্বামী সুজিত কুমার ভদ্র, পেশায় চিকিৎসক। একমাত্র সন্তান সুতপা ভদ্র। অখণ্ড অবসরে শুধুই গাছপালা আর পোষা পশু-পাখির সঙ্গে সময় কাটে তাঁর। তাঁকে সব সময় সহযোগিতা করেন পরিবারের সদস্যরা।
সপ্তাহ খানেক আগে দেখা হলো তনুশ্রী ভদ্রের রাজশাহী জেলার সাগরপাড়া মহল্লার বাড়িটি। ঢুকতেই ছাদের দিকে চোখ আটকে যায়। একদল ছোট পাখি টবের ফুলগাছে মাতামাতি করছে। অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য! তাঁদের দোতলা বাড়িটির নিচতলার বয়স প্রায় ১০০ বছর। সারা বাড়িতেই বেড়ে উঠেছে গাছপালা। এমনকি অনেক টব জানালা ও গ্রিলের সঙ্গে ঝোলানো। বাড়ির যেদিকে চোখ যায়, সব খানেই সবুজের সমারোহ।
ছাদে ওঠার সময় চোখে পড়ে করমচাগাছ। সেটি দেখে তনুশ্রী ভদ্র বললেন, এই গাছের করমচাটা মিষ্টি। তবে পাশের আরেকটি গাছের করমচা টক। এই লাল জামরুলটা মিষ্টি। কমলালেবু, আঙুর, ডালিম, আম—একে একে সব ফলের বর্ণনা দিলেন। তাঁর ছাদের কলাগাছে কলা ধরেছে। এখন তাকিয়ে আছেন নারকেলগাছটার দিকে। যেসব গাছে ফল ধরেছে, সেগুলো ঝরে গাছের নিচে পড়ে রয়েছে। তনুশ্রী ভদ্র জানান, বাগানের ফল পাখিরা খাচ্ছে। আবার পেকে নিচে পড়ছে। সেটা সরানো হচ্ছে না। কারণ, পাখিরা সেগুলো খেতে পারছে। ফুল ফুটেছে বেশ কয়েক ধরনের ক্যাকটাসে। প্রখর রোদে গাছগুলো সুন্দর ও সতেজ আছে কীভাবে, জানতে চাইলে তিনি জানান, গাছগুলো সতেজ রাখতে তাঁকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। দিনে তিনবার পানি দিতে হয়। রোদের তাপ ছাদের কোন জায়গায় কম আর কোথায় বেশি, তা ভাবতে হয়। যে গাছ বেশি রোদ সহ্য করতে পারে না, সেগুলোকে ছায়ার দিকে সরিয়ে রাখতে হয়। রোদ কমে গেলে আবার নতুন করে বিন্যাস করতে হয়। সারা দিন এ নিয়েই থাকতে হয় তাঁকে।
তিনি বলেন, ‘পুরস্কার নেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী যে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, তাতে কাজের কষ্ট ভুলে গেছি। উৎসাহ আরও বেড়ে গেছে।’ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বাড়ির বাগানের দুর্লভ গাছের পাশাপাশি তাঁর বাড়িতে রয়েছে ময়নাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও চারটি হরিণ।
সবগুলোই পোষা। এমনকি পুকুরপাড়ের চারদিকে রয়েছে গাছের সারি। ব্যক্তিগত জীবনে তনুশ্রী ভদ্র গৃহিণী। সংসারের কাজের ফাঁকে পুরো সময়টা কেটে যায় গাছের যত্ন-আত্তিতে। স্বামী সুজিত কুমার ভদ্র, পেশায় চিকিৎসক। একমাত্র সন্তান সুতপা ভদ্র। অখণ্ড অবসরে শুধুই গাছপালা আর পোষা পশু-পাখির সঙ্গে সময় কাটে তাঁর। তাঁকে সব সময় সহযোগিতা করেন পরিবারের সদস্যরা।
No comments