কালের কণ্ঠের উদ্যোগে ফের হাসপাতালে শেখ হালিমা

সত্তর বছর বয়সী শেখ হালিমাকে নিয়ে কালের কণ্ঠের অফিসে এলেন অন্য এক পত্রিকার সংবাদকর্মী প্রিতম। হালিমার অভিযোগ, তিনি গত ৩ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবির ঢাকা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু তিনি সুস্থ হওয়ার আগেই হাসপাতাল থেকে নাম কেটে তাঁকে বিদায় করে দেওয়া হয়।


এর প্রতিবাদ জানানোয় হাসপাতালের শর্ট স্টে ইউনিটের ডা. মাহফুজুর রহমান তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ করেন হালিমা। তিনি বলেন, বিনা চিকিৎসায় এখন তাঁকে পথে পথে ঘুরতে হচ্ছে।
অসহায় শেখ হালিমার এ অভিযোগ শুনে কালের কণ্ঠের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হয় আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। এবার পাওয়া যায় ইতিবাচক সাড়া। আইসিডিডিআরবি জনসংযোগ বিভাগের উদ্যোগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা তাৎক্ষণিক কালের কণ্ঠের অফিসে এসে শেখ হালিমাকে নিয়ে যান এবং আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। তাঁরা তাঁর চিকিৎসার সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দেন। শেখ হালিমা এ সময় কালের কণ্ঠের উদ্যোগের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন।
কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন এ সময় শেখ হালিমার সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁর চিকিৎসা ও পারিবারিক বিষয়ে সার্বিক খোঁজখবর নেন। কালের কণ্ঠের উদ্যোগ গ্রহণের পর আইসিডিডিআরবি জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ায় তিনি তাদের সাধুবাদ জানান। তবে কালের কণ্ঠ সম্পাদক এ সময় বলেন, অসহায় মানুষের চিকিৎসার ক্ষেত্রে আইসিডিডিআরবিকে আরো সতর্ক হওয়া দরকার।
হাসপাতালের শর্ট স্টে ইউনিটের প্রধান ড. আজাহারুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, তিনি ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গেই ভুক্তভোগী রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেন। তিনি আশ্বাস দেন, ডা. মাহফুজুর রহমানের দায়িত্বে গাফিলতি ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
শেখ হালিমা জানান, তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলের আশেকপুরে। এক ছেলে থাকলেও তিনি এখন অসহায়। বেঁচে আছেন বিভিন্নজনের আশ্রয়ে।

No comments

Powered by Blogger.