কেজো পার্টির সাজগোজ by তৌহিদা শিরোপা
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ। তা যদি হয় কেজো কোনো অনুষ্ঠান, তাহলে বাড়তি যত্ন লাগবেই। কেননা, কাজের পরিবেশের পরিমিত ভাবটা সাজসজ্জার মধ্যে থাকতে হয়। জমকালো সাজপোশাক এ ক্ষেত্রে একেবারেই বেমানান। অফিসের কোন ধরনের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করবে আপনার সাজ। এমনটিই মনে করেন রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান।
কানিজ আলমাস খান আরও বলেন, নিজের ব্যক্তিত্ব ও রুচির সঙ্গে মানানসই নয়, এমন সাজ এড়িয়ে যাওয়া উচিত। আবার একেবারে না সাজলেও আপনাকে পুরো অনুষ্ঠানে বেমানান লাগবে, যার কোনোটিই কাম্য নয়। কোন ধরনের অনুষ্ঠান ও সময়, এ সম্পর্কে আগেই জেনে নিন। যদি রাতের কোনো অনুষ্ঠান হয়, তবে সাজটা একটু জমকালো হবে। দিনের বেলা হলে হালকা সাজই উপযুক্ত।
প্রথমেই ঠিক করুন, কোন ধরনের পোশাক পরবেন। অফিসের অনুষ্ঠানে শাড়ি বেছে নেওয়া যেতে পারে। সালোয়ার-কামিজ, ফরমাল শার্ট-প্যান্টও পরতে পারেন। যদি অফিস থেকে সরাসরি অনুষ্ঠানে যেতে হয়, তবে আরামদায়ক পোশাক পরাই ভালো। সারা দিন ওই পোশাক পরেই কর্মব্যস্ত দিন কাটাতে হবে। জামদানি, ক্রেপ, জর্জেট বা ঐতিহ্যবাহী কোনো শাড়ি বেছে নিতে পারেন। শিফনের হালকা রঙের শাড়িও মানানসই এ ধরনের অনুষ্ঠানে।
অফিসের অনুষ্ঠানে ভারী গয়না পরা উচিত নয়। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ বা ফরমাল শার্ট-প্যান্টের সঙ্গে ছোট হালকা গয়না মানানসই। অফিসেও এসব গয়না পরতে পারেন। মুক্তা, হীরা বা পাথরের ছোট কানের টপ পরা যেতে পারে। গলায় চিকন চেইনের সঙ্গে ছোট্ট লকেট বা পেনডেন্ট পরতে পারেন। হাতে ব্রেসলেট বা এক হাতে ঘড়ি কিংবা দুটি চুড়ি পরলে ভালো লাগবে বলে মনে করেন কানিজ আলমাস খান। তিনি বলেন, কেউ যদি ফতুয়া বা কুর্তা পরতে চান, তবে সেটি সিল্ক বা ক্রেপ হলে ভালো দেখাবে। সঙ্গে অবশ্যই ফরমাল প্যান্ট ও জুতা পরতে হবে। আজকাল বাজারে নানা ধরনের পাম্প শু পাওয়া যায় পোশাকের সঙ্গে পরার জন্য।
এবার আসা যাক সাজসজ্জায়। অফিস থেকে সরাসরি যেতে হলে অফিসেই নিজেকে সাজিয়ে নিতে হবে। ব্যাগে ফেসওয়াশ, ওয়েট টিস্যু, কমপ্যাক্ট পাউডার, মাশকারা, কাজল, লিপস্টিক, লিপগ্লস, পারফিউম ও একটি চিরুনি রাখতে ভুলবেন না। ফেসওয়াশ বা ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। শুষ্ক ত্বক হলে হালকা করে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগিয়ে নিতে পারেন। এরপর কমপ্যাক্ট পাউডার মুখে ব্যবহার করুন। চোখে কালো বা ধূসর বাদামি রঙের কাজল, মাশকারা ও আইলাইনার লাগাতে পারেন। এরপর যেকোনো হালকা রঙের লিপস্টিক বা লিপগ্লস দিয়ে ঠোঁট রাঙিয়ে নিন।
তবে আসল ঝক্কি হয় চুল নিয়ে। চুল ছোট হলে পছন্দমতো আঁচড়িয়ে নিন। অফিসে আসার আগে ব্লো-ড্রাই করতে পারেন। রিবন্ড করা থাকলে চুল স্ট্রেট মেশিন দিয়ে একটু গুছিয়ে নিতে পারেন। আর বড় চুল হলে খোঁপা করে নিন। তবে কোনো অবস্থায়ই চুল যেন এলোমেলো বা খোলা না থাকে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, ‘অফিসের কোনো অনুষ্ঠানের জন্য শাড়িই বেছে নিই। জামদানি, ইতালিয়ান ক্রেপের মধ্যে সাদা ও কালো রংকে প্রাধান্য দিই। সঙ্গে মুক্তা, হীরার ছোট গয়না পরি। আমার চুল ছোট করে কাটা। ফলে অফিস থেকে সরাসরি কোথাও যেতে হলে চুল আঁচড়িয়ে নিলেই হয়। এ ছাড়া হালকা মেকআপ করে নিই। পোশাক ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাগ ও জুতা পরা হয়।’
সামিয়া আফরিন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মিডিয়া সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন। পাশাপাশি অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও করেন। তিনি বলেন, ‘এধরনের অনুষ্ঠানে শাড়িকেই বেশি প্রাধান্য দিই। জামদানি, সিল্ক ও মসলিন শাড়ি পরি। কালো, চাপা সাদা, হালকা নীল ও আকাশি রঙের শাড়ি পরতে পছন্দ করি। গলায়, কানে হালকা গয়না পরি। আঙুলে আংটি ও হাতে ঘড়ি পরা আমার অভ্যাস। চোখে কাজল দিই। তবে গ্লিটার দেওয়া প্রসাধনসামগ্রী এড়িয়ে যাই। শাড়ির সঙ্গে ছোট ক্লাচ ব্যাগ নেওয়া হয়। এ ছাড়া অফিস থেকে অনুষ্ঠানে অনেক সময় বড় ব্যাগও নেওয়া হয়।’
প্রথমেই ঠিক করুন, কোন ধরনের পোশাক পরবেন। অফিসের অনুষ্ঠানে শাড়ি বেছে নেওয়া যেতে পারে। সালোয়ার-কামিজ, ফরমাল শার্ট-প্যান্টও পরতে পারেন। যদি অফিস থেকে সরাসরি অনুষ্ঠানে যেতে হয়, তবে আরামদায়ক পোশাক পরাই ভালো। সারা দিন ওই পোশাক পরেই কর্মব্যস্ত দিন কাটাতে হবে। জামদানি, ক্রেপ, জর্জেট বা ঐতিহ্যবাহী কোনো শাড়ি বেছে নিতে পারেন। শিফনের হালকা রঙের শাড়িও মানানসই এ ধরনের অনুষ্ঠানে।
অফিসের অনুষ্ঠানে ভারী গয়না পরা উচিত নয়। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ বা ফরমাল শার্ট-প্যান্টের সঙ্গে ছোট হালকা গয়না মানানসই। অফিসেও এসব গয়না পরতে পারেন। মুক্তা, হীরা বা পাথরের ছোট কানের টপ পরা যেতে পারে। গলায় চিকন চেইনের সঙ্গে ছোট্ট লকেট বা পেনডেন্ট পরতে পারেন। হাতে ব্রেসলেট বা এক হাতে ঘড়ি কিংবা দুটি চুড়ি পরলে ভালো লাগবে বলে মনে করেন কানিজ আলমাস খান। তিনি বলেন, কেউ যদি ফতুয়া বা কুর্তা পরতে চান, তবে সেটি সিল্ক বা ক্রেপ হলে ভালো দেখাবে। সঙ্গে অবশ্যই ফরমাল প্যান্ট ও জুতা পরতে হবে। আজকাল বাজারে নানা ধরনের পাম্প শু পাওয়া যায় পোশাকের সঙ্গে পরার জন্য।
এবার আসা যাক সাজসজ্জায়। অফিস থেকে সরাসরি যেতে হলে অফিসেই নিজেকে সাজিয়ে নিতে হবে। ব্যাগে ফেসওয়াশ, ওয়েট টিস্যু, কমপ্যাক্ট পাউডার, মাশকারা, কাজল, লিপস্টিক, লিপগ্লস, পারফিউম ও একটি চিরুনি রাখতে ভুলবেন না। ফেসওয়াশ বা ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। শুষ্ক ত্বক হলে হালকা করে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগিয়ে নিতে পারেন। এরপর কমপ্যাক্ট পাউডার মুখে ব্যবহার করুন। চোখে কালো বা ধূসর বাদামি রঙের কাজল, মাশকারা ও আইলাইনার লাগাতে পারেন। এরপর যেকোনো হালকা রঙের লিপস্টিক বা লিপগ্লস দিয়ে ঠোঁট রাঙিয়ে নিন।
তবে আসল ঝক্কি হয় চুল নিয়ে। চুল ছোট হলে পছন্দমতো আঁচড়িয়ে নিন। অফিসে আসার আগে ব্লো-ড্রাই করতে পারেন। রিবন্ড করা থাকলে চুল স্ট্রেট মেশিন দিয়ে একটু গুছিয়ে নিতে পারেন। আর বড় চুল হলে খোঁপা করে নিন। তবে কোনো অবস্থায়ই চুল যেন এলোমেলো বা খোলা না থাকে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, ‘অফিসের কোনো অনুষ্ঠানের জন্য শাড়িই বেছে নিই। জামদানি, ইতালিয়ান ক্রেপের মধ্যে সাদা ও কালো রংকে প্রাধান্য দিই। সঙ্গে মুক্তা, হীরার ছোট গয়না পরি। আমার চুল ছোট করে কাটা। ফলে অফিস থেকে সরাসরি কোথাও যেতে হলে চুল আঁচড়িয়ে নিলেই হয়। এ ছাড়া হালকা মেকআপ করে নিই। পোশাক ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাগ ও জুতা পরা হয়।’
সামিয়া আফরিন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মিডিয়া সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন। পাশাপাশি অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও করেন। তিনি বলেন, ‘এধরনের অনুষ্ঠানে শাড়িকেই বেশি প্রাধান্য দিই। জামদানি, সিল্ক ও মসলিন শাড়ি পরি। কালো, চাপা সাদা, হালকা নীল ও আকাশি রঙের শাড়ি পরতে পছন্দ করি। গলায়, কানে হালকা গয়না পরি। আঙুলে আংটি ও হাতে ঘড়ি পরা আমার অভ্যাস। চোখে কাজল দিই। তবে গ্লিটার দেওয়া প্রসাধনসামগ্রী এড়িয়ে যাই। শাড়ির সঙ্গে ছোট ক্লাচ ব্যাগ নেওয়া হয়। এ ছাড়া অফিস থেকে অনুষ্ঠানে অনেক সময় বড় ব্যাগও নেওয়া হয়।’
No comments