হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়িত হোক-আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান
আদর্শ শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পঞ্চাশের দশকে রাজধানীর যেসব এলাকা আবাসিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, ধানমন্ডি তার অন্যতম। পরবর্তী সময়ে গুলশান, বনানী, বারিধারাকেও আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, এসব এলাকা এখন আবাসিক হিসেবে চিহ্নিত করার উপায় নেই। প্রতিটি আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক ভবন স্থাপন করা হয়েছে। কোথাও কোথাও গড়ে উঠেছে শিল্পকারখানাও। ঢাকা শহরজুড়েই এখন বাণিজ্যিক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দৌরাত্ম্য চলছে। যে কারণে গুলশান, বনানী, ধানমন্ডিসহ আবাসিক এলাকা তার নিজস্ব চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলছে।
সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এর আগে বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করায় ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়ক, ২৭ নম্বর সড়ক, সাতমসজিদ সড়ক ও মিরপুর সড়কের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরাতে হবে না। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার বৈশিষ্ট্য রক্ষার নির্দেশনা চেয়ে সেখানকার দুই বাসিন্দা এম এ মাছুদ ও এম এ মতিন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। এরপর আদালত রুল জারি করেন এবং ধানমন্ডি এলাকায় নতুন স্কুল-কলেজ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
কিন্তু আদালতের এই নির্দেশ প্রতিপালন করার দায়িত্ব রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা রাজউকের। তারা এত দিন চুপচাপ বসে ছিল। গত কয়েক বছর এই নিয়ে লেখালেখি ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ থেমে নেই। আর এসব ক্ষেত্রে রাজউকের অনুমোদন পেতেও অসুবিধা হয় না। বাধ্য হয়ে আবারও আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
যাঁরা আইন ভঙ্গ করে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে রাজউকের যেসব কর্মকর্তা বেআইনিভাবে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অনুমোদন দিয়েছেন, তাঁদের শাস্তিও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কেবল ধানমন্ডি নয়, রাজধানীর অন্যান্য আবাসিক এলাকার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও চরিত্র অক্ষুণ্ন রাখতে চাই আইনের যথাযথ প্রয়োগ। এ ক্ষেত্রে নাগরিক সচেতনতাও জরুরি।
সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এর আগে বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করায় ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়ক, ২৭ নম্বর সড়ক, সাতমসজিদ সড়ক ও মিরপুর সড়কের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরাতে হবে না। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার বৈশিষ্ট্য রক্ষার নির্দেশনা চেয়ে সেখানকার দুই বাসিন্দা এম এ মাছুদ ও এম এ মতিন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। এরপর আদালত রুল জারি করেন এবং ধানমন্ডি এলাকায় নতুন স্কুল-কলেজ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
কিন্তু আদালতের এই নির্দেশ প্রতিপালন করার দায়িত্ব রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা রাজউকের। তারা এত দিন চুপচাপ বসে ছিল। গত কয়েক বছর এই নিয়ে লেখালেখি ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ থেমে নেই। আর এসব ক্ষেত্রে রাজউকের অনুমোদন পেতেও অসুবিধা হয় না। বাধ্য হয়ে আবারও আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
যাঁরা আইন ভঙ্গ করে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে রাজউকের যেসব কর্মকর্তা বেআইনিভাবে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অনুমোদন দিয়েছেন, তাঁদের শাস্তিও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কেবল ধানমন্ডি নয়, রাজধানীর অন্যান্য আবাসিক এলাকার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও চরিত্র অক্ষুণ্ন রাখতে চাই আইনের যথাযথ প্রয়োগ। এ ক্ষেত্রে নাগরিক সচেতনতাও জরুরি।
No comments